দুইটি কবিতা
সুবিনয় মুস্তফী ইরন
মৃত্তিকার পানে একা
অবসরের দুপুরে যদি রোদ নাও আসে
চড়ুই পাখির বেলকনিতে
পা ঢেকে ফেলা মোজার অন্ধকারে
একা কেউ তো প্রশ্বাস ছুড়ে ফেলে।
একা একা অমনোযোগী ফুসফুসে
সুরাযুক্ত ঘোলাটে এগারোটায়
যদি নাও আসে ঘোড়াহীন বাড়ির পথ,
দোদুল্যমান শহরের সবক'টি জীব পেরিয়ে
একা কেউ তো বসে থাকে
একা একা বাসের ধোঁয়ার কাছে।
পৃথিবীটা যদি চলে যেতে চায়
তবে আমাদের কাছে কেউ তো আসেই,
না আসলেও একা-টা আসে
একা একা বিনবেলার ঘাড়ে।
এইসব সময়ে আমি থাকি
একা একা ও একা
মৃত্তিকার পানে
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১ যাত্রাবাড়ী ফ্লাওভার
বাসায় ফিরে যাই
.
তাই তো এক আশ্বিন রোদে
আমার মায়েদের কথা মনে পড়ে,
সন্ধ্যা ফেরত গৃহস্থলীর দরজার চাপা শ্বাসে,
মোয়াজ্জেম, আমরা পালাতে চাচ্ছিলাম।
মায়েদের কথা মনে করো, মোয়াজ্জেম,
মানুষ হবার কষ্ট মনে করো, মোয়াজ্জেম,
বেড়ে ওঠার গলায় কতটা আটকানো ঢোক, মোয়াজ্জেম,
মনে করো, মোয়াজ্জেম, আমার পাঁচিল টপকাচ্ছিলাম।
রোদের ভিতর রোদের আশ্বিন,
গলির ওপাড়ে গলির আশ্বিন,
যৌথ দৌড়ানোর ঘাম মনে করো, মোয়াজ্জেম।
মোয়াজ্জেম, দেখো আমরা পালায় গেছি,
১২ই আশ্বিনের রাত্রিতে, অনেক দূরে।
কিন্তু মোয়াজ্জেম আমার ভাই,
বাতাসভরা শ্বাসের বদলে কান্না ভিজে
সন্ধ্যার দিকে, আমার আড্ডার বদলে,
শুধুই কান্না আসে।
মোয়াজ্জেমের যমজ চোখে সন্ধ্যা মরে,
মোয়াজ্জেমের যমজ আত্মায় রোদ পড়ে
চলো মোয়াজ্জেম, বাসায় ফিরে যাই,
আম্মা চিন্তা করে।
মে ২৭, ২০২১
দুটো কবিতাই ভালো লাগলো। আজকাল 'পানে' কথাটি এই শব্দে কেউ আর ব্যবহার করে না। তবে, আপনার এই প্রয়াস সুন্দর হয়েছে।
উত্তরমুছুন