একগুচ্ছ কবিতা
সোমনাথ সাহা
বোধবৃক্ষ
হাওয়ার ভিতর দিয়ে যে আলো নিভৃতে আসে,
যে আলো পাথর বাঁধা শীতল বাড়ির পাশে
জোনাকির হাতে চিঠি দিয়ে
চলে যায় চাঁদের কাছে।
যে আলোয় পরীরা নামে উষ্ণ আলিঙ্গনের।
সেই আলোর কাছে বোধবৃক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি শরতের ছাতিম গাছ হয়ে।
কালের পথিক
অনেক বিপ্লবের পর আজ আবার তোমার রুমালে ঠোঁটের স্পর্শ পাই।
আমাদের চিলেকোঠা জানে আদর কতটা বন্য হতে পারে।
ঘর বলতে নিকোনো উঠোনে প্রিয় জনের স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকা।
দুহাতে মনের নৌকো খুলে দিয়ে জলের মতন ভেসে থাকি কালের পথিক হয়ে।
জীবনতৃষ্ণা
বিস্তর পিপাসা পেলে বেড়ে যায় স্বপ্নের দড়ি,
আমি পুড়ে যাচ্ছি ছল-বল-কৌশলে।
তোমার এক একটি চুম্বন শুষে নিচ্ছে আমার মস্তিষ্কের বিষ।
আমার বিষণ্ণতা জমা হচ্ছে অন্ধ-মহাকালে।
তারপর, আমার জীবন থেকে গড়িয়ে পড়ে অপরূপ শুন্যতা।
ধর্মঘর থেকে নেমে আসছে রাত, বাড়ছে জীবনতৃষ্ণা।
মৃত্যুবাণ
আমার হত্যাকারীদের জন্য পাঠাই নীলখাম,
মৃতপ্রায় জামায় আঁকতে থাকি জটিল বাহাদুরি।
স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আমার শবদেহ ছুঁয়ে আছে এক অন্ধকার।
পাখি গুলিও কিছু সংশয় নিয়ে বাসায় ফিরেছে আজ।
আমার মৃত্তুবান রওনা দিয়েছে বহুকাল আগে,
মৃত্যুদিনে মনেপড়ে যায় জন্মের তো কোনো শেষ নেই।
তবুও চেনা বৃষ্টি ভিজে যায়, চেনা মেঘ একা একা কাঁদে।
মন্তব্য