দুইটি কবিতা
সাম্য রাইয়ান
মহাকোলাহল
পূর্বরাতের ভয়াবহ মৃত্যুভাবনা পকেটে নিয়ে ঘুরছিলাম রাতে। দেখি, মানুষের কতো বিচিত্র জীবন; সানাই বাজাচ্ছে বিয়ের। বলুন তো, জীবনের ফলাফল কী? টোপর পরে বন্ধুদের সাথে একটা ছেলে হাসছে। টোপর পরে বন্ধুদের সাথে একটা মেয়ে কাঁদছে। বৃক্ষহীনতার ফলাফল জানা আছে আপনার? আমি মাতাল হলেই যতো দোষ! এতোগুলো কাগজের পিঠে চেপে বসেছি তো বাড়ি যাবো বলেই। আমি কি তুচ্ছ ফড়িঙ? কোথাও কোনো অন্ধকার নেই কেন এতো রাতেও বুঝিনা কী যে হলো মানুষগুলোর। পথে পথে পথঘাটে কোনো তীব্র নারীগাছ নেই কেন? আমার খুব দৌড়াতে ইচ্ছে করে।
মাথায় ইতোমধ্যে দৌড় শুরু হয়েছে, শিরা-উপশিরা পাগল হয়ে যাচ্ছে; আমি স্থির হচ্ছি; এভরিওয়ান ইজ আ ক্রিমিন্যাল! কতো বৈধ অবৈধ প্যাকেট-বোতল শূন্য থেকে ভেসে শূন্যে চলে যাচ্ছে। আমার যেন কাকে ডাকতে ইচ্ছে করছে গোপনে।
মুঠোভর্তি তেঁতুল আর নুন নিয়ে আমার যেন কোথায় যেতে ইচ্ছে করছে! কেন আমার আবার জন্ম হলো পৃথিবীতে, কেউ কি জানে? তোমার বাড়ি তো বহুদূর-- তবে আপেলের ঘ্রাণ ভেসে আসছে কোত্থেকে? তুমি কি আমার পাশে -- আছো -- কাছাকাছি কোথাও, বৃষ্টির আড়ালে। এই দিন তো পুরোটাই উষ্ণ ছিলো আজ, কেন এভাবে বৃষ্টি এলো?
ম্লাণ উপাখ্যান
ঘটনার বয়ানসূত্র থেকে আলো ছড়ানো একটা কথামুখ দেখতে পাচ্ছি। নদীফলে ভেসে যাচ্ছে তীর, ঘনবুনটের জাল ভরে উঠছে ব্যর্থমাছে। গানবাহী শামুকপুত্র চিনে নেবে মহাকাল, পৃথিবীর ছায়া। নিবিড় দৃশ্যের মিউজিয়ামে দাঁড়িয়ে তবু একজন কবি, একা; তোমাপৃষ্ঠের নিচে প্রাণপ্রবাহের উপর একই সমতলে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। গ্যালনসম বিষাদ শুধু বেরিয়ে আসে কলমের ডগা দিয়ে। একবার বিষাদ লিখে আমি কলমের নিব ভেঙে ফেলি। পূর্বনির্মিত পশমী জঙ্গল থেকে কাগুজে শরীরে শাদায় লেপ্টে যায় দীর্ঘ হতাশার মতো ম্লাণ উপাখ্যান। কী করে নির্মিত হয় কবিতাগাছের ফল; মানুষের কাছে আজ অব্দি সেসব অমীমাংসিত বিষ্ময়!
অনুভববেদ্যতায় ঠাসা এ কবিতা।
উত্তরমুছুনমহাকোলাহল--যাপিত কবিতার প্রসৃত এক অন্তঃস্রোতই যেন ধীরে ধীরে উচ্চকিত হচ্ছে। ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনভালো লাগলো, ❤️
উত্তরমুছুনআহা! মাথায় ইতোমধ্যে দৌড় শুরু হয়েছে
উত্তরমুছুন🌿দারুণ।...
উত্তরমুছুন�� তুমুল প্লাবনে অবগাহন হল��
উত্তরমুছুন