চারটি কবিতা
নিমাই জানা
দুর্বল বিজ্ঞপ্তি ও যৌন বাঁশি
চোখের ভেতরে অসুখ রেখে দেখেছি সম্পর্ককে কত পাতলা কাগজের মতো দেখায়
আমি লাউডগার থেকেও আরও দুর্বল যৌন সম্পর্কের গন্ধের ওপর দুটো তালপাতার বাঁশি বাজাই রাতে
অথচ আমি কোন দিন রাখাল বালক হতে পারিনি
রাখাল বালকের থেকেও হিংস্র আমি , আমি নিজের বিছানাকে এক প্রতারণার স্থল ভূমি ভেবে খালি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে ঘুমিয়ে পড়ি মৃত্যুর আগের মুহূর্তে , শীঘ্রপতন
আঠার মতো বিষাক্ত কিছু তরল পদার্থ ঢেলে দিই উদরপূর্তি অন্ধকারের দিকে
আমার কাছে গভীর রাতের এক বিশ্বস্ত বিজ্ঞপ্তি আছে আমি বিনা শর্তে উড়ে যেতে পারি পুকুরপাড়ের ধরে রাখা দুটো শিলাখণ্ডের কাছে
এখানেই কত গভীর রাতে চাঁদের সাথে সহবাস করে নেমে গেছি আত্মশুদ্ধির মাঠে
তারপর আমার কোনদিন হৃদ রোগের উপসর্গ দেখা যায়নি
লম্ব বৃত্তাকার ঘুম ও ঈশ্বরীর শব্দ
ঘুম আসলে মৃত্যুর মতো লম্ব বৃত্তাকার নয়
এক দে হাতি চুল্লির পাশে দাঁড়িয়ে দেশলাই কাঠির সব পাপ কথা জ্বালানো,
একবার নদীটির পাশে সব গর্ভবতী মহিলারা উপুড় করছে তাদের শেষ ঋতুবন্ধের তারিখ
তারপর নদী পেরিয়ে কোন নারী কোমরে ঘুমসী ও বেল পাতার প্রতিবিম্ব রাখেনি নোনা পুরুষের কাছে
লাল রঙের তিলক দেওয়া পাথরের কাছে অথবা নৌকার তলদেশে দুটো হলুদ ফুল রাখা আছে , রজনীগন্ধার ন্যায়
গর্ভকেশর তলায় যে পুরুষটি আজন্ম হাঁটু গেড়ে ঈশ্বরীর সাথে বিসর্গ শব্দ নিয়ে মেতে ওঠে
তাকেই আবার সঙ্গমের ধ্যান শেখায়, গভীর রাত্রিকালে প্রতিটি আত্মার দূরত্ব মিলিমিটার দেখালে ও চোখ খুললেই সহস্রযোজন আত্মীয়রা জবা ফুলের মতো দাঁড়িয়ে
সব অশরীরেরা দরজার পাশে এসে ঘুমে ঢুলছে
বৃত্তাকার বালক অথবা মৃত মানুষের নৌকা
বৃক্ষের মতো প্রেমিকার ঢাকনা দেওয়া চুড়িদারকে মিথ্যে কথা বলতে নেই , নদীও রজঃস্রাবের পোশাক খুলে ফেলে
প্রেমিকার কালো কালো দুটো হাতে যে রুপোলী চুড়ির গন্ধ থাকে তা ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যায় বিকেলের রোদের মতো আমি সেখানে কিছু প্যানটোপ্রাজল জাতীয় ওষুধের তরল দ্রবণ রাখি জলে ভিজিয়ে
আসলে আমি একটি আবদ্ধ জলাশয় ও মৃত মাছেদের কথা বলছি , যারা সহস্র ন্যাটিকেল মাইল হেঁটে আসার পর নিজেদের ধরা ফেলে বিস্তীর্ণ মায়া জালের ভিতর ,
দেখা যায় অন্ধকারের ভিতর বৃত্তাকার বালকেরা গোল হয়ে ঘুরে যাচ্ছে ক্রমশ শূন্যের দিকে
বিন্দু বিন্দু একটি আলোর রেখায় নৌকাটি পাক খেতে খেতে উঠে যাচ্ছে একটি চুল্লীর ধোঁয়ার ভেতর দিয়ে
বালকদের কেমন কালো রঙের দেখায় কার্বন মনোক্সাইডের মতো
ইমপারেটিভ সেনটেন্স অথবা পূর্বপুরুষ
দেওয়ালের মায়ের চেয়ে পুরনো যে জামা আছে তার পিছনে কিছু ছত্রাকেরা বাসা বেঁধেছে পুরনো অসুখের
আমি আম গাছের বাকলের নিচে নিজের অসুখ দেখতে পাই ,তাল পাতার ওপর দিয়ে আমার পূর্বপুরুষেরা আসছে গ্রামের সব দ্রাঘিমা ভেঙে , পুরোহিত একা বাঁশি বাজায়
দ্রোহকাল ভরিয়ে দিই লাল রঙের পেরেক দিয়ে
আর কিছু পোষাকের ভেতর এভাবেই অবৈধ দশম শ্রেণী পেরিয়ে যাওয়ার পর ত্রিভুজের মধ্যবিন্দু কেবল তলপেটের সংক্রমণের কথা মনে রাখে
আমার আলখাল্লা পোষাকের ভেতর দিয়ে আমার ভেতর কেউ জেগে উঠেছে প্রতিটি পরাগ ও পর্বমধ্যে
মেগাস্থিনিস নাকি অন্য কোন মোনালিসার চিবুক
আমার মৃতপ্রায় লিঙ্গ চিত্রটির অপর এক বুক বন্যার জল দেবীমুর্তির ঘরে রাখি সব জীবাশ্ম মিশিয়ে
এখন অব্যয় পদেরা ইমপারেটিভ সেনটেন্সের নারীরা রাত্রি দুটোর কথা লিখে দেয় ইকোস্প্রিন ক্যাপসুলের উপর
চাঁদের আরেকবার গনোরিয়া দেখা দিল কৃষ্ণপক্ষ তিথিতে
ভালো লাগলো, ♥️
উত্তরমুছুনদেখা যায় অন্ধকারের ভিতর বৃত্তাকার বালকেরা গোল হয়ে ঘুরে যাচ্ছে ক্রমশ শূন্যের দিকে-- দৃশপটে নিমগ্ন হলাম
উত্তরমুছুনসবকটা কবিতাই ভালো লাগছে।
উত্তরমুছুন