দুইটি কবিতা
মজুমদার নভেল
বারুদফুল
পথ থেকে হেটে যেতে যেতে আমি হ'য়ে আসলাম নিকট
আসতে আসতে তুমি হ'য়ে উঠলে দূর থেকে দূরান্তে, দিগন্ত।
এভাবেই-
চায়ের কাপ, ভোরের দোকান, রেলিঙ ভাঙা রোদ, খুচরো ঝামেলা
নৈমিত্তিক সংসার, আলগোছ পরিপাটি, সুশীল তন্ত্র, মদদে দালাল।
ভাঙচুর হয়ে গেছে- ও ছোট পাখি?
শিশুদের প্রিয় খেলনা মহামারী!
আমাদের প্রিয় আশ্রয়ের নাম ধ্বংস; প্রিয় রাষ্ট্রের নাম হিংস্র।
চোখের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে হায়েনা কুন্ডলী-
খুদার তাগিদে- বৈষম্যের কারাগারে- আটকে 'পোরে-
থ্যাঁতলানো মাংসের জীবন। ঘুমের ভিতর জেগে ওঠে-
হিংস্রের বাসনা; ঠোঁটের স্বাদে খেয়ে ফেলা তীব্র হৃদয়।
এখনও ভালোবাসতে ইচ্ছে করে তোমাকে, তথা-
তোমাকে। হিরোশিমার চাইতেও দ্বিগুণ অনুপাতে।
তোমার হৃদয়ের বারুদফুলের গন্ধ নিতে নিঃশ্বাস-
তাকিয়ে দেখছে ফিলিস্তিনের নিশান। চির অনুভবে।
নীল দিয়াশলাইফুল
এইতো শুকিয়ে পরা এক লৌকিক দুপুর- মৌলিক রঙের নূর।
ভালোবাসি তোমাকে, এবঙ তোমার যত সর্বস্ব ও সর্বোচ্চ কে-
চাওয়া পাওয়াহীন, তবুও মুখোশ বিষাদ!
বিপ্লবহীন পথচারী ও পথিকবেসি নিরস্বার্থচারী।
ভুলতে বসবে তুমি পুতুলের খেলা আবার অনাগত ইতিহাসের কথা।
নগরীর দেয়াল জুড়ে হেমন্ত আর রাস্তায় হাটতেই তুমি টের পাবে এমন বহুঋণী- নিমগ্নচারী গিরিপথিক।
মালুম মাশুল ছিন্যতা অনুভব করবে- নবরত্ন প্রত্যাশার অবশে নিন্দাহীন ধিধায়, আড়ষ্ট আকাঙ্খার চরচরায়ু।
মহাকাশ বিমগ্ন তোমার নকশীকথার ঠোঁট-
কাজলের বহ্নিতে এঁকে দিব নীল দিয়াশলাইফুল।
বাহ, বেশ ভালো কবিতা।
উত্তরমুছুন