দুইটি কবিতা
মিনু মৃত্তিক
পদচ্ছাপ
আমি রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সোজা চলে গেলাম
রাস্তাটার আল হোয়ে যাওয়া মুহূর্তের কিনারে
সেখানে আমার কোনো নাম লেখা নেই
এবং যারা যারা এই পথ পেরিয়েছে তাদেরও
হয়তো তারা আমারই একটুখানি সামনে বা কাছেপাশে
ঝুলে গেছে অশ্বত্থের নিস্তব্ধতায়
এখনো তাদের রেখে যাওয়া পদচ্ছাপ থেকে ধোয়া উঠছে
নরম শরীর থেকে পাতা খসে যাওয়ার মতো
আমার স্মৃতিরা ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে
অন্তরাল কী যার যার নামের অক্ষরগুলোও চুষে নেয়
ফেলে আসা পথ মাদুরের মতো গুটাতে গুটাতে
গোড়ালি ছুঁয়ে দিলেই বদলে যাবে পথের আকার
বিগত পদচ্ছাপগুলো আনমনে ব্রাত্যদের ছুঁয়ে দেয়
পকেট
তোমার ঠোঁট থেকে যে বিন্দু বিন্দু মুক্তোদানা গড়িয়ে পড়ছে তা আমার পকেটে এসে জমা হচ্ছে। আমি ঠিকই একদিন তোমাকে ফিরিয়ে দেবো অনাদর সময়ের সারমেয়। আমাদের ব্যবধান ক্রমশ টানটান রোদের দিনে তেজোদীপ্ত ভগ্নাংশের তলে লুকিয়ে রাখছো। কায়দায় বেকায়দায় পথরেখা ভেসে উঠছে পর্বতের অসমরেখায়। কোনো অশান্ত দিন পিছন ফিরে তাকাতে না চাইলে আমরা গতিকে থামতে দিতে পারিনা। সম্মুখবর্তী মাঠ আর খরগোশের লুকিয়ে ফেলা মুখ বারবার হানা দিয়ে যায় রাত্রির ঘোড়সওয়ারের টগবগ হ্রেষাকে। নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার কায়দা আয়ত্বে যার সেই পাবে পুণরুত্থানের ঠিকানা।
পকেটে জমিয়ে রাখা বিন্দু বিন্দু মুক্তোদানা তোমাকে জাগিয়ে রাখার আশ্রয়। তোমার শাড়ির আন্দোলিত উদ্বেগ ঠেকানোর কৌশল আড়াল থেকে খেয়াল রাখছে তোমার নিরুদ্বীগ্ন সন্তানেরা। আমার পকেট অথবা তুমি কেউই আমার দুলে উঠাকে রুখতে পারছো না। মাঝপথে চোখ বন্ধ কোরে বসে আছি, চোখ খুললেই অন্ধকার... নিজেই আমি ঢুকে যাচ্ছি পকেটের ভিতর, মগজহীন অবতার!
'বিগত পদচ্ছাপগুলো আনমনে ব্রাত্যদের ছুঁয়ে দেয়'-- অনন্য অনুভব। কবিকে কুর্নিশ।
উত্তরমুছুন'বিগত পদচ্ছাপগুলো আনমনে ব্রাত্যদের ছুঁয়ে দেয়'-- অনন্য অনুভব।
উত্তরমুছুনঅনবদ্য সব সৃষ্টি!
উত্তরমুছুনঅভিনন্দন প্রিয় কবি।