ইচ্ছেকল্প প্লাবন ও অন্যান্য কবিতা
বাস্তবিক সবুজ
তৃষিত অশ্ব
জাতীয় সড়কের উঁচু সারি সারি গাছ তোমার চৈতন্য প্রান্তরে
বিছিয়ে রেখেছে সুহাস পত্রপুষ্পরাশি
হয়তো তুমি দেখেছ কিন্তু হৃদয়ে গাঁথো নি
কপালের নীচে দু-দুটো চোখ, বেগময় পদযুগল সবে উদ্গত
মোথাঘাস মাথা মাড়িয়ে দিয়েছ
দেখেও দেখো নি
নির্বাণগামী অন্ধঘোড়ার পিঠেবসা একরোখা সওয়ার তুমি
তৃষিত অশ্বের মুখ অক্লেশে লাগাম এঁটে
পার হতে চেয়েছ জীবন-নদী
অথবা নিরুদ্দেশ
দরজায় এসে কলিংবেল টিপে যাচ্ছ
আমি আইহোলে চোখ রেখে দেখলাম
আমার সন্দিগ্ধ সত্তা
অনেকগুলো চন্দ্র সূর্য চোখ থেকে
বার হয়ে মুখমন্ডলের বলিরেখা স্পষ্ট করেছে
আমার সন্ত্রস্ত অপেক্ষা বজ্রগর্ভা তড়িতচকিত
শূন্য ক্যানভাসে আমারই হাতে আঁকা অসমাপ্ত স্কেচ
আভূমিপতিত অথবা নিরুদ্দেশ
ইচ্ছেকল্প প্লাবন
ঘুমন্ত জাতীয় সড়ক মাড়িয়ে চলেছে বেহুশ লরির সারি
মুসাফিরা ধাবার কুড়াদান উল্টে
চেটে পুটে সবিশেষ তৃপ্ততা ঠোঁট মুছে
খিদে-কুন্ডল ক্রমশ প্রশান্ত রাত-প্রহরীর
ক্রমাগত পিচপথ ঘষটে চাকার উল্লাস
মায়াতীক্ষ্ণ প্রমত্ত নাছোড় মনিবের শ্রীচরণে শেষ শ্বাস নিবেদন
ইঞ্জিনের চক্রহাস কানে আধবোজা চোখে
দরদি স্পন্দন তোলে
কাছের প্রশস্ত পথ চোখের সীমানা ছেড়ে
জাদুকরী ডিমবিন্দু সিন্ধুপারে নিশান ওড়ায়
বাঝা হৃদয়ের কমলা উদ্যানে থুথু দিয়ে সাঁটা মড়কপতঙ্গ
বিশ্বামিত্রের মন্ত্রঃপূত জলে ইচ্ছেকল্প প্লাবন
মন্তব্য