দুপুর বহিয়া গেল
একটা গোলাপ ফুল বান্ধা দেখি তোমার দাঁতে,
এদিকে দুপুর বহিয়া গেল
হায়রে এদিকে দুপুর বহিয়া গেল।
দুপুরের গল্প কওন যায় না
তবুও দুপুর বহিয়া গেল
হায় রে একটা অস্তিত্বশীল দুপুর বহিয়া গেল।
যৌনগ্রামের কবর
রাত ঘন একটা সুর নিয়ে আসে,
আমগাছগুলোর ছায়া-
কেউ এসে ডাকতে পারে এমন অন্ধকার
অজস্র রাত এমন হতে পারে
ঘুমোতে যাওয়া পাখি,
শেষ ভ্যানগাড়ির টিক টিক
আরো ঘন যৌনগ্রাম
আমাদের বার্ধক্য এর পথে ঘন বাঁশঝাড়
তার পথে কবর এর সুনসান
এসব থাকে পড়ে, রাস্তায়।
সবুজ দুর্বাঘাস
ইমাজিন কর না পাখি
দুর্বাঘাস, মাটি
ইমাজিন কর না পাখি
দৃশ্য, অন্তর
ইমাজিন কর না পাখি
হাঁস, প্রতীক
ইমাজিন কর না পাখি
বালুকাবেলা, গ্রন্থ
আরো আরো ইমাজিনের মত
আরো আরো ইমাজিনে আমরা হারায়া যাই,
আরো আরো পাখির মত,
কেন ইমাজিনে আসি নাই একটা
সরল দুর্বাঘাসের মত,
না হয় একটা গতির মত।
এই তো আমরা,
ইমাজিনের শেষ সংবেদ আমরা,
আমাদের সংবেদের রাডার,
অন্ধকারের রাত
কালার গুলির সন্ধ্যা
এগুলো বেয়ে বেয়ে পড়ে
পাখির চঞ্চুর মত,
প্রেম আমরা কখনোই পাই নাই
পাই নাই কোন মৃত্যু,
পাই নাই কোন সাবমিশন,
আসলে কি আমরা
সেই পাখিগুলোর মতন
যাদের ধরে ফেললেই হয়ে যেত সবুজ দুর্বাঘাস।
ইনটেন্স বিকেল
একটা ইনটেন্স বিকেল
গড়ায়ে যাইতেছে
একটা মহাকালীন অব্যয়ে
একটা শর্মিষ্ঠা ঠাকুর
ডানা মেলতাছে
একটা হারানো হামানদিস্তার শব্দে
প্রতিকারের ঘুঘু
লীন একটা জগতে
মরে যাচ্ছে অনেক দূরের
দূরবীনে।
ইনটেন্স বিকেলটার ফ্রেমে
আরো অনেক কিছু
ধরা পড়তেছে,
কিছু বকপক্ষী, কিছু জলপাই রঙের কুকুর
আর মেলানকোলিয়া কালারের কিছু
মুমূর্ষ চিতাবাঘ।
মানুষেরা আজকের
এই ইনটেন্স বিকেলে চাইলেই
হারায়া যাইতে
পারে
নিজেদের মধ্যে।
তাদের কোনো এবসার্ডিটির হরিণ নাই,
কোনো রজনীগন্ধা নাই,
তরঙ্গ রঙের জামা পড়া গৃহপালিত
মুরগীও নেই।
এই ইনটেন্স বিকেলটা হয়ত
তাই
ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে
সন্ধ্যার দিকেই উড়ে যাবে।
সিজোফ্রেনিক বিকেলের আগে
সিজোফ্রেনিক বিকেলের আগে
আমার যাইতে ইচ্ছে করে
ভিটেমাটিগুলোতে,
টেংরার ঝোল, বসতির পিঠা
নিয়ে আমি নৌকায় বইসা যাইতে চাই
কুটুমের বাড়ি,
নদীর পানির নিচে
আমার সিজোফ্রেনিক মুখ গুলা ভাইসা উঠবে তখন
ভাঙা একটা রেকর্ড প্লেয়ার-১৯৭০ এর,
তাতে কারাওকে বাজছে
নীলে নী্লে আম্বর গানটার, কুমার কিশোরের।
এদিকে,
চারদিক আন্ধার কইরা আসে-যদিও
জীবনের সমান বলে চিহ্নিত
দুপুর চলতাছে,
সাথে সাথে ফুলতোলা বিছানার কথা মনে হয় আমার,
এমন সাবকনশাস রীতিতে আমার
চারপাশে একটা ঘোড়া চইলা যায় দ্রুত গতিতে।
মন্তব্য