আইডেন্টিক্যাল ইল্যুশন
অন্ধ গলিতে পরিত্যক্ত কোনো টেম্পুর হর্ণ হঠাৎ বেজে উঠে।
শাওয়ারের পানির শব্দ হাসনাহেনার গন্ধের সাথে মিশে এমন ভাবে ইল্যুশন তৈরি করছে-
মনে হচ্ছে সমুদ্র খুব কাছাকাছি এসে বসে আছে।
কানের কাছে কৌটা ধরে রাখলে এমন ইল্যুশন তৈরি হতে পারে।
এরকম অনেক ইল্যুশন এর ভেতর দিয়ে মানুষ সরীসৃপ হয়ে উঠতে পারে।
বাচ্চারা আনন্দ নিয়ে গড়াগড়ি খায়,
বড়রা আতঙ্ক নিয়ে সুইমিং পুলে হামাগুড়ি প্র্যাক্টিস করে।
আমি একজনকে চিনতাম, যিনি সরীসৃপ হবার আশায় নিজের নাক কেঁটে ফেলেছিলেন।
হ্যালোসিনেশন
বালিশের পাশে ভাজ করে রাখা একগুচ্ছ হ্যালোসিনেশন আর কয়েকটা নষ্ট রক্তমাখা হাত, পা।
তীব্র অন্ধকারে আলোকের হরেক রকম খেলার পর আমি হয়ে উঠছি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন শূয়োরের বাচ্চা গোত্রের জারজ।
বাথরুমের এনার্জি বাল্বে রোজ রাতে কান্না করছেন যিশু। আমার জন্যে ফেলে যাওয়া হচ্ছে সম্মোহনী কর্পুর আর সাবেক বন্ধুদের আত্মার ফটোকপি।
আমি কান্না জড়ো করি। অনেকগুলো কান্না জড়ো হলে একটা দুর্ভিক্ষ হবে। দুর্ভিক্ষ থেকে হঠাৎ শব্দ করে উড়ে যাবে অনেকগুলো ভাত শালিক। শালিকের ঝরে পড়া পালকে একটা একটা শব্দ বসে তৈরি হবে পৃথিবীর দীর্ঘতম চিৎকার। একটা চিৎকার জরুরী হয়ে পড়েছে।
রাফাতুল আরাফাত এর কবিতা নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। আরও পড়ার আগ্রহ জিইয়ে রাখলাম। শুভেচ্ছা।
উত্তরমুছুন