কয়েনের শব্দ
প্রখর বোশেখ মাসে প্রকাশিত সূর্য কিরণের মতো
ভিক্ষুক ও ভিক্ষুকের থালা কী প্রচণ্ড গোলাকার!
শহরের মোড়ে, টাউন হলের মাঠে, ট্রেনে, বাড়ি-বাড়ি
সকল অভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে দেখা যায় সেই থালা
থেকে থেকে ঝরে পড়ে টুপটাপ কয়েনের শব্দ
সেই অলৌকিক কয়েনের শব্দে মাথাব্যথা দূর হয়
বেলাশেষে ধানভরা গোলাঘর তবু এক সুদর্শন মুখ
একটি সূর্যাস্ত থালার ভেতর ডুবে গেলো অবিরাম
যেসব খাদ্যের সামাজিক স্বীকৃতি ভীষণ টিকে আছে
রে ভীষণ ক্ষুধা, রে খাদ্যের প্রতি রয়েছে সম্মান
বিস্তীর্ণ পেটের মধ্যে খাদ্য পুরে মুগ্ধ হয় সামান্য ভিক্ষুক
সারাদিন পর বেলাশেষে নিজস্ব প্রস্রাবে ফিরে এসে
তরতর ভিজিয়ে দিলো সে বিশুষ্ক মাটির রাস্তা
ভিক্ষুকের অভিন্ন প্রস্রাবে শোনা যাচ্ছে টুপটাপ কয়েনের শব্দ
শিউলী গুজব
বেশ হাসিমুখে শিউলী ফুটেছে অন্ধকারের দু’পাশে
শেষ রাতের শীতেও শিউলীর শাদা হাসি তবু থামছে না
কী দারুণ তুমি পথে পথে মিশে আছো নিরাকার পথে
বাঁদার জঙ্গলে ঢুকে গেছে চাঁদ— চাঁদের গোলের মতো বনবিড়ালের চোখ
তবু সবকিছু পার হ’য়ে ফুটেছে শিউলী, শিউলীর দেহ
ঝরা শিউলীরা একে একে ঠাই পেয়েছে তোমার সুইসুতোর মালায়
তুমি গেথেছো মালার বিশ্ব; মালা তুমি নিরীহ ফুলের কারাগার
সুতোবন্দী শিউলীরা কেন্দ্রীয় ফুটোয় ঝুলে আছে পরস্পর
কার গলায় পরিয়ে দেবে তুমি— চাঁদ অথবা বনবিড়াল?
এমন মালার ভাগ্য হয়তো হবেনা কোনোদিন কোনো মানুষের
সুখ নেই দুঃখ নেই ভালো-মন্দ নেই দিনরাত্রি জানা নেই
শুধু এক টুকরো শিউলী-গুজব টেনেছে আমায় প্রকাশ্য দিবালোকে
বিন্দুতেই প্রথম পড়েছিলাম নাভিল মানদারকে৷ তারপর আবার পড়লাম৷ এই কবির বই প্রকাশিত হয়েছে? থাকলে সন্ধান দিন প্লিজ৷
উত্তরমুছুনআপনি কি বাংলাদেশে থাকেন না ভারতে? বাংলাদেশে থাকলে আমি আপনাকে বই পাঠাবো
মুছুনবরাবরের মতোই, সুন্দর কবিতা
উত্তরমুছুননুনের আঘ্রাণ পড়ার সুযোগ হয়েছিলো সাম্যদা কুরিয়ার করেছিলেন৷ অথচ আমি তখনো এই কবিকে চিনতামই না৷ সাম্যদা চিনিয়েছেন৷ আজ এই কবিতা দুটো পড়েও টেস্ট পেলাম৷
উত্তরমুছুনবাহ্ মনোমুগ্ধ
উত্তরমুছুনরে নাভিল মানদার, রে কবিতা। এমন কবিতায় ডুবে যদি আমি না মরে যেতে পারি, হায় হায়রে! তবে কী হবে আমার?
উত্তরমুছুনকিছু বলার নেই এমন কবিতা পড়া আমার সৌভাগ্য।
উত্তরমুছুন