মাটির কাছে হাজার বছর পড়ে আছে
শ্বেতকাঞ্চন, দেবদূত
শহর এখন সবুজ বনের কুঞ্জ
আকাশজুড়ে পুঞ্জ পুঞ্জ পুঞ্জ
মেঘ জমেছে স্মৃতির হাওয়া উড়ছে
কেউ কি কোথাও গোপন কিছু খুঁড়ছে?
জল মেখেছে শ্বেতকাঞ্চন, দেবদূত।
তাকাই দেখি কারোর কোনো চোখ নেই
ধূসর আকাশ কোথাও কোনো শোক নেই
ঝরছে নীরব মেঘকাজলের কান্না
চমকে ওঠে বুকের কোণে বিদ্যুৎ।
শহর এখন সবুজ বনের কুঞ্জ
আকাশজুড়ে পুঞ্জ পুঞ্জ পুঞ্জ
মেঘ জমেছে স্মৃতির চুনি পান্না
স্পর্শকাতর হাওয়ায় পাখি উড়ছে
জলের ভেতর আগুনটি আজ পুড়ছে!
সন্ধ্যার পাখি
গোধূলি নদীর তীরে এসে দাঁড়াতেই
সূর্য ডুবে গেল,
নদীর কিনারজুড়ে তারপর দু'একটা আলো
জ্বলে উঠল বেলের কুঁড়ির মতো,
জলজ হাওয়ায় অস্পষ্ট সুবাসের স্বর।
চোখ বুঝতেই মনে হল কেউ যেন দ্রুত পায়ে
ঢেউয়ের ওপর
দিয়ে পার হচ্ছে নদী।
তাকাতেই যদি শব্দ থেমে যায়
তাই অন্ধচোখে রইলাম চেয়ে।
আচমকা ডানার আওয়াজ টের পেয়ে চোখ খুললাম,
দেখলাম, একটি পাখি আলতো জল ছুঁয়ে
ঘাটের খিলানে নেমে এলো, পালক গুটিয়ে রেখে
বলল আমাকে : চিনতে পারো?
অবিকল মানুষের স্বর, চমকে উঠে দেখি
অন্ধকারে তার চোখে লেগে আছে
সমুদ্রের সুনীল প্রহর।
কে সে, এমন তীব্র চোখ দেখেছি কি আগে?
বললাম : পাখি, অতল ডুবুরি হতে শিখিনিতো আমি
স্মৃতির পাঁজরে নেমে খননে যে বড় ব্যাথা লাগে!
কথাটুকু শুনেই নীরবে আবার সে ডানা দিল খুলে
ঘাটের কিনার ঘুরে থেমে, নেমে গেল
পায়ে পায়ে ঢেউ তুলে তুলে।
দেখি এ তো পাখি নয়, কোনো এক মেয়ে
সন্ধ্যাজলে পালক ভাসিয়ে দিয়ে তার
দিয়েছে স্রোতের বুকে ডুব,
পাগল জ্যোৎস্না এসে খুব
ছড়ানো রূপোর পিঠে কাটলো সাঁতার।
তারপর রাত এল, অন্ধ কালো রাত!
বাহ। বেশ। ভালো লাগলো কবিতা। শুভ কামনা।
উত্তরমুছুনঅভাবনীয় ভালো লেখা।
উত্তরমুছুন