এক
সে কথা বলে আমার মতোই যখন আমি অধিকার দিই। সমুদ্রের মতো আয়নায় পরস্পরকে আলিঙ্গন করি বিপরীত ঢেউয়ে। আমি কথা বলি তার মতোই যখন সে অধিকার দেয়। আমাদের মাঝে দুরত্ব ব্যতীত কিছু নেই। দুরত্বে বাক্য বিনিময় করি পরস্পরের দিকে তাকাই। দেখি একই আকাশের ভিন্ন নাম। নাম অচেনা হয়ে আসে অর্থে। আমরা হারিয়ে যাই অন্য জগতে। সেখানে থাকে অন্যকেউ। আমি নই তুমি নও তৃতীয় কেউ নয়। আমাদের মাঝে আমরা থাকি না। তখন আমরা আলিঙ্গন করি। চোখে থেমে আসে ছায়া। ছায়াকে দেখিনা কোথাও। বানানো অন্ধকারে নক্ষত্র খুজি। পুরোনো হয়ে আসে ভাষা।
দুই
তাকে কেউ ডাকে না। প্রভুর অস্তিত্ব থাকে সৃষ্টিতে। প্রার্থনা করা হয় মুক্তি। তাদের মাঝে থাকে ঘুম। ঘুমের মাঝে থাকে অনিকেত। শরীরের ভেতরে রক্ত। রক্ত দেখে ঝরে ঘাম। এভাবে কেটে যায় বোধ। ব্যাথা লাগে না। ব্যাথা লাগে না আর কোনো কিছুতেই। হয়তো অন্ধ সচতুর আকাশের নিচে ফুল তাদের জন্য শব্দ। চারিদিকে ধোয়ার ছাই। ছাইদানিতে গলা মগজ। তারা আকুল জলের চাহিদায়। আমাদের কেবল দৃষ্টির ভরাডুবি। আমাদের কেবল কর্দমাক্ত শরীর।
তিন
তুমি যদি আমার মতো হতে আমি হতাম তোমার মতো। সময়ের জালে আটকানো কোনো স্বপ্নের অপভ্রংশ হতে জন্মানো তুমি পাওনি তোমার সঙ্গী। তবে কী করে স্পর্শ করবে অভিমত। তুমি যা ভেবেছ তা ভেবে রেখেছে অন্যকেউ। আমি নই তুমি নও তৃতীয় কেউ নয়। তোমাকে বোঝা যায় আমাদের মাঝখানে। তোমাকে দেখা যায় তাদের মাঝখানে। অদৃশ্যভাবে এসেছিল সে ভেতরে কেউ জিজ্ঞাসা করে না কেন। উদ্দেশ্যহীন তার আসা যাওয়া।
চার
কেউ বন্দুক উচিয়ে ধরে যাতে গোলাপেরা ফুটে উঠে। কিন্তু সে আসে নগ্ন পায়ে। বাতাসের মাঝে অস্তিত্ব খোজে ঘাস। ঘাসগুলো মলিন চাকার দাগে। সভ্যতার সংকটে সৈকতে বাধার দেয়াল। বিয়োনেটের তীব্রতর বিষণ্নতা। আয়নায় করা হয় আপ্যায়ন আমাদের। আমি তুমি আমরা আমাদের সাথে তাদের সম্পর্কের বিচ্ছিন্নতা নেই। সেসব ভরে থাকে শুন্যতায়। কেউ হারে জেতে না। বেচে থাকি অন্যের স্বাধীনতায়। চেয়ে থাকি অন্যের দৃষ্টিতে। কথা বলি অন্যের কথায়। সে যে কেউ একজন। জন্ম মৃত্যুর দিবাস্বপ্নে বেচে থাকে অবয়বহীন। কখনো দেখা হয়না নিজের সাথে।
ভালো লাগছে। সম্ভাবনাময়।
উত্তরমুছুনসুন্দর কাব্য
উত্তরমুছুনচার নাম্বার কবিতাটা ভাল লেগেছে৷ শুভকামনা কবিকে
উত্তরমুছুন