অন্ধবিন্দুর আঁচল
হোঁচট লাগতে পারে — লাগলও, সামলাতে সামলাতে বুক ভরে নিশ্বাস নিই। শিশির ভেজা পাতাগুলো লেপটে আছে পথে — পথ মানেই নির্দেশ । দু’পাশে লঙ্কেশ্বরী কিংবা ভুতভৌরির বিশ্বাসে এগিয়ে যাচ্ছে আলপথ। গাছের ছায়ায় নিয়ে ধীরে ধীরে বেলা বাড়ে; আঁচল আঁচল ফুলের ছাপ পেরিয়ে বেরিযে আসছে গঙ্গা শালিক।
পেঁপে ফুলের উপর কালো মৌমাছির ঝাঁক—উড়ছে তো উড়ছেই, গোয়াল নিকোতে নিকোতে সুমতি নিজের গালেই চাপড় মারে—মশা মারতে এত কষ্ট, কোমরের সাথে তলপেটের ব্যথাটাও চিন চিন করে ওঠে, সত্যি বলতে কি গতরাতের ঝিঁঝিঁ পোকাগুলো এখনো জমে আছে মাথায়। পুবদিকের অজিতের চালা ছুঁয়ে আসুক শীতল বাতাস।
নাবাল এবং তরঙ্গ দৈর্ঘ্য
খাল বাঁধে উঠলাম। ছায়াগুলো সরে যেতে যেতে দুঃসাহসী হয়ে উঠে প্রজাপতি। বর্ষা শেষের রাস্তারা যন্ত্রনাকাতর—ক্ষতচিহ্ন নিয়ে শুয়ে থাকে অসহ্য গুমোটে। একশ দিনের কাজে সচিন পাল তদারকি করছে, তারই দুধারের বোঝঝাড় পরিষ্কার করার পর তাকিয়ে আছে হিজলের দিকে। একাগ্র করছে নিভৃত বিষাদ। এবার আকাশটাতে কাশফুল ফুটবে।
বামদিকের নাবাল পথটা ঘিরে ক্ষয়ে যাওয়া বটগাছ। তার কোটরে জবার সিঁদুর। খালটা গ্রাম ঘিরে চলে গেছে নদীর দিকে—হাতভাঙা নিয়ে হেঁটে গেছি সুমনাদের বাড়ির কাছ দিয়ে, তাকে জলকন্যা বলি না আর, সে স্কুটি নিয়ে মেয়েকে পৌঁছে দেয় স্কুলে—আর আমি হাঁটি কেলেঘাইয়ের দিকে।
শুভ হোক ।
উত্তরমুছুনপ্রান্তিক মনের পাঠকআমি।কবির ভালো লাগা অনেক কবিতা পড়ছি।ভালো লাগল।কবিতা দুটি।
উত্তরমুছুনপ্রান্তিক মনের পাঠকআমি।কবির ভালো লাগা অনেক কবিতা পড়ছি।ভালো লাগল।কবিতা দুটি।
উত্তরমুছুন