কাক-গন্ধহীন বাতাস
একটা কাক-গন্ধহীন বাতাসে
ভাগাড় জমে জমে পাহাড় হয়ে উঠছে
এবং সেইসব পাহাড়, ঝরনা, গাছ, টেরাকোটা-
রোদ অর্থাৎ, কবিতাও যেন ভাইরাসের হিমালয়-রেসিপি।
দূরছাই-গালমন্দ ডানা থেকে ঝাড়তে ঝাড়তে
গলা তন্নিক চোখের জলে ফুঁপিয়ে ওঠে কাকজন্ম
যদিও, কাক কাকের মাংস খায় না
কিন্তু, তারা কেউ-ই, একে অন্যের
বন্ধুও নয়
একটা শোক-সংবাদ না পাওয়া পর্যন্ত
কোনো সভা-সমিতির তোড়জোড়ও করে না
ইদানীং, ডি-হাইড্রেশনে ভোগা মৌসমী বায়ু,
পাহাড়, ঝরনা, প্রজাপতি, অনর্থক-কাকতাড়ুয়া
এমনকী, কুহুহীন বসন্তও ভেবেছিল ফুলেরা
হেসে উঠলেই, সবকিছু মুহূর্তে সুচিত্রা সেন হয়ে উঠবে
কিন্তু , সুচিত্রা সেন ইন্টারভ্যালসহ মাত্র দু-ঘন্টা
তারপর, আবারও সেই ধাপা-জীবন
চারদিকে থম মেরে আছে একটা
কাক-গন্ধহীন বাতাস
পাঁচন-বন্ধুত্ব
খুনি-হাওয়া আমার বুকের উপর
পা চাপিয়ে জিভের সেডিমেন্ট দেখছে
আমি বললাম, আহা, করেন কী,
ওখানে যে একটা পুতুপুতু হার্টও আছে
খুন করতে বেরিয়েছে
অথচ, অ্যানাটমি বিষয়ে
সামান্য জ্ঞানটুকুও নেই।
আমার গলার ম্যালেরিয়া-প্রতিবাদে
হাওয়ায় উড়ে বেড়ানো কাঁকড়াবিছে
মশা-মাছির ড্যাঙস-হুল
একটা ঈগল-ছো মাড়তেই
দীর্ঘদিনের পরিচিত কয়েকটা দরজা-
জানলা মাতালের মতন টলতে টলতেই
ঘরমুখো আর, কেউ কেউ সেই মুহূর্তে
দখিনা বাতাস হয়ে উঠেছিলো
বিদেশ-বিভুঁইয়ে চলে যাওয়ায়
যাদের সঙ্গে সেই ছোট্টবেলার
বন্ধুত্ব আর পরে ঝালিয়ে নেওয়ায় হয়নি
দেখলাম, তারাই সব বিপদের গন্ধ
পেয়ে পাঁচন হাতেই ছুটে এসেছে
মন্তব্য