এইখানে আছে সবকিছু
প্রান্তর আছে, আছে জল, আকাশসারস
ঘাস আছে, ফড়িং আছে, আছে পুঁতিগাছ
তড়াক করে কোনো ইমারতি মাছ
লাফিয়ে ওঠেনা এই খালে। লাল রস
খেজুরের ভরন্ত যোনি চেটে মক্ষিকারা
মানুষকে উচ্ছিষ্ট দিয়ে যায়। মিথুননিহত মাছিদের শব
মিশে থাকে গুড়ে মাখা কনকচূড়ের স্বাদে
ছড়ানো ছিটোনো কলরব
নিঝুমবাগানে পড়ে আছে সেইসব সাড়া
পৌষের নবান্নহলুদ ধ্রুব রোদ, ধানেশ্বর পাড়া
মাটিতে শরীর পুঁতে লুকিয়ে থাকা সেই গড় আর ঢিপি,
যেখানে শালিকেরা
ঝগড়া করেছে রোজ, মোহনচূড়া পালিয়েছে খড়
নিয়ে ঠোঁটে আর ইতিহাসলিপি
সবই পড়ে আছে।
শীতের সকাল, বৃদ্ধ সময় এখনও
জাল বোনে নিকোনো দাওয়ায় বসে, কাছে
দৃশ্যগুলো জেগে, বেঁচে, হেঁটে যায় মেঠো পথে এখনও নিভৃতে
যদিও চোখের উপরে বেজন্মা শহর কেশে যায়,
থুতুতে বেমক্কা নাগরিক যক্ষার বীজ নড়ে।
স্রষ্টার অসুখ
তোমাকে যে গড়েছিল দেবী, তার কঠিন অসুখ
টাকা নেই বলে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে নার্সিংহোম।
তার হাতে মাটি লেগে আছে
মাটি কখনো টাকা হয় না, এটা রামকৃষ্ণও জানতেন।
তোমার স্রষ্টার ভান্ডারে বিজয়ার অন্ধকার ঝকঝক করে।
অসম্ভব ভালো কবিতা।
উত্তরমুছুন