ধানসূত্র
ঘ.
ধান শিশুদের কাছে যাই, বাতাসে হেলানো ধান শিশু। হেলে পড়া জীবন তাদের। নুয়ে যাওয়া জীবনে তারা বেড়ে ওঠে কাদামেখে গায়। কাদা মেখে চাষিও কেমন কেঁদে যায় ধান শিশুদের ভালোবেসে। ভালবাসা ধানের মতন, ভেতরে লুকানো থাকে ক্ষুধা। ভালোবাসা ধানের ছড়া, ছড়িয়ে থাকে আর খুঁজে নিতে হয়। ভালোবাসা খুঁজে পেতে গিয়ে চাষি পায় ধানের বিচন।বিচনে বাঁচেন ধানচাষি, ভালোবেসে ধান শিশুদের।
ঙ.
ভোরের সূর্য জানে আর জানে কাক ডাকা ভোর। খুলে রাখা দোর আর দূরের মাঠের দিকে ছুটে যাওয়া ছবিটা চাষির। জীবনের ধন থেকে জমিয়ে রাখা কিছু ধন, তাই আজ ছিটাবে সে জমিনের গাঢ জরায়ুতে। জরায়ুর জমিন জুড়ে কলের লাঙল আর কলিযুগ স্পষ্টত আজ। অথচ চাষির স্নায়ু ঘিরে বলদের স্মৃতি। স্মৃতি ঘিরে জোঁয়াল আর জোঁয়ালের একদিকে হালের বলদ, বিপরীতে চাষি যে নিজেই। মাঝখানে চাষিবউ বসেছিল দড়ি ধরে মইয়ের। নিজের জরায়ু দিয়ে চাষিবউ জমিনের জরায়ুকে ছুঁয়ে ছিল আর চাষি ছুঁয়ে ছিল বলদের কাঁধ নিজের ভেবে। যৌথ জরায়ু আর আয়ুর ছোঁয়ায় ভরে ছিল ফসলের মাঠ।মাঠটা চাষির। অথচ ফসল খেয়ে গেল পরিযায়ী পতঙ্গ-সকল।তবু জানে ভোর, দূরের মাঠের দিকে ছুটে যাওয়া ছবিটা চাষির।
মন্তব্য