শালিকের সঙ্কেত
প্রেরক: জোনাকীর আঁধার প্রাপক: শিউলীতলা
চোখের ভেতর গাছের সব থেকে উঁচু ডাল ঢুকে যায়—
সেখান থেকে প্রতিসন্ধ্যায় হারিয়ে যান আপনি
মশারীর ফাঁকে আটকে পড়া জোনাকীকে বাঁচানো গেলোনা !
হাতে যখন সোনারোদ, শালিকের জোড়া সঙ্কেত খ’সে গেলো ধানক্ষেতে
আপনার প্রাচীন বারান্দার সামনে কি শিউলী জমেছে ?
মাঠে মাঠে ঘাসের দল কুড়িয়ে নিচ্ছে শালিকের সঙ্কেত
গতবর্ষায় যে বৃষ্টিরা আটকে গেছে মশারীর ফাঁকে—
ওরা পৌঁছে দিতে চায় উড়ন্ত জোনাকীর আঁধার
অনাহারী মাছ
প্রেরক: বাঁশি প্রাপক: ধানক্ষেত
সূর্যের টানে বাষ্প হলো সমুদ্দুর, বৃষ্টিরা বেরিয়ে পড়ে মাছের ভঙ্গিতে।
মাছের চোখে মদাচ্ছন্ন মেঘ, মেঘে পোষ মানে সামুদ্রিক ক্ষুধা
ক্ষুধার্ত হলে পুড়তে পারে বাঁশি। বাঁশির দূরত্ব নিয়ে ভেসে আসে তোমার মুখ।
বৃষ্টির জলে ডুবে থাকা ধানক্ষেত। ক্ষেতের জলে ঘুরে বেড়াচ্ছে অনাহারী মাছ
সান্ধ্যআইন ভেঙে তুমি কি যাবে পোড়া বাঁশির টানে?
তানজিন তামান্না ভাল লিখেন৷ কুরিয়ার সিরিজ এবার বই চাই৷
উত্তরমুছুনধন্যবাদ। 'কুরিয়ার সিরিজের কবিতা' কাব্যগ্রন্থটি বইমেলা ২০২২ এ 'উড়কি' প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
উত্তরমুছুন