নৈসর্গিক সুহৃদ হৃদয়
গ
গোধূলির ঝরাপাতা শত দীর্ঘশ্বাসে অশ্রুময়। হেমন্ত বাতাসে মৌন ঝরে গোলাপের বৃষ্টিধারা। হননের ব্যস্ত পথে বকুল ফুলের সমাচার। প্রকৃতির চন্দ্রালোক আন্তরিক প্রেমে পরিণত। বীজের যুগল জুড়ে অলৌকিক স্বপ্নের শরীর। দেহমন সূর্যাস্তেয় টলোমলো আলোর সন্দেহে। আঁধার নৈ:শব্দ্য জেগে জেগে কেবলই সচেতন। কী অদ্ভুত প্রিয় চিন্তাচক্র প্রয়োজনে স্ববিরোধী। অঙ্গের অপেক্ষা যেন পরস্পর প্রশ্নের খেউড়। কিছুটা নির্জন একা ঘুমন্ত রাতের বটগাছ। গোলাপের পরিণত ফুলগুলো রাতে নিশাচর ক্রমশ বিস্ময়ে জেগে থাকে ধ্রুপদের নীলোৎপল। শুধু স্বপ্নভ্রষ্ট কিছু ব্যক্তিগত প্রথম উচ্ছ্বাস। আদিম বাতাসে বয় নৈসর্গিক সুহৃদ হৃদয়।
ঘ
ক্রমাগত দীর্ঘশ্বাসে শুনি আর্তনাদ পদধ্বনি। নানাবিধ ধু ধু কাঁদে কৈশোরের নানা জ্যামিতির। এমনকি প্রেম, ম্লান ব্যথাতুর খুব পরিচিত। আমার চেতনা ঘষে খায় নিদারুণ চক্রজল। কাছের সন্ধ্যায় দেখি জলে মাছের স্বপ্নের লজ্জা। জোছনায় ভাগাভাগি কেবল বিষণ্ন চন্দ্র-ফুল। শীতের তৃষ্ণায় আলো স্বীকারোক্তি আসে নিরিবিলি। প্রকৃতি সৌন্দর্য ধীরে ধীরে স্নেহহীন, মজ্জাহীন। হিমায়িত এক অবয়ব শুধু সামান্য গোপন। জটিল স্বপ্নগুহায় ক্রমে গাঢ় হৃদয় উপমা। ঝাঁকে ঝাঁকে মগ্ন কিছু বিদ্যুৎ জাগতিক মেলামেশা। মৃদু শোনা যায় গুপ্ত পদ্মগান, নিবিড় নিশ্চুপ হয়তো আবেগহীন পাতাখসা অন্তিম সরল। পরাগের প্রশংসায় ধারণা-স্বরূপ এলোমেলো।
মন্তব্য