জন্ম
জন্ম শব্দটি সামনে আসলে অনেক স্মৃতি আসে
সাথে সাথে পরস্পর শিকড়সমেত পিতার সহস্র অভিযোগ
আমিও উৎসাহে বন্ধু ও আমার সহজ নির্ভার রাতবন্দী হাহাকার আলোচনা করি
জন্ম সমন্বয় কমিটির
আমাকেও খুঁজি এপ্রিলের যেনবা নিভৃতে
সামনে সরল কোনো বন্ধু প্রাণোচ্ছল হাসে
আর আমি খুব বেশি মনে মনে চঞ্চল নিবিড় থাকি
মতামত
আর ফিরবো না, যেন এই সমগ্র পরাগ কুসুম মৌচাকে
অশান্তির ছিটকানি থেকে কেবল আমাকে খাক
অন্ধকার, আলো ধোঁয়া কিশোরগঞ্জের এমনকি ভৈরবের কিছু বিষাদ বাতাস
মৃত্যুর ইঙ্গিত কাছাকাছি আসবে সহজে
সেই ভাবে আমিও দূর থেকে দূরে যাব
কোথাও এডিট না হয়ে, মাটি আর বায়ু-কোমল আচ্ছন্ন থাকবো দারুণ
প্রশ্ন ও ঘুমে তুমি আর আমাকে পাবে না
আমিও আমার মতামতে স্বপ্নরিক্ত থাকবো শুধুই
প্রেম
আজ আর কিছু লিখবো না
শুধু চিন্তাগুলো চিবিয়ে চিবিয়ে খাবো
যেভাবে লুকিয়ে জাগে নিসর্গের মুগ্ধ জাগরণ
আমিও সেইভাবে একা-একা যৌথ ঘুণিভরা অন্ধকার খাবো
একাকী ভাববো দশ বছরের এক্সপেরিমেন্ট
আর এলায়িত ঘুম থেকে বুড়ো কেউ খাবি খাবে
আমার লুকানো প্রেমের কয়েক শিরোনাম দৃশ্যে এসে যাবে
আমি আর দিক
আমি যে সকল দিকেই যেতে চাই
সেই দিক বিশেষ নিদ্রিত, মৌন বা সহজ সরল থাকে না
দিকের সমস্ত চারপাশ যেন ঘুমবন্দী বিষাদ মোড়ানো
আর দিকগুলো আমাকে এড়িয়ে চলে
এক একটা দিকের সন্ধানে নীরবে নেমে পড়ি
কিছু রাস্তা, আঁধার শহর থেকে পরাগ কলহে এঁকে-বেঁকে
বিষণ্ণ শীতের রাতে
শস্যফুলে, দিকে দিকে ভূত বসে থাকে
দিকের সুস্বচ্ছ কারিগরি জ্ঞান আমাকেও মুগ্ধ করে
দিক নিয়ে এভাবে একাকী চলা-ফেরা দিকও বোঝে আর চুপচাপ হাসে
গোপন
আমার গোপনগুলো আর গোপনে নীরব থাকবে না
সকল গোপন বুক ফেটে বের হবে, সেই জন্য হাসফাস করছে
গোপনের ভয়, মনে যেন পাথরের বেশে জমে
গোপন গোপন করি, এই ঘাট থেকে ওই ঘাটে
প্রথম রাতের বিড়াল কানের কাছে কেনো যেন মিউ-মিউ করে
আমার গোপনগুলো তার উনুনে সহসা অবিরাম জ্বলে
সমস্ত গোপন একে-একে সরল বেরিয়ে আসে
সমগ্র গোপনগুলো গোপনেই দাঁত বের করে হাসে
আর আমি গোপনের ভয়ে ভয়ে হাসি
ইগো
ইগো ভেঙে দেখবো আজই
ইগো থেকে কি সমস্ত বের হয়?
তাতে কি কিছু সরল বিষয়-আশয় কাজ করে?
ইগোর ভিতর
আর অনুমানে বলা যাবে কি না?
কীভাবে ইগোর বয়স ক্রমশ বাড়ে
তারও উত্তর খুঁজি মানুষের প্রেতাত্মাময় ইগো খেয়ে
যখন অন্যের ইগো পেট ভরে খাই
তখন ইগোর জাত-পাত বাছি না কখনো
তাই নীরবে সরল ভাবি, ইগো খাওয়ার মজা আলতো অনুভব করি
গোঙানি
বুড়ো গরুর জীবন। জাবর কাটার দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর
কিছুই না, শূন্য
অথচ হলদে আভা নিয়ে যে জীবন শুরু
আজ তাও করুণ শূন্যতার মধ্যে শুয়ে জাবর কাটতে কাটতে নিশ্চুপ
চোয়ালের আঁকিবুকি আঁকা
গোয়ালের মশা-মাছির কামড় ছাড়া
কিছু আর ফিরেই পাবে না
এক রাতের ঝিঁঝিঁর আওয়াজ
এবং নরম পোয়ালে মুখ দেওয়ার অনুভূতি
স্মৃতি-বিস্মৃতির সব রূপ ছাড়া যেন
অন্য কিছু খুঁজেই পাবে না কোনো দিন
অগণন গোঙানি হন্যের মুহূর্তে ঘুরবে ফের
মৃত্যু
১
যেন নিভৃতে মৃত্যুর কাছাকাছি থাকি
আমার নিথর দেহ থেকে মৃত্যু সুঘ্রাণ ছড়ায়
তখন শুধুই বিছানার এক কোনে জড়োসড়ো
মৃতের দেহের বেশে ছটাং পড়ে থাকি
চিন্তার সুড়ঙ্গ চারপাশে কোন কান্নার কঙ্কালে রোল নেই, রেখা নেই
কোন শব্দ নেই
অসংখ্য আয়োজন, নিঃশব্দ ইঙ্গিত
২
!
আমাকে নিবিড় অনুভব ক’রে যাও
সহজেই দেখবে আমার সমূহ সরল যেন
সেইদিন বেদনা আহত
রক্তগুলি অস্তরাগে কিছুটা নিঃশ্চুপ
তারপর যেকোন রূপেও ভেসে যাবে
প্রণয়ের বুদবুদ চিরকাল রক্ত চুষে খাবে
তুমি কী বোঝনা ওগো তা? কেন এ আর্তনাদ
কেনবা সুহৃদ লিপি লিখে যাবো একা?
!!
খুব জরুরি তথ্যটি, অনেক কথনে কখনো প্রকাশ হয় না, প্রবল আহত, নিঃশব্দ শুধু
আঘাতে ক্ষুধার্ত
তবু তুমি জেনে রেখো, এ ব্যথা অনন্ত
বেদনার উল্কাপথে রক্তের ক্ষরণ
!!!
কিছু অনুরতি চিরকাল ঝরে যাবে
কিছু অনুভূতি কাঁধে নিয়ে ঘুরবো নীরবে
তার সাথে অধিক মিলিত হবে ব্যথাতুর স্মৃতি
তখন সমস্ত জেনে যাবে
বুকের প্রহরী
তারপর কিছু আর কখনোই বলবো না, শুধু
অগণিত দিনরাত চুপচাপ থেকে
ভূণ্ডলে মিশে যাবো একা
মন্তব্য