পাথর অথবা নিকোটিন
নিয়ন শহরে অনেক দেরিতে রাত নামে
ঝিমধরা উনুনে আকাশমনি ঝরতে থাকে বৃদ্ধ মায়ের ধূমপান কালো ঠোঁটে
কংক্রিট ঝরে পড়লে তাতে হলুদ মাছের কষ্ট হয় জীবাশ্মেরা খলবল করে ওঠে প্রস্তর যুগ থেকে
কুচুকুচু দূর্বা ঘাসের মতো মেডিক্যাল, বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখে স্টিচ মাথার কোন ছাত্রীকে
লোহার কড়াইটি কখন প্রশান্ত সাগর হয়ে গেছে
শিলাবৃষ্টির অভিভাবক
এ শহর অসুখের বলে মনে হয়
ক্রমাগত শুনি অ্যাম্বুলেন্স সাইরেন
মৃতদেহ বইতে থাকে শান্তি নামক মৃত্যুর রথে
প্রেসক্রিপশন নিয়ে শ্যেন দৃষ্টিতে গ্রাম্য গর্ভবতী
পরনে জালি পড়া আটপৌরে মিনু শাড়ি
অজস্র গলিপথে অভিভাবকহীন শিশুরা কুচু আম আকাশের দিকে ছুড়ে মারে শিলা বৃষ্টির মত
কোকিলের গান নিঝুম গ্রাম থেকে উড়ে আসে ধান গাছের গোড়া পচা শেকড় হয়ে
ভোর পাঁচটায় মা ডেকে দিচ্ছে ভূগোল পড়ার জন্য
নীল কাপড়
টাইম কলের পাশে কালো সংসার চুন দিয়ে ঘষে ঘষে ফর্সা করে তোলে কচুয়া
ব্যাসন ভেজে খায় গুড়ো শিরদাঁড়ার সাথে
বুকের ভেতর অজস্র রক্তের সাংখ্যমানকে নাকি অসুখের কেসহিস্ট্রি বলে
শিরদাঁড়ার গহ্বরে কতগুলো জটিল সাপ একসাথে লুকিয়ে থাকতে পারে
লাল টেবিলের নীল রোগীরা কয়েক মুহূর্তের জন্য বৃত্ত হয়ে ঘুরে আসে
অনেক উঁচুতে মুমূর্ষু রোগীর কাপড় শুকোতে থাকে
জ্যামিতি
পরিমিতি বলতে কালো কালো খোপের আবাসন জানালা
সরলরেখার উপর বিন্দু বিন্দু চারা গাছের টবে লাল হয়ে ঝরে পড়ে নিম পাতা অথবা রেড অক্সাইড
ঘরের উপরে অসংখ্য মানুষ জানালার দিকে মুখ রেখে মৃত হয়ে যাচ্ছে
চাঁদ চোরের মতো ঘরে সকলেই সাথে সাপ লুডু খেলতে খেলতে ভোর রাতে আগুন মুখে পুরে নেয়
নীল ওভারি গুলো কৌটার ভেতর ভিনিগার খাচ্ছে
মুগ্ধ হলাম কবি
উত্তরমুছুন