অনিয়ন্ত্রক নিজস্বতায়
যখন পৃথিবী শূন্যতায় ঘুরবে
তখন আমি মৃত তারা হবো।
নিজের ছায়া যদি ঢেকে দেয় নিজের আঁধার;
তখনও কি বলবে তুমি নেই!
লিটলম্যাগ বিন্দু বিন্দুম্যাগ
অতীত প্রজন্মকে যদি হত্যা করি
অথবা গিলতে শুরু করি নিজেকেই,
তখনও কি প্যারালাল ইউনিভার্সের
আমি-সে-তাহারা বলে উঠবে;
তুমি বলে কিছু নেই!
লিটলম্যাগ বিন্দু বিন্দুম্যাগ
পুরাণের শ্লোক বাতিল এখন
ভুট্টাভাঁজা হয়েছে পপকর্ন,
সবই চলছে অনিয়ন্ত্রক নিজস্বতায়;
অথচ এখনও মানুষ প্রশ্ন তোলে না:
সৃষ্টির পূর্বে তুমি কী করতে?
আতুড়নিবাসী কাঠের ঘোড়া
পাশেই বর্বর আঁতুড়নিবাসী কাঠের ঘোড়ার ডাক,
হৈ হৈ করে থেমে গেলো মত বিনিময়ের মত ও বাক!
পশুগুলো দিচ্ছে হাঁচি, চাচ্ছে ক্ষমা।
তিনি আছেন অদ্ভুত শান্তিতে!এক তল হতে অন্য তলে।
লিটলম্যাগ বিন্দু বিন্দুম্যাগ
খুলে বসি একটা বই,যার অর্থোদ্ধার করলে পাওয়া যায় ঘৃণা আর হত্যার বার্তা।
ঝাপসা হয়ে যাওয়া অক্ষরগুলোও প্রায় উধাও।
পরম সত্যের খোঁজে ঘোরের ভেতর ঘুরে বেড়িয়েছি
উঁচু -নিচু অঞ্চলগুলোয় যেখানে যায় না কেউ প্রকৃতপক্ষে।
হৃদয়ের করপুট
কেবলই মানুষ ভেঙে চলছি।
নাকি নিজের গিলিটিনে গলা?
লিটলম্যাগ বিন্দু বিন্দুম্যাগ
মানুষ যা মুখে বলে, তার নাম বাক্য;
মানুষ যা হৃদয়ে বলে, তার নাম ভাষা।
লিটলম্যাগ বিন্দু বিন্দুম্যাগ
বাক্য ও ভাষা ঈশ্বরকেও সীমাবদ্ধ করে;
ভাঙা শ্লেট তবু যত্নে মেরামত।
ফিরে যাই জন্মবিন্দু নাভীতে,
বায়ুস্তরের মতো চলা। বিশ্বাস রাখা রাসায়নিক সমবেদনায়।
লিটলম্যাগ বিন্দু বিন্দুম্যাগ
সনাতনী বাতাসের বাহু।চাঁদের উত্তাপ।
গলে যেতে দাও বরফের জিভের নিচে।
গ্রহণ করো হৃদয়ের করপুট।
আগুনের পাশে ঘুমিয়ে থাকা বিশ্বস্ত কুকুর
তারপর গোবরের ঘ্রাণ নিয়ে গেলো শিশুবৎ বাতাসের কাছে।
প্রাচীন মনোরঞ্জনের লালায়িত জিভ বাড়ায়;চুষে নেয়, শুষে নেয়,মনুষ্যশরীরের কনিকাসমূহ।
লিটলম্যাগ বিন্দু বিন্দুম্যাগ
মানুষের ছবি আঁকতে গিয়ে ভয়ংকর জিহ্বাকে এঁকেছি। অদ্ভুত!
কার জন্য সমাজ? কার জন্য আঠামিশ্রিত চিনি?
প্রকৃতপক্ষে মানুষ অর্থ বিছুটিলতাজিহ্বা।
খ্যাপাটে জিহ্বার উনুনের মুখে রুটি ভাজার চড়চড় শব্দ।স্থির দৃষ্টিতে আটকে গেলো
যাপিত জীবন একটা কলুষিত নিশ্চল ডোবায়।
লিটলম্যাগ বিন্দু বিন্দুম্যাগ
এইসব শুনে শুনে
জেগে ওঠে আগুনের পাশে ঘুমিয়ে থাকা বিশ্বস্ত কুকুর।
হাই তোলে এবং দেখে, যেনো সে চেনে মানুষকে।
মন্তব্য