বরষা
আজ রাতে ভাবতে ভালো লাগতো তুমি কলকাতা থেকে এসেছো। কাল গরম মশলার গন্ধে ভরে যাবে কুলুঙ্গি অবধি।
অথচ এখনো বুঝতেই পারিনি কেন তুমি সতর্ক হলে না! অন্ধকারে গুনগুন গাইতেই পারতে পদাবলীর বরষা...
চিত্রালি সাপের ছায়া
দীর্ঘতম সংলাপের পর যখন আর কোনও জিজ্ঞাসা নেই,এই ঈদের আগে ঘটে যাওয়া বৃষ্টির ভেতর শেষে দেখতে পেলাম রোমাঞ্চিত পুষ্পক রথে উড়ে যাচ্ছে সাধের নৈরাজ্যকণিকা।
তার ডানায় চিত্রালি ছায়া।
গাছ ছুঁয়ে ছুঁয়ে উড়ে যায় মোক্ষ জল রক্ত তূন অস্ত্র কাম মদ অন্তর্জলি আর অল্টার ইগোর দল।
মন্ত্রনয়
হায়নার অনুমান লাঞ্ছিত বাতাস ভরে গেছে অভ্যস্ত গন্ধে তবু আমি সম্পৃক্ত ইতিহাসজনের স্তর ভেদে বেঁচে থেকে তৈরি করতে চাইছিলাম অন্য অন্য সুবিমল পথ। একা একটা কিংবদন্তি সামলাতে গিয়েই তো দেখতে পেলাম ঈশ্বর শিখরে অনিরুদ্ধ সূর্যোদয়
উড়ে যায় সাধের ভোমরা আর মন্ত্রনয়....
গণপ্রতিরোধ
অক্ষরবৃত্তের মতো নিরাকার গঠনের মেঘ
ভেসে যায় হাওয়ায়
ঝিরঝির বৃষ্টি...
এসব সামান্য গণপ্রতিরোধের উদ্বেগ
আনুগত্য
উৎসবকালীন দিন চলে যায়। কুকুরেরা রাস্তাঘাটে অবলীলায় হারিয়ে গেল। অনেক ডেকেও ফেরানো যায় না। কেবল আনুগত্য ছড়িয়ে পড়তে থাকে ভাঙা গাছের ওপর...
সূচ্যগ্রমেদিনী
বেশি কিছু আর ভাবিনি যেমন
অনেক মানুষ আর বিষাদান্তক ফেলিনি
কেবল এড়িয়ে গেছি তারসপ্তকের মেধা
গণসংগীতের আগে ছিল সূচ্যগ্রমেদিনী...
কবিতাগুলি অচ্ছেদ্য হয়ে থেকে গেলো
উত্তরমুছুননতুন আঙ্গিকে কবিকে পেলাম। খুব সুন্দর অন্তবিপ্লবী কবিতা।
উত্তরমুছুন