প্রিয় ঠোঁট থেকে আসা প্রথম ভুল
শীতের স্নিগ্ধ কণ্ঠে চন্দন কাঠের সাথে যুগলবন্দি গান,
উত্তরে একটি বিচক্ষণ হাসি দিয়েছিলাম!
শরৎ ধীরে ধীরে আকাশে উড়ে যাচ্ছিলো...
সূর্য একঘেয়ে রশ্মি প্রবাহিত করে
নীল কাঠের উপর, যেখানে বাতাস বিস্ফোরিত হয়।
আমরা একা ছিলাম এবং স্বপ্ন দেখছিলাম
শে অথবা সে এবং আমি, চুল এবং বাতাসের চিন্তায়।
হঠাৎ আমার দিকে তার চলমান দৃষ্টিনন্দন চেহারা
‘তোমার সেরা দিনটি কী ছিল?’
আমি তাঁর বিষমাখা হাতকে ভক্তিভরে চুমু খেলাম।
শেষ দৃশ্যে আঁকা ছবিটি এমন:
- আহ! প্রথম ফুল, প্রথম ভুল!
একটি আকর্ষণীয় শব্দ করা যাক...
আঃ
প্রথম, হ্যাঁ! প্রথম ভুল প্রিয় ঠোঁট থেকে আসে!
সহধর্মিণীর প্রতি
কি-বোর্ড থেকে অক্ষরগুলো উড়ে উড়ে চলে যায়...
তোর শরীরে প্রতিটি অক্ষর
শব্দ গড়ে
বাক্য গড়ে
গড়ে তোলে
কবিতার অবয়ব!
মনিটরে তখন তোর প্রতিচ্ছবি
আহারে! নষ্ট জীবন
না পারি হাতড়াতে
না পারি সাঁতরাতে
ফের যদি
কোনোদিনও ভালোবাসি
ফের যদি ফিরে আসি, আসব
তোর বুকে ক্যান্সার জীবাণু হয়েই
কুড়ে কুড়ে খাব তোকে
আহারে! সুখের জীবন
হাতড়াবো
সাঁতরাবো!
ঔষধ মোড়ানো দিন
কাল
ঔষধ মোড়ানো সকালে
যখন গ্রামাঞ্চল শাদা হয়
আমি চলে যাবো।
কাল
‘সবুজ হলি’ খেলা
রাতের মতোই
মানুষের প্রার্থনা থেকে
উঠে আসবে-সমুদ্রজ্বলা দিন।
মজুরের ধানবোঝা
মেঘ থেকে মেঘে
যেতে-যেতে
মগ্ন পাহাড়ের
নিঝুম বসতি
আমার কফিনের বুকে
চেপে বসুক আহ্লাদে-
নিশ্চিন্তে!
তোমাদের কান্না আছে
আমার রইলো সুগন্ধিভরা শ্বাস
সেখানেই
গড়ে তোলো জলধোয়া কৃষ্ণচুড়াবাস!
স্বল্প দৈর্ঘ্য প্রেমচিত্র
ক্ষণিকের অতিথি
দ্যাখা হলো ঝমঝম রেলে।
প্রেম।
রেলের প্রসাধন। সজ্জারুমে
মুখ না তুলে
বুক না খুলে!
বিদ্যুতবেগে
শিউলি পাপড়ি ভিজে গেল
লবণাক্ত জলে...
বিবিধ নথিপত্র
ডেবিট হিসাব ক্রেডিট হিসাব
বিবাহ বার্ষিকী দূরত্ব বেড়ে গেলো
পুত্রের জন্মদিবস হিসাব বেড়ে গেলো
মৃত্যুবার্ষিকী মনে পড়ে গেলো
মাসের শেষ চাল, তেল, নুনের আহাজারি
কবিতার খাতা শূন্য না থাকাই শ্রেয়।
মৃত্যুর জন্য থামতে পারি না
উহ্! আমি পৃথিবীর
দুরন্ত বন্ধনগুলি পিছনে ফেলেছি!
সিলভার হাঁস তার ডানায়
আকাশ নাচিয়েছিলো;
তখনি সূর্যোদয়
আরোহণ করেছি,
এবং কাঁপতে
কাটাতে
যোগ দিয়েছিলাম
সূর্য-বিভক্ত মেঘের ওপারে;
ঈশ্বর সেক্ষণে
পাশারঙ্গে মত্ত।
মৃত্যুর জন্য থামতে পারি না...
সূর্যালোকের তীব্রতা উচ্চ।
সেখানে আছি, আমি
পাশাপাশি চিৎকার করে বাতাস
তাড়া করেছি,
এবং প্রবাহিত হয়েছি বাতাসের
নিখোঁজ ছেদগুলোর মধ্য দিয়ে
আমার উৎসাহী নৈপুণ্য।
উপরে,
দীর্ঘ-মায়াময়
জীবন্ত নীল আমি
সহজ অনুগ্রহে
নীরব থাকিনি,
পবিত্রতার ছলে ঈশ্বর
তখনি স্পর্শ করলেন মুখ...
এইভাবে আর্টে বাঁচুন
বেঁচে থাকার জ্বলজ্বল করা ঝলসানো বুক নিয়ে ভেবেছিলো কিশোর,
এর চেয়ে মার্বেল ভর্তি শ্যামলিমার বুকটাই শ্রেয়!
বাদামি চোখে মরে যাওয়ার ভয়, এমনকি ভিতরের ফুলঝুরি পাখিগুলো
সংকীর্ণ আকাশে গান হারাবার দুঃখের চেয়ে, হাফসা বিবির ঘামমাখা
অর্ধাঙ্গ ঢাকা আঁচল শ্রেয়!
শস্যের সাথে ফাঁকানো স্বপ্নপ্রান্তগুলো বপন করে; কৃষকের দেউলিয়ার মৃত্যু
দর্শন, ভালো এই নয় কি-
চাইনিজের দোকানে চা’র কাপে চুমু দিয়ে কবির কবিতা আওড়ানো...
কবিতা নম্বর এক অথবা মৃত্যু ক্যানভাস
রামপুরা ব্রীজের নিচে আমাদের ভালোবাসাগুলো কীভাবে টিকে আছে?
প্রতি ফোঁটা নষ্ট জল হারিয়ে যাবার পর আবার আনন্দ ফিরে এলে রাতটি
ঘণ্টা হিসাবে মেপে রেখো আমার মৃত্যু ক্যানভাসে।
অবিরাম ক্লান্ত নদীর প্রবাহকে দেখার হিংস্র ভালোবাসার হোক শেষ তোমার
চোখে এসে।
কবিতা নম্বর দুই অথবা কাফন সমাচার
জীবনের যৎসামান্য সঞ্চয়ে
হয়ে উঠবে না জানি
লৌকিক লোকাচার!
লেকচার, লেকচার-
কবিতার খাতায়
যেখানে বসেনি শব্দের বাহার
সেই শাদা জমিন হয়ে উঠুক
কবির কাফন সমাচার।
গাছেরা সঙ্গম করে না
তোমার আমার মতোই গাছেদের সঙ্গম নেই!
মুখস্থ মৈথুনে জেগে উঠেছিলো
বার্তা তাঁর!
কই
গাছেরাতো সঙ্গম করে না
তাতে কি সংসারী চিরকাল!
কী দারুণ কবিতা গো
উত্তরমুছুন