প চ ন পা তা র ঘ্রা ণ সি রি জ
সতেরই শ্রাবণ চোদ্দোশো সাতাশ
কবি ও কচ্ছপের গল্প:
‘কবিরা দীর্ঘকাল কাঠখড় পুড়িয়ে সাধক হতে চায়।
বহু পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ, নীরিক্ষণ, গ্রহণ, বর্জন, আত্মদর্শন, ভাবনার গভীর দৃষ্টি ও সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বুনন গেঁথে— আরাম আয়েশে ধীরলয়ে পা ফেলে মাথা বের করে চলেন! দীর্ঘ স্লো-মোশন যাত্রা শেষে গন্তব্যের পাড়ে যায় কী কবি? নাকি এবাদতকারীরা পুলসিরাত পার হয় খুব দ্রুত!’
অগ্রজ কবির মুখে এসব শুনতে শুনতে দেখি, চোখের সামনে কচ্ছপ হেঁটে যায়। আর পৃথিবীর পরাজিত খরগোশেরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দ্রুত বীর্যপাতের স্বপ্ন দ্যাখে!
সাতাশে শ্রাবণ চোদ্দোশো সাতাশ
নিঃশব্দে সাইকেল চালিয়ে যাই, রাস্তা ও চাকার দ্রুত-ধীরলয় সঙ্গম; সে কী দারুণ দীর্ঘ সঙ্গম।
পৃথিবীর অপূর্ণ রতির নরনারীরা করুণ চোখে চেয়ে থাকে।
শীৎকারের মতো তীক্ষ্ণ সরু স্পকেরা—
অপরের অসুখী দাম্পত্য বেদনার কথা ভেবে সুখ পায় খুব!
চাকা ঘোরে— উঁচুনিচু স্তন ঢিবি, পিঠের সরু রেখা,
অগভীর নাভিকূপ, নিতম্ব-খাঁদ ও অসমতল সড়ক-শরীর পেরিয়ে
ক্রিংক্রিং বেল বাজে— চলে যায় মানব ঘোড়া।
যান ও জীবন সঙ্গমে সঙ্গমে মানুষ শুক্রাণু বহন করে—
কোত্থেকে যে কোথায় নিয়ে যায়...!
পাঁচই ভাদ্র চোদ্দোশো সাতাশ
সবুজ মাচায় ফুটে থাকে নীরব শাদা পটল ফুল
আকাশের নিচে নারী ও পুরুষ ফুলেরা কী দারুণ
উচ্ছন্ন-সঙ্গম সংগীত শুনে শুনে
শরীর ও হৃদয়ে লতা প্যাঁচিয়ে মিশে যায় একাকার।
গেরস্ত ও গেরস্তিনি এসব সবুজের নিচে চাষেবাসে
জন্ম দেয় যে রূপান্তর— সবুজ সন্তান ;
তাদের ছোট ছোট আঙুলেরা কেমন সুন্দর আঁকড়ে ধরে বড় আঙুল,
আঙুলের ডগায় চকচকে রোদে ঘাম বিন্দুর মতো হাসে
পৃথিবীর সমস্ত ফসলের মাঠ।
একুশে ভাদ্র চোদ্দোশো সাতাশ
আমি দেখতে পাই ঘাড়, গলা, কান বেয়ে
পিঁপড়ে উঠে যায় ঠোঁটের দিকে।
বুকের মাংসে সারস ঢুকে ভীষণ নড়াচড়া করে—
লম্বা পায়েরা নাভি খামচাতে থাকে;
নিচে শুকনো নদীতে বেনোজল আসে
ভেসে যায় ঊরু— ভিজে স্যাঁতসেঁতে মধুকূপী ঘাসেরা।
তিরিশে ভাদ্র চোদ্দোশো সাতাশ
রাস্তার ওপারে ডোবা, ধার ঘেঁষে ঢোলকলমি আর হলুদের ভুঁই।
আধ ডুবে চোখ মেলে বসে থাকে সবুজ ধনচে পাতা
স্বচ্ছজলে কয়েকটি হাঁস সাঁতরে বেড়ায়—
একটি খুঁটি ধরে শ্যামলমুখী হাঁস-মালকিন ডাকে—
আয় আয় চৈ চৈ...
আর আমি দোকানে বসে সুপুষ্ট কর্মঠ শরীরে
পাতলা সুতি শাড়ী পরা রমণীটিকে দেখি—
ইচ্ছে হয় হাঁস হতে, তার কাছে যেতে!
সিরিজ কি শেষ? না কি আরো আছে?
উত্তরমুছুনআরো আছে। পরবর্তীতে আপনাকে পড়াতে পারলে ভালো লাগবে।
মুছুনভালো লাগলো কবিতা
উত্তরমুছুনধন্যবাদ ও ভালোবাসা।
মুছুনখুব ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনধন্যবাদ ও ভালোবাসা।
মুছুনইচ্ছে হয় হাঁস হতে, তার কাছে যেতে!
উত্তরমুছুনধন্যবাদ।
মুছুনআহা অসাধারণ এই সিরিজ আরো পড়তে চাই
উত্তরমুছুনধন্যবাদ। নিশ্চয়ই, আপনাকে পড়াতে পারলে আমারো ভালো লাগবে
মুছুনচমৎকার কবিতা। এরম আরও পড়তে চাই।
উত্তরমুছুনপৃথিবীর পরাজিত খরগোশেরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দ্রুত বীর্যপাতের স্বপ্ন দ্যাখে!
উত্তরমুছুনকী চমৎকার লেখা
উত্তরমুছুনআহা
উত্তরমুছুন