যেভাবে ভাবি সব প্রেম
আমার সমুদ্রের জল হাওয়া কাছে এসো
মৈনাক পর্বত মাথায় হেঁটে যাচ্ছো
এই দুর্দান্ত বিক্ষুব্ধ রাত ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছো
বিকেলের মরে যাওয়া রোদ হয়ে বুকের কাছে লুটায়ে থাকো
রাতের রাস্তার নিঃসঙ্গতা দিয়ো না
চৌরঙ্গির সিগন্যালে অপেক্ষার উত্তেজনায় মরে যাবো।
ভোরবেলা জেগে থাকে দস্তগিরের নলার ঝোল
সেই আবেশে জমে থেকে কুয়াশায় চুমু খেও
আমরা হাওয়ায় হাওয়ায় মিশে যাবো চেরাগির বিপুল বৈভবে
আর প্রাচীন পাহাড়ের জঙ্ঘা থেকে নেমে আসবে প্রাচুর্যের হিম।
ছায়া থেকে যাবে আমাদের অনেক পিছনে
বালির মধ্যে মাখামাখি আমাদের সুদিনের পানপাত্র
সমুদ্রের জলে ভিজে শহরের বিসর্জন হবে
আমাদের ছায়া দিয়ে হবে নতুন পৃথিবীর মানচিত্র।
ফাল্গুন ১৪২৬
দানার বাপের বাড়ি
দানা বাপের বাড়ি যায়
তার চুল ধরে সাথে যায় সাইবেরিয়ার তুষারের গন্ধ
চার হাজার মাইলের ক্লান্ত চোখ লইয়া বালিশ উৎসব হয়
চোখ মেলতে পারে না তবুও দানাকে দুরুসকুড়ো খেতে হয় ভরা মজলিশে
উত্তরের হালদা দক্ষিণের কর্ণফুলীকে গ্রাস করে নেয় সহজেই
বাঁশখালীর সৈকতে ভেসে আসে কোমল কাঁকড়ার দল
ভোররাতে জমে ওঠে কবিদের গান
ছানাপোনা বুকে ধইরা দানা ঘুমে ঢলে ঢলে যায়
দানা বাপের বাড়ি আসে; মন রেখে আসে সাইবেরিয়ায়।
মাছ বাতাসা মিষ্টি
জলের গন্ধ বুকে লইয়া ডুবে গেছি
কিইনা লইসি ধূসর মাছের বাজার
তারপর কিনসি বাতাসা এবং মিষ্টি
মাছ বাতাসা আর মিষ্টি দিসি পায়ে
তুমি বাইছা লইসো মিষ্টি এবং মাছ
বাতাসা ফালায় দিসো একা হাওরে
আমি তো জানতাম তুমি খাও মাছ,
আর মিষ্টি তোমার প্রিয়; তাই কেনা,
খাইসো মিষ্টি, আমারে দিসো কমই
নেক্সট টাইম কম দিলে হইবো না..
ভাদ্র ১৪২৭
বর্ণিল চন্দ্রালোক
একদিন ভোররাতে বারান্দায় বসে আমি বর্ণিল চন্দ্রালোক দেখে মৃত সময়ের সৎকার করি।
শহরের ক্যাকোফোনি থেমে গিয়ে ক্রমশ ক্যানসারাস এক নীরবতার দিকে এই রাত এগিয়ে যেতে থাকে।
আমি নূরজাহানের গজল শুনি; হামারি সাঁসো মে আজ তাক ও।
নূরজাহানের সর্দি আক্রান্ত গলা আমায় ধীরে গ্রাস করে নেয় হান্টার যেরম করে নেশাগ্রস্ত করে যুবকের হৃদয়।
বিস্তর খেয়াল জাগে সমুদ্রের অতি অল্প ঢেউয়ের সাদা ফেনায়
সমুদ্র জাগতে চাইছে চাঁদ হাসতে চাইছে আর আমি তাদের বাধা দিতে চাইছি না।
অজস্র মানুষের ক্যাওটিক আলাপ আমার ভালো লাগে না- পালাই- মানুষের মুখোশের ঘ্রাণ ভালো লাগে না- লুকিয়ে পড়ি অনেক গভীর হ্রদে- তার গান আমার সাফারিংস কমায়- আমার জীবনের কথা বলে সে তার কথায়- বেঁচে ছিলাম সুসময়ের আশ্বাসে- ডার্ক ডিসপ্লে আলোকিত হয়ে উঠবে সহসাই- তুমি কোথায়?
চৈত্র ১৪২৫
মরে যাই ঘুমে
১.
আমাদের তিমিরহননের শেষে কে লিখবে সবচে সুন্দর এলিজি
কে বলবে; এরা ছিলো সুন্দরতম মাছ
মরে যাওয়া আলো নিয়ে পিঠে;
তাদের বিক্ষোভে দুঃখময় চলাচলের পথে মিশে ছিলো নদী
বিক্ষত বুকে ডান্সিং আন্ডারনিথ দ্যা স্কাইস অব লাস্ট?
২.
ভালো হয় বিব্রত আন্দোলনের এই সময়গুলো ফেলে দিই ভাগাড়ে;
পঞ্চম মাত্রায় ঘুমে থাকি গজারি বনের ভেতর হাহাকারহীনতায়
দিনব্যাপী এনজাইটি স্ট্রেস মুছে যাবে সহজেই
আমরা বিড়ালের মত উষ্ণতায় বিছানা সাজাই?
ফাল্গুন ১৪২৭
মন্তব্য