কবি, কথাসাহিত্যিক, লিটলম্যাগ সম্পাদকের মুখোমুখি হবার বিশেষ বিভাগ ‘দশকথা’। দশটি প্রশ্ন বনাম দশটি উত্তর। আপাতভাবে সংক্ষিপ্ত এই সাক্ষাৎকার সিরিজ আশা করি পাঠকের ভালো লাগবে। আজ এই বিভাগে বিন্দুর মুখোমুখি কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক জিললুর রহমান।
১। আপনার প্রথম লেখা কবে এবং কীভাবে?
জিললুর রহমান: প্রথম লিখেছি স্কুল ছাত্র থাকা অবস্থায়, সম্ভবত অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় (১৯৭৯) পাড়ার দেয়াল পত্রিকায়। পাড়ায় আমাদের সংগঠন ‘আমরা সবুজ’ থেকে একুশে উপলক্ষে দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হলে কিছু একটা লিখতে হবে ভেবে প্রথম কবিতার মতো কিছু একটা লিখেছিলাম। তবে কি লিখেছিলাম তা আজ আর মনে নেই। শুধু মনে আছে, সবাই যেমন লিখতো, ‘একুশ তুমি’ কিংবা ‘একুশ মানে’ গোছের কিছু লিখিনি।
তার পরে আমাদের ক্লাসে আমরা তিন বন্ধু হাতে লেখা সংকলন বের করতাম, তাতে কিছুদিন লিখেছি বটে। তবে ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রামের স্থানীয় দৈনিক পূর্বতারা পত্রিকায় প্রথম ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয় কবিতা। তারপরে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক পত্রিকায় লেখা ছাপানো চলে এবং ১৯৮৮ সালে একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত ভাঁজপত্রের মাধ্যমে আমার লেখক হিসেবে সত্যিকার আত্মপ্রকাশ। ভাঁজপত্রের উদ্যোক্তা ছিলেন বন্ধু আবু হেনা মোরশদ জামান এবং প্রচ্ছদ করেছিলো শিল্পী বন্ধু জয়।
২। কবিতা আপনার কাছে কী? (কবিতা নিয়ে আপনার আইডিয়া/চিন্তার কথা বলুন।)
জিললুর রহমান: কবিতা সম্পর্কে আমার চিন্তা সময়ে সময়ে বদলেছে। একসময় কবিতাকে সমাজ বদলের হাতিয়ার ভাবতাম। এখনও তা অস্বীকার করি না। তবে, এখন মনে হয় কবিতা তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু। কবিতা হৃদয়ের যন্ত্রণার সুর। কবিতা জ্ঞান ও নির্জ্ঞানের এক মায়াময় শব্দের খেলা।
মাঝে মাঝে মনে হয় মহাবিশ্বের ঐকতানের সুর ধারণ করে কবিতা। বিষণ্ণ বালকের জানালার ফাঁক গলে দিগন্তের দিকে চেয়ে থাকা কবিতা। আলুথালু উদ্ভ্রান্তির মাঝে প্রেয়সির এক চিলতে হাসি কবিতা। কবিতা আনন্দের মিষ্টি ঝলক, আবার কবিতাই বিষণ্ণতার ম্লানমুখ, একতাল গাম্ভীর্য। শব্দের পরে শব্দ সাজিয়ে অনন্ত সম্ভাবনা তৈরি হলে কবিতা জন্ম নেয়। কবিতা মোক্ষ – কবিতা রূপক উপমা নিয়ে অদ্ভুত স্বপ্নরাজ্যে ঘুরিয়ে আনে পাঠককে - কবিকে করে তোলে স্বপ্নাতুর আলুথালু।
মনের ভাব প্রকাশই যদি কবিতার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তবে সকল বেদনার ভাষা কবিতা, সকল আনন্দের ভাষা কবিতা। তার পরও যে স্বপ্ন এখনো বুনতে পারি নি, যে শব্দ এখনো ধরতে পারিনি – তার পেছনে নিরন্তর ছুটে চলাই যেন আমার কবিতা। আমি জন থেকে জনে – মন থেকে মনে – আর বন থেকে বনে শব্দের কথামালা গেঁথে গেঁথে যে শ্রুতিকল্প, দৃশ্যকল্প, ভাবনা রাশি সাজাতে চেয়েছি – তা-ই হয়তো কবিতা।
৩। কবিতা মানুষকে কী দিতে পারে?
জিললুর রহমান: শিল্প বা সঙ্গীত বা সাহিত্য মনোলোকের যন্ত্রণার উপশম এবং আয়েশ দিতে পারে বলেই মনে হয়। কবিতাও তাই। তবে উপশম ও আয়েশের অতিরিক্ত, উদ্দীপনা ও সমাজচেতনার বিকাশেও কবিতা ভূমিকা রাখতে পারে। কবিতা হৃদয়ের খোরাকও বলা চলে। তবে পার্থিব লাভলোকসানের জন্যে কবিতা নয়।
৪। আপনার কবিতা লেখার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি৷ ভাবনা থেকে সৃজন পর্যায়ে নিয়ে যেতে কী করেন?
জিললুর রহমান: একসময় কাগজ কলম নিয়ে বসে সাধারণত দুপুরবেলা অথবা কখনও গভীর রাতে যখন সংসারের সকলে ঘুমিয়ে থাকতো তখন নিজেকে নিজে নিজে একলা করে নিয়ে লিখতে বসতাম। কিন্তু পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তির মোবাইল ফোন আসার পরে শুয়ে বসে এমনকি হাঁটতে হাঁটতেও কবিতা লেখা হয়। মাথার ভেতরে অকস্মাৎ কোনো শব্দ বা বাক্য অথবা কোনো দৃশ্যকল্প খেলে গেলে তার যতটুকু বর্ণ বা অক্ষরে ধারণ করতে পারি তা-ই আমার লেখা। প্রায়শ একটানে কবিতা রচিত হয়। পরে হয়তো কিছু সংশোধন করি, হয়তোবা করিও না। লেখার সময় কোন ধরনের বাধা এলে সে লেখা আর শেষ করা হয় না। তাই, আমার মনে হয়, সেরা লেখাটা এভাবেই হারিয়ে গেল। আবার কখনও কখনও কিছু শব্দ কিছু দৃশ্য মাথার ভেতরে কাঁকড়ার মতো কামড়ে ধরে রাখে। তারপর সে লেখা হয়তো দীর্ঘসময় ধরে তাড়িয়ে তাড়িয়ে লিখতে হয়।
৫। আপনার লেখার অনুপ্রেরণা কে বা কারা?
জিললুর রহমান: সংবেদনশীল পাঠক, যারা আমার লেখা পড়েন এবং আমাকে তাদের ভাললাগা মন্দলাগা জানান, তাঁরাই আমার আসল অনুপ্রেরণা। একসময় আমার মায়ের অনুপ্রেরণা ছিল খুব। পরে প্রিয়তমাসুও অনেক উৎসাহ যুগিয়েছেন। লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকদের নিরন্তর তাগাদাও একটা বড় ভূমিকা রেখেছে।
৬। আপনার উত্থান সময়ের গল্প বলুন৷ সে সময়ের বন্ধু, শত্রু, নিন্দুক, সমালোচক— এসব কীভাবে সামলেছিলেন?
জিললুর রহমান: আমার উত্থান বা পতন কিছু আছে কিনা জানি না। তবে ১৯৮৮তে ভাঁজপত্র প্রকাশের পরে চট্টগ্রামের লেখক কবিগণ আমাকে সাদরে গ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন আড্ডায় আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দৈনিক আজাদী আমার কবিতা নিয়মিত ছাপাতে লাগলো। ফুলকিতে কবি আবুল মোমেনের নেতৃত্বে চলমান অচিরা পাঠচক্রে কবিতা নিয়ে যেতাম; আলোচনা হতো। বোস ব্রাদার্সে প্রায় সমবয়সী বন্ধুদের আড্ডায় বেশ গুরুত্ব পেলাম বলে মনে হয়েছিল। বিভিন্ন সংকলনে আমার লেখা চেয়ে নিয়ে ছাপাতে লাগলো। তখন ছিল স্বৈরাচারী এরশাদ শাহীর দিন। প্রায় স্বৈরাচার বিরোধী কবিতা পাঠের আয়োজন হতো। আমিও কবি হিসেবে আমন্ত্রিত হতে লাগলাম। ১৯৯০ সালে সম্ভবত আমার কবিতা বাংলা একাডেমির উত্তরাধিকার পত্রিকায় ছাপা হলো। সেকালে উত্তরাধিকার-এ লেখা ছাপা হওয়া একটা মর্যাদার ব্যাপার ছিল। সকলের প্রশংসাবাক্য আমাকে আপ্লুত করেছিল। মুক্তধারা থেকে স্বৈরাচারবিরোধী কবিতা সংকলন হলো ১৯৯১ সালে। আমার কাছ থেকে কবিতা নিয়েছিল। এদিকে কিছু গদ্যও লিখতে শুরু করি এবং আবুল হাসানের কবিতা বিষয়ে আমার একটি গদ্য ১৯৯০ সালে দৈনিক আজাদী পর পর তিন সপ্তাহ তিন কিস্তিতে ছেপেছিল, যা বেশ মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল। ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালে ‘তরঙ্গ’ নামে একটি সাহিত্যের ছোট কাগজ সম্পাদনা করেছিলাম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সংগঠনের পক্ষ থেকে।
সবুজ হোটেলের আড্ডা থেকে অনেক কাগজ বের হতো। আমার লেখা সবগুলোতেই ছাপাতো। ১৯৯২ সালে প্রকাশিত লিরিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সংখ্যার সম্পাদনা পরিষদে আমি যুক্ত হই। পরে লিরিকের উত্তর আধুনিক কবিতা সংখ্যা নামে ৪টি সংখ্যায় আমি সম্পৃক্ত থাকি। ১৯৯৫ সালে আমার প্রথম কবিতার বই ‘অন্য মন্ত্র’ প্রকাশ পায় এবং অনেকেই বইটি পছন্দ করেছিলেন। সেসময় আমার অনেক বন্ধু ছিলেন। মুহম্মদ আলী শাহ্ (গল্পকার), সালাউদ্দিন মোঃ মারুফ (গল্পকার), হোসাইন কবির (কবি), ইউসুফ রেজা (কবি), দেবাশীষ রায় (নাট্যকর্মী ও সংগঠক), সুদীপ্ত দেব, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, পুলক পাল, শারদ মাজহার। বয়সে ও লেখালেখিতে কিছুটা এগিয়ে থাকা কবি হাফিজ রশিদ খান, রাশেদ মাহমুদ, আহমেদ রায়হান, এজাজ ইউসুফী, সোহেল রাববি, খালেদ হামিদী, হাবিব আহসান, রিজোয়ান মাহমুদ, মহীবুল আজিজ, সৈয়দ রফিকুল আলম, শ ম বখতিয়ার, ওমর কায়সার, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, মুনির আহমেদ সহ আরও অনেকের নিবিড় বন্ধুত্ব আমি পেয়েছি।
অজাতশত্রু আমি নই। তবে ব্যক্তি মানুষ হিসেবে শত্রু চিনে ওঠার মতো বুদ্ধি আমার কখনও হয়ে ওঠেনি। তবে আমার লেখালেখির সবচেয়ে বড় শত্রু আমার আলসেমি। কতো সময় যে আমি হেলায় অপচয় করেছি তা’ বলার অপেক্ষা রাখে না। আর নিন্দুক তো অনেকেই আছেন। সমালোচক তো আছেনই। আমি তাঁদের প্রকৃত বন্ধু মনে করি। তাঁরাই চোখে আঙুল দিয়ে ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো দেখিয়ে দেন এবং আমারও সতর্ক সচেতন থাকতে হয়।
৭। সাহিত্য দিয়ে কেউ দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে চায়, কেউ স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে চায়, কেউ সন্ত্রাস–মৌলবাদ ঠেকাতে চায়, আরো নানাকিছু করতে চায়। আপনি কী করতে চান?
জিললুর রহমান: একসময় সুকান্ত ভট্টাচার্য, বীরেন্দ্র চক্রবর্তী, সমর সেন পড়তে পড়তে আমিও বিপ্লব তরান্বিত করার জন্যে সমাজ বদলের জন্যে লিখতে চেয়েছি, স্বৈরাচার পতনের জন্যেও লিখেছি একদা। সেই স্বপ্ন এখনও বুকে ধারণ করলেও এখন কবিতা লিখি ভেতরের রক্তক্ষরণ থেকে উপশম পাওয়ার জন্যে। সাহিত্যের প্রতিটি পাঠ আমাকে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে গভীর উপলব্ধিতে উপনীত করে। সাহিত্য তাই আমার কাছে গভীর জীবনবোধে একটি প্রবল উপায়।
৮। যে জীবন আপনি এত বছর যাপন করলেন, তা আপনাকে আলটিমেটলি কী শিক্ষা দিলো?
জিললুর রহমান: জীবনের শিক্ষা হলো জীবন থেকে কেউ কিছু শিক্ষা নেয় না, আমিও হয়তো তার ব্যতিক্রম নই। আমার এ জীবনের সূত্রপাত যেমন আমার ইচ্ছায় ঘটেনি, তেমনি যাপনের অনেক কিছুই আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তারপরও জীবন একটাই। তাই যতোটুকু পেরেছি ভাবাবেগ ও যুক্তির সম্মিলন করে যাপন করেছি। তবে এখন বয়স বাড়ছে। বন্ধুদের অনেকে পৃথিবী ত্যাগ করেছে। এখন মনে হয়, নশ্বর শরীর ধুলায় মিলায়ে যাবে, তাই কাজ করে যেতে হবে যতটুকু পারি।
৯। করোনা তথা মহামারী আপনার লেখালিখিতে কোনো প্রভাব রেখেছে কি?
জিললুর রহমান: করোনার ভয়াবহতা প্রথমদিকে আমাকে মানসিকভাবে মারাত্মক আক্রান্ত করেছিল। আমার আত্মীয় ও বন্ধুদের মৃত্যু সংবাদ আমাকে কুঁকরে ভেঙেচুরে ফেলে। এই সময় প্রথম উপলব্ধি করলাম ‘জড়ো হলে ঝরে যাবো, বিভেদে থাকবো বেঁচে’। স্তব্ধতা ভেঙে রচিত হলো একটি দীর্ঘ কবিতা। তারপর থেকে একের পর এক কবিতা জন্ম নিতে থাকলো। একসময় অনুভব করলাম, মানুষই প্রকৃতির বড় শত্রু, করোনা নয়। তাই মানুষকে ঘরে বন্দী করে রেখে প্রকৃতি সুন্দর হয়ে সেজে উঠলো। এ সময়ে মৃত্যু ও নিয়তি নিয়েও নতুন করে ভেবেছি। গল্পকার না হয়েও ৪/৫টি ছোটগল্প লিখে ফেললাম। আরও উপলব্ধি করলাম, অনেক মানুষই ঘরে থেকে শুয়ে বসে জীবন জীবিকা চালাতে পারে। কিন্তু যারা শ্রমজীবী বা নিম্ন আয়ের চাকুরে, তারা চাকরি হারাচ্ছে এবং পেট তাদের পথে নামিয়ে এনেছে। হয়তো এরাই করোনাকে বুড়া আঙুল দেখিয়ে বেঁচে গেল এবং দেশ থেকে করোনা আজ কমে যাচ্ছে এ কারণেই। এই সবকিছু আমাকে আলোড়িত করে, ভাবিত করে——আমি জীবনের জয়রথ এবং মৃত্যুর আলিঙ্গনের সম্পর্ক সূত্রের সন্ধানে ব্যাপৃত হতে চেষ্টা করি কখনও সখনও।
১০। পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন?
জিললুর রহমান: আমি নিজেই তো পাঠক। অন্য পাঠকের উদ্দেশ্যে বলার মতো আমার কিছুই নেই। কেবল যারা আমার লেখা পড়েন, ভালবাসেন এবং অনুপ্রেরণা দেন, তাদের জানাই কৃতজ্ঞতা। কবিতার পাঠক হিসেবে আমার উপলব্ধি হলো, কবির যেমন একটা প্রস্তুতি প্রয়োজন, কবিতার পাঠকেরও তেমনি প্রস্তুত হওয়ার প্রয়োজন আছে। অন্যথা, কবিতা দুর্বোধ্য ইত্যাদি কথা বলে কবিতাকে এড়িয়ে যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। কবিতা পড়তে গিয়ে আর যা বুঝেছি তা হলো, কবিতায় যতোটা বুঝার বিষয় আছে তারচেয়ে বেশি রয়েছে অনুভবের ব্যাপার। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শুনতে যেমন কান তৈরি করতে হয়, কবিতা অনুভবের জন্যেও মন তৈরি করতে হয়। আমি প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করে যাই।
জিললুর রহমানের জন্ম বাঙলাদেশের চট্টগ্রামে ১৯৬৬ সালের ১৬ নভেম্বর। আশির দশকে লেখালেখির যাত্রা শুরু করেন। কবিতা, কবিতা বিষয়ক নিবন্ধ ছাড়াও তিনি কবিতা এবং নন্দনতাত্ত্বিক প্রবন্ধ অনুবাদ করেছেন।
সম্পাদনা: ‘যদিও উত্তরমেঘ’ (২০১৭) সম্পাদনা করেছেন এবং ‘লিরিক’ এর সম্পাদনা পরিষদের সদস্য (১৯৯২-২০০৫) ছিলেন। কবিতার ভাঁজপত্র: ক্ষয়িষ্ণু চাঁদের যৌবন (১৯৮৮)
কাব্যগ্রন্থ: অন্যমন্ত্র (১৯৯৫), শাদা অন্ধকার (২০১০), ডায়োজিনিসের হারিকেন (২০১৮)
দীর্ঘ কবিতার বই: আত্মজার প্রতি (২০১৭), শতখণ্ড (২০১৭)
প্রবন্ধ/নিবন্ধ: অমৃত কথা (২০১০), উত্তর আধুনিকতাঃ এ সবুজ করুণ ডাঙায় (২০১৮ / ২০০১)
অনুবাদ: আধুনিকোত্তরবাদের নন্দনতত্ত্বঃ কয়েকটি অনুবাদ (২০১০), নাজিম হিকমতের রুবাইয়াৎ (২০১৮), এমিলি ডিকিনসনের কবিতা (২০১৮)
প্রকাশিতব্য কবিতার বই: ১. আত্মজার প্রতি ও অন্যান্য কবিতা, ২. পপলার বন মরে পড়ে আছে, ৩. হাস্নুহেনা ও মা, ৪. একটি মেরাজের রাত্রে ঘুমিয়েছি
প্রকাশিতব্য নিবন্ধের বই: ১. বাংলা কবিতার সারথীরা, ২. নোবেলের কবিগণ ও অন্যান্য
চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রকাশনা: 1. Undergraduate text book—
Pathology Tutorial (vol—1&2);
3 editions since 2017.
2. Research articles—67 original articles published in different international and local journals including NATURE
3. Scientific Editorial in international and local journals—3
জিল্লুর ভাই এখনও "সংবেদনশীল পাঠক" হতে পারলাম না। থেকে গেলাম আপনার মুগ্ধ পাঠক। এটা কিন্তু আপনাকে ঠিকঠাক সমালোচনা করতে দেয় না। আপনি হয়ে থাকেন এক কল্পজগতের স্বপ্নীল কবি। আপনার এই কথাটা যদি অন্যরা বুঝতো "শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শুনতে যেমন কান তৈরি করতে হয়, কবিতা অনুভবের জন্যেও মন তৈরি করতে হয়। "
উত্তরমুছুন