কবি, কথাসাহিত্যিক, লিটলম্যাগ সম্পাদকের মুখোমুখি হবার বিশেষ বিভাগ ‘দশকথা’। দশটি প্রশ্ন বনাম দশটি উত্তর। আপাতভাবে সংক্ষিপ্ত এই সাক্ষাৎকার সিরিজ আশা করি পাঠকের ভালো লাগবে। আজ এই বিভাগে বিন্দুর মুখোমুখি হলেন কবি তানজিন তামান্না।
১। আপনার প্রথম লেখা কবে এবং কীভাবে?
তানজিন তামান্না: প্রথম লিখেছিলাম একটি ভ্রমণকাহিনী। তখন ক্লাস নাইনে পড়ি সম্ভবত। পরিবারের সঙ্গে দিনাজপুর বেড়াতে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে ফিরে সেই ভ্রমণের গল্প লিখতে খুব ইচ্ছে করেছিলো। তার আগে ছোট ছোট কিছু ইংরেজী ছড়া লিখেছিলাম ইংরেজী পাঠ্যবই ‘ইংলিশ ফর টুডে’ এর ইংরেজী ছড়া পড়ে প্রভাবিত হয়ে। আরো পরে ২০০৯ সালের দিকে ‘সতীর্থ’ লিটল ম্যাগাজিনের জন্য প্রথম দুইটি কবিতা লিখেছিলাম। তার আগে আমি টুকটাক গল্প লিখতাম। আমি গল্প লিখি জানতে পেরে আমার ঐসময়ের রুমমেট এবং বন্ধু মিতালী শিকদার আমাকে একদিন জানালো ওর এক ক্লাসমেট সাগর একটা ম্যাগাজিন সম্পাদনা করে, আমি চাইলে ওদের ম্যাগাজিনে লেখা ছাপানোর জন্য দিতে পারি। মিতালী এক শীতের সকালে আমাকে সাগরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলো। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে তারও বেশ কিছুদিন পর সাগর আমাকে ফোন করে জানালো ‘সতীর্থ’ নামে ওরা একটা ম্যাগাজিন প্রকাশ করবে, তার বৈশাখ সংখ্যার জন্য বৈশাখের অন্তত দু’টি কবিতা আমি যেনো ওদের পাঠাই। যেহেতু তার আগে আমি কবিতা লিখিনি, তাই কবিতা দিতে পারবো কিনা সেই সময় নিশ্চিত হয়ে ওকে কিছু বলতে পারিনি। কিন্তু সেই সময় আমি নিজের আনন্দে প্রচুর কবিতা পড়তাম। আর ভেতরে ভেতরে ‘সতীর্থ’ ম্যাগাজিনের জন্য লেখার ইচ্ছেটা ছিলো নিশ্চয়ই। একদিন হঠাৎই বৈশাখের কবিতা লেখা হয়ে গেলো। লেখার পর পরই সাগরকে ফোন দিয়ে জানালাম। কবিতা দু’টি ওরা সতীর্থ’র প্রথম সংখ্যার জন্য সিলেক্ট করেছিলো। পরবর্তীতে সাগরের মাধ্যমেই সতীর্থ’র সঙ্গে আমিও যুক্ত হই। প্রতি মঙ্গলবার আমাদের পাঠচক্র হতো। আমি জানিনা কখন ‘সতীর্থ’ আমার খুব আপন হয়ে উঠেছিলো। সারা সপ্তাহ আমি অপেক্ষা করতাম মঙ্গলবারের জন্য। আসলে প্রথম কবিতা লেখার কথা বলতে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে যাচ্ছি...
২। কবিতা আপনার কাছে কী?
তানজিন তামান্না: এই প্রশ্নের মুখোমুখি যতোবার হয়েছি অন্যদের কাছ থেকে, এমনকি নিজের কাছ থেকেও− কেবলই হাতড়ে গেছি, খুঁজেছি কিন্তু স্পেসিফিক কোনো উত্তর খুঁজে পাইনি। তারপর এই প্রশ্নটা ভুলেই গেছিলাম। বিন্দুর দশটি প্রশ্নের ভেতর সেই উত্তর খুঁজে না পাওয়া প্রশ্নটি দেখে চমকে উঠলাম। ঠিক পরীক্ষার হলে বসে উত্তর না জানার অনুভূতি হলো! কারণ দীর্ঘদিন এই উত্তরটা আমি খুঁজিনি। কবিতা আসলে কি তা না জেনেই− লিখে গেছি কবিতা... একটা সময় কবিতা লেখার জন্য মনের ভেতর প্রচণ্ড তোলপাড় হতো, যন্ত্রণা হতো, সুইসাইডও করতে ইচ্ছে হতো− এগুলো এখন আর অনুভব করিনা! তখন কবিতা লিখে যে শান্তি পেতাম, যে আনন্দ পেতাম তা অতুলনীয়! কবিতা হয়তো প্রেমের মতোন যাতনাময় এবং খানিকটা রহস্যময়ও।
৩। কবিতা মানুষকে কী দিতে পারে?
তানজিন তামান্না: কবিতা আমাকে দিয়েছে আনন্দ, শান্তি, সেই যন্ত্রণা যা থেকে আমি মুক্তি পেতে চেয়েছি কিন্তু কবিতাকে ছাড়তে পারলাম কই? কবিতা আমাকে কখনো কখনো ব্যক্তিগত দুঃখ কষ্ট থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে। আবার আমাকে দিয়েছে নির্ঘুম রাতের পর রাত!
৪। আপনার কবিতা লেখার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি। ভাবনা থেকে সৃজন পর্যায়ে নিয়ে যেতে কী করেন?
তানজিন তামান্না: কবিতা লেখার নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি আমার নেই। তবে যখন লিখি তখন একরকম ঘোরে থাকি। একেক সময় একেক রকমভাবে এক একটি কবিতা লেখা হয়ে যায়। আর কবিতা লেখার পর আমি বারবার কবিতাটি পড়ি, পড়তে ভালো লাগে, আনন্দ হয়!
৫। আপনার লেখার অনুপ্রেরণা কে বা কারা?
তানজিন তামান্না: অনেকের লেখা পড়লে আমার ভেতর ঘোর কাজ করে, শুধু কোনো লেখা বা বইই নয়, কোনো সিনেমা দেখলে, গান শুনলে, কোনো দৃশ্য দেখে ঘোরে হারিয়ে যাই, এমনকি আমার পুরানো কোনো স্মৃতি বা ঘটনাও অনেকদিন পর আমার লেখায় উঠে আসতে চায়− এসবই আমার অনুপ্রেরণা। যেমন অরুন্ধতী রায়ের “দি গড অব স্মল থিংস” পড়ে আমার মনে হয়েছিলো আমি যদি কখনো উপন্যাস লিখি তবে অরুন্ধতী রায়ের মতো ঔপন্যাসিক হবো। যদিও উপন্যাস লেখা হয়ে ওঠেনি এখনও।
“কবিতা লেখার প্রতিই আমার সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার”− এই উৎসাহটি আমি আমার একসময়ের বন্ধু শুভ্রনীল সাগরের কাছ থেকে পেয়েছিলাম। ওর সেই কথার ভেতর এতোটাই কনফিডেন্ট ছিলো যে আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে আরম্ভ করেছিলাম আমার কেবল কবিতাই লেখা প্রয়োজন। এরপর কবিতার প্রতি এতো বেশি ঝোঁক তৈরি হলো যে দীর্ঘদিন অন্যকিছুই লিখিনি। পরবর্তীতে লেখক সুবীর সরকারের সঙ্গে পরিচয়ের পর উনি আমাকে গল্প লিখতে উৎসাহ দিয়েছেন। যদিও সেভাবে গল্প লেখা হয়ে ওঠেনি আর, লেখার ইচ্ছে আছে... তবে ইদানিং আমার লেখা দু’তিনটি গদ্য পড়ে পরিচিতরা মন্তব্য জানানোয় গদ্য লেখার প্রতি আগ্রহ কাজ করছে।
আমার লেখার অনুপ্রেরণাকারীদের মধ্যে আমি বিশেষভাবে কালিমাটি সম্পাদক কাজল সেনের নামটি উল্লেখ করতে চাই। কেনোনা উনিই আমাকে আমার কুরিয়ার সিরিজের প্রথম কবিতাটি পড়ে এরকম কবিতা লেখার প্রতি উৎসাহিত করেছিলেন। শুধু তাই নয় ২০১৬ কি ২০১৭ সালের দিকে যখন আমি দীর্ঘদিন ধরে লিখতে পারছিলাম না তখন আমি লেখা দিতে পারছিনা জেনেও কাজল দা টানা একবছর প্রতিমাসে কালিমাটির জন্য আমার লেখা পাঠাতে বলে গেছেন। অবশেষে কালিমাটির জন্যই হোক বা কাজল দার জন্যই আবার নতুন লেখা লিখেছিলাম। সেইসময় কাজল সেনের ধৈর্য্য আমাকে মুগ্ধ করেছিলো! আমাকে কবিতা লিখতেই শুধু নয়, গত দু/তিন বছর ধরে কবিতার বই করার জন্য উৎসাহিত করে যাচ্ছে বন্ধু উপল বড়ুয়া। এবার কুরিয়ার সিরিজের কবিতাগুলো নিয়ে একটা বই সত্যি করে ফেলতে হবে। আশা করছি আগামী বছর কুরিয়ার সিরিজের কবিতা নামেই বইটি করতে পারবো। আমার লেখালেখির চর্চাটা শুরু হয়েছিলো সতীর্থ থেকে। দীর্ঘদিন সতীর্থ− সাগর, নয়ন, শিমন, শুভ, অনামিকা, অনু, ফরিদ, রাসিব ওদের সঙ্গ আমার লেখালেখিতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। আমার বন্ধু কাঞ্চির কাছ থেকেও আমি লেখার উৎসাহ পেয়েছি। আমার পরিবার আমাকে উৎসাহিত করেছে সবসময়।
২০১৭ সালে জঙশনে প্রথম আমার কুরিয়ার সিরিজের কবিতা প্রকাশিত হয়। সেখানে আমার কবিতা পড়ে কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ এবং চিত্রশিল্পী মোজাই জীবন সফরীর পজিটিভ মন্তব্য আমাকে কুরিয়ার সিরিজের কবিতা লিখতে আরো ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করেছে। পরবর্তীতে প্রতিশিল্প, সূর্যঘড়ি লিটল ম্যাগাজিনগুলোতে আমি লিখেছি। নাভিল মানদার, মারুফুল আলম, মিনু মৃত্তিক এনারা অনেক আগ্রহ এবং যত্ন নিয়ে আমার কবিতা তাদের লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশ করেছেন। আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি তাদের লিটল ম্যাগাজিনে লিখতে... এবং আমার লেখালেখির আগ্রহ আরো ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। যদিও মাঝে মাঝে নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন লেখালেখির চর্চা বন্ধ থাকে− সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।
আমার কবিতার অনুপ্রেরণায় আরেকজনকে আমি বিশেষভাবে স্মরণ করতে চাই− তিনি অভিষেক মুখোপাধ্যায়। অভিদা আমার কবিতা পছন্দ করতেন। গতবছর করোনা ওনাকে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে গেছে! আরো দুঃখের বিষয়− অভি দা মারা যাওয়ার বেশ কিছুদিন পর আমি তাঁর মৃত্যুর খবরটি জানতে পেরেছি। এখনও আমি বিশ্বাস করতে পারিনা অভিষেক মুখোপাধ্যায় নেই। এখনও উনি আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। এখনও কলকাতার কোনো উৎসাহী পাঠক যখন বাংলাদেশের কোনো কবিতা লিখিয়ের নাম জানতে চাইবে− মনে হয় অভিদা আগ্রহভরে আমার নামটি উল্লেখ করবেন যেমনটি করেছিলেন এর আগে। আসলে আমি আমার বন্ধু, পরিবার, পত্রিকার সম্পাদক এবং পরিচিতদের কাছ থেকে সবসময়ই লেখালেখির উৎসাহ পেয়ে গেছি। অনলাইন ম্যাগাজিনে আমার লেখা পড়ে কোনো অপরিচিত পাঠক যখন মন্তব্য জানান এবং প্রিন্ট পত্রিকায় আমার কবিতা পড়ে যখন অপরিচিত কেউ পরিচিত কারো কাছে আমার কবিতা তাদের ভাল লাগছে এই বার্তাটি পৌঁছে দেন তখন বিপুলভাবে উৎসাহিত হই। এমনকি যখন আমার কম্পিউটার ছিলোনা, কবিতা কম্পোজ করার জন্য কোনো একটি দোকানে গিয়েছিলাম আর সেই দোকানের কম্পিউটার কম্পোজার আমার কবিতা পড়ে কবিতাটি নিজের কাছে রেখে দিতে চেয়েছিলেন তিনিও আমার উৎসাহকে আন্দোলিত করে দেন তুমুলভাবে। এসবই আমার এক অপরিসীম পাওয়া!
৬। আপনার উত্থান সময়ের গল্প বলুন। সে সময়ের বন্ধু, শত্রু, নিন্দুক, সমালোচক— এসব কীভাবে সামলেছিলেন?
তানজিন তামান্না: এখনও আমি উত্থান সময় অতিক্রম করছি। একজন লেখক সম্ভবত জীবনব্যাপী উত্থান সময়ের ভেতর দিয়েই পথ চলতে থাকেন। আমার এই জার্নিতে অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে, অনেক শুভাকাঙ্খীকে পাশে পেয়েছি, আবার অনেক বন্ধু হারিয়ে গেছে, বন্ধুত্ব নেই তাদের সঙ্গে আর! কোনো নীরব শত্রু আছে কিনা আমার জানা নেই। এইসময় সাহিত্যে সেভাবে সাহসী সমালোচক কোথায়? থাকলেও তারা নীরব থাকেন বোধ হয়। যখন সতীর্থ করতাম, প্রতি মাসে আমাদের একটি সাহিত্য সভা হওয়ার নিয়ম ছিলো। একবার সেই সভার সভাপতি হয়ে আসলেন কবি অতীন অভীক। সভার পুরোটা সময় উনি আর কারো লেখা নিয়ে নয়, সতীর্থ’র দ্বিতীয় সংখ্যায় প্রকাশিত আমার একটি কবিতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সেসময় তাঁর সেই সমালোচনার এক একটি শব্দ তীরের মতো আমাকে বিদ্ধ করেছিলো। ভাল কবিতা লেখার প্রতি উনি আমার জেদকে তুমুলভাবে জাগিয়ে দিয়েছিলেন। সভার শেষে যদিও অতীন দা তাঁকে দেয়া ফুলের রজনীগন্ধার তোড়াটি আমাকে দিয়ে বেলেছিলেন যে আমি যেন মনে কষ্ট না পাই। ওনার মতোন তীব্র সমালোচকের অভাব বোধ করি ভীষণ। সেই সময়ে আমার বন্ধু নিষাদ নয়ন আমার লেখার বড় একজন সমালোচক ছিলো। তখন নতুন কোনো কবিতা লিখলে তাকেই পড়তে দিতাম। নিষাদের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আর সতীর্থরা তো সবসময়ই একে অপরের লেখার সমালোচনা করেছে যে যার মতো− সেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন কবিতা লিখলে নাভিলকে দেখাই। নাভিলের সঙ্গে আমার কবিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
সকলের সব সমালোচনা যে কনক্রিটভাবে গ্রহনীয় হয় আমার কাছে তা নয়। কিছু সমালোচনা গ্রহনীয় হয় আবার কিছু গ্রহণযোগ্য হয়ওনা। তবে সমালোচনা থেকে সবসময় নতুন অনেককিছু শিখি...
৭। সাহিত্য দিয়ে কেউ দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে চায়, কেউ স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে চায়, কেউ সন্ত্রাস–মৌলবাদ ঠেকাতে চায়, আরো নানাকিছু করতে চায়। আপনি কী করতে চান?
তানজিন তামান্না: নিজের আনন্দে লিখি। আমি চাই আমার লেখা পড়ে মানুষ আনন্দ পাক... একটু সময়ের জন্য হলেও তারা তাদের দুঃখ কষ্ট ভুলে থাকুক...
৮। যে জীবন আপনি এত বছর যাপন করলেন, তা আপনাকে আলটিমেটলি কী শিক্ষা দিলো?
তানজিন তামান্না: জীবন যাপন থেকে কি শিখেছি তা স্পেসিফিকভাবে বলা কঠিন। শেখাগুলো তো প্রতিনিয়তই পরিবর্তশীল এবং নতুনত্বে ভরপুর। এই মুহূর্তে জীবন যাপন এবং কখনো কখনো মানুষের আচরণ আমাকে ক্ষমতার প্রদর্শন, অন্যকে ছোট করার উদ্দেশ্য নিয়ে আমিত্বকে জাহির করা, গলাবাজি− এসবকে ঘৃণা করতে শিখিয়েছে... আমিও হয়তো এসব আচরণগত দোষ ত্রুটি থেকে মুক্ত নই। কিন্তু জীবন যাপন এসব থেকে আমাকে মুক্ত হতেও শিক্ষা দেয়।
৯। করোনা তথা মহামারী আপনার লেখালিখিতে কোনো প্রভাব রেখেছে কি?
তানজিন তামান্না: করোনা! কী একটা ভয়াবহ মহামারী আমাদের পৃথিবীকে ধাক্কা দিয়ে গেলো, নাড়িয়ে দিয়ে গেলো ক্ষমতার দম্ভকে। কেড়ে নিলো কতো কতো পরিচিত-অপরিচিত মানুষের প্রাণ। মুহূর্তেই সবাইকে গৃহবন্দী হতে বাধ্য করলো। সেই দীর্ঘ বন্দীত্ব প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে আমার লেখায় প্রভাব ফেলেছে যেখানে জীবন যাপনই বিপর্যস্ত হয়েছে। অনেকদিন অস্থিরতায় লিখতে পারিনি। একটা আতঙ্কগ্রস্ত অপেক্ষা নিয়ে সময় কাটাতে হয়েছে সকলকেই। তবে করোনা পরবর্তী এই যে সময়টা এখন অতিক্রম করছি তার ভেতরে ভেতরে ঘটে গেছে বিশাল পরিবর্তন। লেখালেখিতে এখনই যে তা প্রভাব ফেলবে এমটা বোঝা নাও যেতে পারে, হয়তো এই প্রভাব আরো আরো দীর্ঘমেয়াদী এবং সুদূরপ্রসারী!
১০। পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন?
তানজিন তামান্না: পাঠকরা পাঠ করবেন নিজের আনন্দে...
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: তানজিন তামান্না ৯ নভেম্বর বাঙলাদেশের পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ছোটকাগজ ‘সতীর্থ’ এর মাধ্যমে লেখালেখি শুরু। পরবর্তীতে ‘জঙশন’, ‘প্রতিশিল্প’, ‘সূর্যঘড়ি’ প্রভৃতি লিটল ম্যাগাজিনে তার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ‘বিন্দু’, ‘কালিমাটি’ ওয়েবজিনে তার লেখা প্রকাশ পেয়েছে।
প্রকাশিতব্য গ্রন্থ: ‘কুরিয়ার সিরিজের কবিতা।
বর্তমানে ওয়াকিং ডিসট্যান্স নামে একটি অনলাইন লিটলম্যাগ সম্পাদনা করছেন।
কুরিয়ার সিরিজের কবিতা পড়ছিলাম৷ এই প্রথম কবির সাক্ষাৎকার পড়লাম৷ অনেককিছু জানলাম৷ সতীর্থকে ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করছে৷
উত্তরমুছুনধন্যবাদ বিন্দু অভিনব সিরিজটি চালানোর জন্য৷
আপনাকেও ধন্যবাদ নাজনীন। আপনি কুরিয়ার সিরিজের কবিতা পড়েছেন এটা জেনে আনন্দ হচ্ছে।
মুছুনসাক্ষাৎকারটি ভালো লাগল। খুব আন্তরিক স্বীকারোক্তি।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ আপনাকে। সাক্ষাৎকারটি আপনার ভালো লেগেছে এটা জেনে আমারও ভালো লাগছে।
মুছুন