কোরাকাগজের খেরোখাতা
একান্ত শৈশবে মা আমার সপ্তাহের প্রায় প্রত্যেক ছুটির দিনেই বেড়াতে যেতেন। বাবা আর আমরা তাঁর খেয়ালের সঙ্গী হতাম নিত্য। আমার মা, ফাতেমা জোহরা খান, ডাকনাম বুলবুল। মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েই বিয়ের পীড়িতে বসে পড়ার ফলে একাডেমিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে সেখানেই। তিনি কৃষ্ণকুমারী ইশকুলের ছাত্রী ছিলেন। কেন জানি মনে হয়, মা আমার, বাবার চেয়ে বেশি মেধাবী ছিলেন। আমাকে কোলে নিয়ে বা ঘুম পাড়িয়ে শরৎচন্দ্র পড়তে পড়তে কোনদিকে যে ভাত পুড়ে যেতো টেরই পেতেন না। এই জন্যে নাকি বাবার বকুনি খেয়েছেন অনেক। ফলে রাগে ক্ষোভে একসময় বইপড়ায় ইস্তফা দিয়ে দেন।
বেড়ানো মানে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি নানার বাড়ির স্মৃতি। ফতেয়াবাদ ছড়ারকুলের সেই পুরনো বাড়িটি এখনও দাঁড়িয়ে আছে, আমাকে স্মৃতিগুলো উস্কে দেবে বলে। সে সময়ের একতলা বাড়ির নীচটা পাকা দেওয়াল, আর ছাদ ছিল অনেকগুলো সারি সারি কাঠের বিমের তৈরি। সেই কাঠের উপরে টিনের চাল। একটা কাঠের সিঁড়ি বেয়ে কাঠের বিমে তৈরি ছাদের উপরে চালের নীচের চিলেকোঠায় আমরা লুকোচুরি খেলতে উঠতাম বটে। সেখানে ধানের গোলা সহ নানাপ্রকারের দ্রব্যসামগ্রীর জঞ্জালের ভেতরে লুকিয়ে থাকা খুব সহজ ছিলো। আবার সামনের পাকাঘরের সিমেন্ট জমানো পাকাছাদে যাবার ছোট্ট দরোজা গলে বাইরে বেরুলেই বড়ই গাছের কাঁচা কাঁচা বড়ই পেড়ে খাওয়ার এক অসামান্য সুযোগ আমরা প্রায় সময়ই গ্রহণ করেছি। তবে, সন্ধ্যার পরে বেশ ভুতুরে একটা শঙ্কা আমাদের ঘিরে ধরতো। বিদ্যুৎ পৌঁছানোর আগের সেইসব হারিকেন জ্বালা সন্ধ্যার কথা এখনো খুউব মনে পড়ে। একবার ধানের আড়ির মধ্যে লুকিয়ে ছিলাম সেই চিলেকোঠায়। আর তারপর কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তা মনে নেই। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও আমাকে না পেয়ে সারা বাড়িতে হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছিলো। পরে যখন ঘুমন্ত আমাকে খুঁজে পেয়ে জাগানো হয়েছিলো, তখন একদিকে বিব্রত অপদস্ত মনে হচ্ছিলো, অপরদিকে আমাকে যে কেউ ভালোবাসে, চায়—এই চিন্তার এক ভালোলাগা আবেশও কাজ করছিলো। সেদিন হয়তো প্রথম বুঝেছিলাম, আমার এ জগতে কিছু মূল্য আছে, আমারও বেঁচে থাকার আছে কিছু প্রয়োজন।
আমার নানার বাড়ি যেতে হলে হাটহাজারী রোডে মাইল আটেক গেলে ফতেয়াবাদ স্কুলের পরে ছড়ারকুলের যে গলি, তার মুখেই বাস থেকে নেমে মাইল খানেক হাঁটতে হয়। আর বেবিট্যাক্সিতে গেলে গলির ভেতর অনায়াসে ঢুকে পড়া যায়। পশ্চিম পার্শ্বে তাকালে দেখা যায় আরেকটা সরু গলি চলে গেছে দূর পাহাড়ের দিকে। পুব দিকে ফিরলে নানার বাড়ি যাবার গলির দক্ষিণপার্শ্বে কুলকুল করে বয়ে চলেছে একটি গভীর ছড়া, ছড়াটি বেশ স্রোতস্বী বলে এটাকে খরস্রোতা ছড়া, যা পরবর্তীতে চাঁটগাঁইয়া ভাষায় ‘খঅইয্যা ছড়া’ নামে উচ্চারিত হতে শুনি। মাটির রাস্তা ধরে কিছুটা এগুলেই প্রথমে সাহিত্যিক মাহবুবুল আলমের বাড়ি, তারপরে কিছুদূর গেলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যার দুইপাশে দুটি পথ চলে গেছে। ডানপাশের পথে গেলে নুরুমামাদের বাড়ি, তারপর কালু নানাদের বাড়ি। সেখান থেকে ডানে গেলে মুনষি নানাদের উঠান। একটু বামে ঘুরে আবার ডানে গেলেই হাতের বামপাশে বেশ বড়সড় পুকুর, আর ডানপাশে আমার নানার বাড়ি, আন্নর আলী চৌধুরী বাড়ি।
সামনের বড় পুকুরটার পাড়ের পশ্চিম ধার দিয়ে মাটির রাস্তাটা আমার নানার বাড়িকে ডানপাশে রেখে সোজা চলে গেছে দক্ষিণের পথে, টিপু আরিফদের বাড়ির উপর দিয়ে বহুদূর স্বপ্নপূরীর দিকে। সেই সময় মনে হতো এই রাস্তাটা যেতে যেতে যেন আসমানে বিলীন হয়ে গেছে। হয়তো শিশুর দৃষ্টি হেতু বেশিদূর দেখতে পারিনি। পুকুরঘাটটি ছিল সুন্দর পাকা সিমেন্টে আস্তর করা। বিকেলে সন্ধ্যায় বড়রা সেই পাকা ঘাটে সিমেন্টে আস্তর করা ইটের চেয়ারে বসে আয়েশ করে আড্ডা জমাতেন। আমার তখন খুব বড় হবার সাধ জাগতো। পুকুরপাড়ের রাস্তা থেকে ডানে বিশাল উঠানের পরে একটি মাটির গুদাম ঘর—দেউড়ি ঘর। চট্টগ্রামের ভাষায় বলতো ‘ডেএরি ঘর’। সেই ঘরটি আমাদের জন্যে বেশ ঔৎসুক্যের ব্যাপার ছিল। কারণ, ওখানে যেন সব রূপকথার দৈত্যদের নিবাস ছিলো। যারা ওই ঘরে থাকতো, তারা আমাদের তিন নানার পরিবারের কেউ নয়। তারা অন্ধকারে হারিকেন বা মোম জ্বালিয়ে বিছানায় বসে সামনে একটা টেবিলের উপর ঝুঁকে দুলে দুলে কী যেন পড়তো। তারপর আমাদের ছোট ছোট মামাখালারা সেখানে সন্ধ্যার দিকে দল বেঁধে প্রতিদিন ঢুকতো। তাদের মলিন চেহারা দেখে মনে হতো এদের বুঝি সেই দৈত্যের কাছে পাঠানো হচ্ছে চিবিয়ে খাওয়ার জন্যে! মাঝে মাঝে বড়দের দেখেছি ওই ঘরে ঢুকে বলছেন— “শুধু হাড্ডি আর চামড়াটা রাখলেই চলবে।” এ কেমন কথা! তখন বুঝিনি যে, বাচ্চাদের পড়াশুনা করানোর জন্যে লজিং মাস্টারকে যথেচ্ছ পিটানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। মাঝে মাঝে এই দৈত্যটা কোথায় চলে যেতো। আর ফিরে আসতো না। তখন বাচ্চাদের বেশ সুদিন চলতো। কিন্তু সুদিন কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, আবার নতুন দৈত্য এসে ঢুকতো। মাটির দেউড়ির ডানে চওড়া খোলা পথ রেখে একেবারে ডানপাশে আরেকটি আলাদা পাকা দেউরি ঘর, নতুন বানানো বটে। যেখানে অপেক্ষাকৃত বয়োজ্যেষ্ঠ্যদের অর্থাৎ আমার ছোটমামা আর লিয়াকত ভাইজানের পড়াশোনার আয়োজন হতো। কাদের সাথে আর কেউ কেউ পড়তো কিনা মনে নেই। অতএব, এখানেও আরেক নতুন ভূতের আবির্ভাব ঘটেছিলো। লিয়াকত ভাইজান আমার খালাত ভাই, আমার ছোটমামার সমবয়সী। তাঁর পড়ালেখার দায়িত্ব আমার নানা গ্রহণ করার পর থেকে তিনি এ বাড়িতেই মানুষ হন। এই লিয়াকত ভাইজান ছিলেন আমাদের শিশুদের চোখে এক মহামানব, সকল দুষ্টুমি কর্মকাণ্ডের নেতা ও প্রশ্রয়দাতা। বিশেষত রাতের বেলা হারিকেনের আলোআঁধারিতে যখন তিনি আমাদের সকল খালাত মামাত ভাইবোনেদের একসাথে গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াতেন, তখন তাঁকে এক অন্য জগতের কেউ মনে হতো। যেন রূপকথার গল্পগুলো, রাজকন্যার রাজপুত্রদের কাহিনীগুলো ঝর ঝর করে বেরিয়ে আসছে জ্যাকপটের বাক্স থেকে। কতো কঠিন সংগ্রাম কতো বিপদ পেরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকতো গল্পের রাজপুত্রগণ! কোন্ ফাঁকে সেই গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যেতাম, বুঝতেই পারতাম না। মাঝে মাঝে ওনার হয়তো গল্প ফুরিয়ে যেতো, বা বলতে আগ্রহ পেতেন না। তখন আমাদেরও চোখ মুদে আসছে। তিনি হয়তো বলছেন, রাজপুত্র ঘোড়া ছুটিয়ে যাচ্ছে দূর তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে দৈত্যদের দেশের দিকে, ঘোড়া ছুটছে টকাটক টকাটক টকাটক....। আমরা হয়তো কেউ কেউ জেগেই থাকতাম, প্রশ্ন করতাম, তারপর? তখন তিনি বলতেন, ঘোড়া অনেক দূরের পথে ছুটছে তো ছুটছে টকাটক টকাটক টকাটক। এই শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়তাম; সেই ঘোড়ার স্বপ্নে আমিই চড়ে বসতাম টকাটক টকাটক। হঠাৎ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে, ডেকে জিজ্ঞেস করতাম, তারপর ? তিনিও ঘুমের আবেশে উত্তর দিতেন টকাটক টকাটক টকাটক। সেই ঘোড়াযাত্রা আর আমাদের শেষ হয়নি। শেষ হয়ে গেল স্বপ্নের মতো সেই সুন্দর শৈশব।
দেউড়ির পেছনে ভেতরের প্রশস্ত উঠোন পেরিয়ে পাশাপাশি তিনটি অন্দরমহল। উত্তর থেকে দক্ষিণে সবচেয়ে ডানে আমার নিজের নানা, মাঝখানে মেঝনানা, আর সর্ব বামে ছোটনানার বাড়ি। তবে কোথাও কোনো দেওয়াল বা বাউণ্ডারি বলে কিছু নেই। তবে সীমানা নির্ধারিত আছে সুপারি বৃক্ষের সারি দিয়ে। অন্যান্য দুয়েকটা গাছও রয়েছে। নানার বাড়ির ডানপাশে দেউড়ি বরাবর মুনশি নানার মাটির বাড়ি। মুনশি নানা ছিলেন কৃষক। মুনশি নানার ছেলে ভুট্টো আমার সমবয়সী, খেলার সাথীও বটে। এই ভুট্টোকে একসময় আমি নিরক্ষরতা দূরীকরণ প্রজেক্টের কারণে বর্ণমালা শিক্ষা দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। ভুট্টো বর্ণমালা সব পারতো, কিন্তু মাঝে মাঝে গুলিয়ে ফেলতো। তাই পরীক্ষার আগের দিন সে যখন গণ্ডগোল করছে, তখন আমার প্রতিবেশী বন্ধু বাচ্চুকে দিয়ে তথাকথিত নিরক্ষরতা পরীক্ষায় অক্ষর বলাতে হয়েছে।
মুনশি নানাদের পেছনে ভোতক নানা আর জুলু নানাদের বাড়ি। জুলু নানা বয়সে তরুণ বলে তাঁকে জুলু বদ্দা ডাকতে শিখানো হয়েছিলো। ভোতক নানার ছিল এক বিশাল বেকারী ফতেয়াবাদ ইশকুলের সামনে। আমরা বড়দের হাত ধরে সেই বেকারীতে গেলেই তিনি আমাদের হাতে বান, বেলা বিস্কুট ইত্যাদি তুলে দিতেন। তাই ওনার বেকারীতে যাবার খুব বায়না ধরতাম আমরা। মেঝনানা ও ছোটনানার বাড়ি মাটির ঘরের তৈরি ছিল। আমার নানার ঘরটিই শুধু পাকা। ছোটনানার বাড়ির বামে ছিল পেছনের পুকুর। মেয়েরা এই পুকুরেই স্নানাদি সারতো।
আমার নানার ঘরে ঢুকতে প্রথমে মেহমানদারীর ঘর বা সামনের রুম পাশাপাশি বেশ লম্বা, আর দুই পার্শ্ব গোলাকার—যেখানে সোফা, চেয়ার ইত্যাদি সাজানো ছিল। উত্তর পাশেরটায় একটি চিকন বিছানাও ছিল। আমার আব্বা সাধারণত ওই বিছানায় গোমরা মুখে বসে থাকতেন—মাঝে মাঝে হয়তো পত্রিকা পড়তেন। ডানপাশে বাইরের লোকজন, চাষীরা এলে তাদের নাস্তাপানি দেওয়া হতো।
তার পেছনে বিশাল শোবার ঘর। নানা বেঁচে থাকতে কেমনভাবে সাজানো ছিল, তাতো আর দেখিনি। আমরা যখন দেখি, তখন নানীর বিশাল উঁচু পালঙ্ক, সেগুন কী মেহগনী কাঠের, মাথার দিকে যেমন পায়ের দিকেও বেশ উঁচু ঘেরা। আমি তখন থেকেই ভেবে পেতাম না, মাথা বা পায়ের দিকে দেওয়াল তুলে কী লাভ! ঘুমের মধ্যে গড়িয়ে পড়লে তো পাশেই পড়বে। আমার বুদ্ধিতে ঘেরা বা উঁচু করার ব্যবস্থাটা দুই পাশে হওয়াই বান্ছনীয়। সেই বিছানার বেড়াগুলি কাঠের লম্বা লম্বা কিছু সারিবদ্ধ টুকরা দিয়ে সাজানো, যার ২/১টা ইতোমধ্যে ভেঙে গিয়ে ছোট ছোট ফোকর তৈরি হয়েছে। পালঙ্কের পায়ের দিকে আরেকটি সিঙ্গেল খাট পাতা ছিল, তবে অপেক্ষাকৃত নীচু। মনে আছে, পালঙ্কের ফোকর দিয়ে গলে ছোট সেই খাটে লাফ দিতে খুব আনন্দ পেতাম। রূপকথার সব গল্প আমরা এই ঘরেই শুনতাম। বড়রা অন্যত্র মাটিতে বিছানা পেতে শুয়ে আমাদের এই গল্পশোনাকে প্রশ্রয় দিয়ে যেতো।
জুলু নানাদের বাড়ির পরে ছিল এক বিস্তীর্ণ ঘন জঙ্গল। সেই বন বা জঙ্গলকে সবাই বলতো বারিছা। সেই বারিছার মধ্যে অনেক সুউচ্চ বিশাল বৃক্ষরাজির ফাঁকে ফাঁকেও ছোট বড় গাছের ভীড়ভাট্টা লেগে আছে। তারসাথে নানা ধরনের লতাপাতায় পা চালানো ভীষণ মুশকিল। অথচ সেই জঙ্গলে ছিল আমার নিত্য আকর্ষণ। প্রথমে আমি শিখেছিলাম কচি বাঁশের ছোট টুকরো দিয়ে একধরনের একটা গোটা ঢুকিয়ে পেছন থেকে একটা কঞ্চি দিয়ে জোরে ঠেলা দিয়ে দূরে ছুটে যায় গুলির মতো— নাম ‘ফড্ডাসি’। সেই ফড্ডাসির জন্যে দরকার ছোট ছোট আছাড়গুলা। তার বাংলা নাম আমি জানি না। সেই আছাড়গুলা সংগ্রহ করতেই প্রথম প্রথম এই জঙ্গলের ভেতর ঢুকে আছাড়গুলা গাছ বের করে করে কাঁচা কাঁচা আছাড়গুলা সংগ্রহ করে লুঙ্গির কাছায় ভরতাম। ফড্ডাসি বিষয়িটি আমার ‘সেই জংলা সে বারিছা” কবিতায় এসেছিলো
এখনও লুইস ক্যারলের মতো কে যেন আমাকে ঠেলেবারিছার ঘন জংলায় ঢুকিয়ে দেয় অখণ্ড অবসরেফড্ডাসির গুলতির জন্যে আছারগুলা খুঁজতে খুঁজতেগোলাপের মন্দারের কাঁটা তুচ্ছ হয়ে পড়ে হতাশায়বেতগুলা পেয়ে ভুলে যাই, পৃথিবীতে সূর্য ওঠা নামা করেভুলে যাই কর্মক্ষেত্র বলে কিছু থাকে কিছু সংসারটংসারদুহাতে বেতফল ছিঁড়ে খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে জোছনা নেমে আসে।পেকে যাওয়া আছারগুলা হাতছানি ডাকে — আয় আয়পরম মমতা ভরে পাকা আছারগুলা উদরস্থ করিকাঁচা আছারগুলা জেবের ভেতরে ভরি ফড্ডাসির গুলতি বানাবোতারপর বেতপাতার বাঁশি বাজাতে বাজাতে বের হইবিস্তীর্ণ চারপাশ শুনশান দেখি না কিছুই তাইমন ভরে কাঁদি, কেঁদে কেঁদে ভাসাই চরাচর
রাত ৮:২০
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
দারুণ! এই পর্ব একটু দেরীতে এলো তবে মন ভরালো... কিন্তু আরেকটু বড় হলে ভালো হতো! ধারাবাহিক তাই মনটাকে বাঁধলাম.. পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়!!
উত্তরমুছুন