১.
তপস্যার কোলাহলে ঋজু হয়ে আছে এক গাছ। তুমি ঝরে যাওয়া শরীর বয়ে বেড়াচ্ছ নদীর অগ্রভাগে। আমার কর্মক্ষমতা অথবা অক্ষমতার ভিতর আজকাল নড়ে ওঠে নির্বেদ বটগাছ ও ছড়িয়ে- ছিটিয়ে ওঠে অবিমিশ্র কঙ্কালের ভাষা। এরপর তুমি এগিয়ে যাওয়ার সাথে কেউ জলের স্রোতে ভাসিয়ে দিল এক বাঁকা বাটি। যার চোখেমুখে গ্রামের ছায়া, ভিজে যাওয়া মহিষের সাথে কথা বলতে বলতে ছড়িয়ে যাচ্ছে সৈন্ধব লবণের মতো কঠিন হয়ে।
২.
তবে সেই বনভূমি ছেড়ে চলে এসেছিলাম আমরা। যেখানে একফালি রোদের আলোড়ন ভেঙে তাকিয়ে থাকার নাম ছিল মিথিলার স্বর। আহরণ ভুলে তুমি ভালবেসেছো নতুন জন্মকে। যাঁর তীক্ষ্ণতার সাম্যতা ঘুমের ওষুধের নিসর্গরেখায় দিয়ে যায় তীব্র ঘুম। এখন চোখের পাতায় নাবিক চলে। পেখমবিহীন শূণ্যতার কাল নিয়ে। এ তবে সমুজ্জ্বল হল, পারিবারিক ক্ষতবোধে প্রদীপের রীতিবোধে? প্রেরণার কাছে যে ফুল গচ্ছিত রেখেছিলাম আমি, আজ এসে দেখি দূর থেকে এসেছে তার ফোটবার দিন।
অসাধারণ কবিতা দুটো। মুগ্ধ হলাম
উত্তরমুছুনঅসাধারণ
উত্তরমুছুনপ্রথমটির নির্মাণ আমায় বেশি টানল। খুব ভালো লেখা।
উত্তরমুছুনলিরিক্যালি ভীষন সমৃদ্ধ - দুটি লেখাই। দু তিনটি মেটাফোরের ব্যবহার চমকে দিয়েছে। কবিকে কুর্ণিশ!
উত্তরমুছুনদুটি কবিতাই অসম্ভব ভাল । যেন প্রতিমুহূর্তে নিজেকে নতুন করে ভেঙেছ তুমি । এই সিরিজের বাকি কবিতাগুলো পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম ।
উত্তরমুছুন।। শুভদীপ নায়ক ।।
আহা! কী ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন❤️❤️❤️
উত্তরমুছুন