কবিতা অথবা কবিতা অথবা কবিতা, কতোটুকু বুঝি না? কেউ বলবেন, কবিতা বোঝার জিনিশ নয়, কেউ বলবেন, কবিতা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের নয়, কেউ বলবেন, কবিতা অনুভূতির জিনিশ ইত্যাদি ইত্যাদি গৎ-বাঁধা সার্টিফিকেট!
একজন কবি কি এসব ভেবে কবিতা ল্যাখেন?
বামন ঘোড়ার পিঠে ন্যস্ত হয়ে কবিতার ব্যাখ্যা চেয়ো নাসস্তা ও কোমল তরিতরকারিময় দেশে ভালমন্দ খাও দাওতোমার পিছনে কোনো গোয়েন্দার চোখ নেই। শুধু কবিতারযে-কোনো ব্যবস্থা তুমি করে যাও। অন্তত এসব লেখাব্যবহারযোগ্য কিনা, বসবাসযোগ্য কি না, না জানালেকৌতুহল থেকে যায়। না হয় মফস্বলে সামুদ্রিকমাছের সম্পাদনরা তুমি কোরো। আমার ঘোড়াটি চাই।(পুরী সিরিজ - ৮)
উৎপলকুমার বসু,
তোমাকে বুঝি না তাই না - বোঝায় আমি সারাক্ষণহতচকিতের মতো হয়ে আছি।
উনিশশো বাষট্টি শেষ হল। কবিতাটির “প্রত্যেকে আপন ধর্মে-ব্যাপকতা- খুদ ভিখারির মতো বুঝে নেয়।” লাইনটি বলে দ্যায় “ঐকান্তিকতা ছেড়ে বেশি দূরে - কতো দূরে যাবো? যেখানে “ফুল তাই গন্ধে আজ আমাদের সতর্ক করেছে।” যেন প্রত্যেকেরই তার আপন কেন্দ্র থেকেই জানতে চায়, বুঝতে চায় এর কারণ হিসেবে বলা যায় সবাই সেটাই জড়িয়ে আছে যা সবার একান্ত!
কবিতায় কীভাবে একান্ত ঈশ্বরের প্রেম ফুটে উঠে এতো সাবলীলভাবে? “প্রত্যেকে আপন ধর্ম” অর্থাৎ নিজের ঈশ্বরপ্রীতিকেই বোঝায়! নিজের কাছে আসো, নিজেকে জাগাও। মনে রাখা ভালো, এই ঈশ্বর কোনও ধর্মীও ঈশ্বর নয়। যাপিত জীবন, প্রেম-দ্রোহ, কাম, নিঃসঙ্গতা ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ামক নিয়েই কবি একান্ত মনে গেঁথে যান শব্দের মালা কিংবা বিবিধ তসবি!
এজন্য কবি বলেন,
সূর্য বোঝে আপামর জনসাধারণ হতে সেও বেশি দূরে নয়।
পাঠক হিসেবে আমি কীভাবে বিবেচনা করবো? এর উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন এভাবে,
ঐ বাড়িটির গৃহকর্তীদের হারমোনিয়াম বলে যন্ত্রখানি অযৌক্তিক মনে হয়েছিলো ঐ বাড়িটির যৌক্তিকতা আছে?(স্মৃতি)
তবুও কবিতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় অনেকেই মাথা ঘামায়। আমার মাথা নেই, শুধু কইলজাডা আছে। উনিশশো বাষট্টি শেষ হলো কবিতা আমার এই কলিজায় যেন ছড়ানো স্ফুটন। ক্যারেল চ্যাপেকের কথা মনে পড়ে গেল,
ধোঁয়াটে কথা দিয়ে বড় বড় চিন্তাধারা ব্যাখ্যা করি অথচ হৃদয়ে অনুভব করি না ছিটেফোঁটাও।
মন্তব্য