হে শ্বেত ব্যকুল পাখি - বর্তুল জলেরপ্রবল কিনারে বসে দেখি এই সারিবদ্ধ নৌকো, দাড়ি, ক্রম পরস্পরজলের সীমানা ছেড়ে একে একে শূন্যে উঠে যায়।আমারো চতুর্দিকে গরাদের স্তব্ধ ছায়া পড়েছে এখন।(পূরী সিরিজ ১)
এখানে এসে থেমে গেলাম- কবিতাটি ‘পূরী সিরিজ’ কবিতাবইয়ের একটি কবিতার অংশ। কবি উৎপলকুমার বসুর ‘চৈত্রে রচিত কবিতা’ বইয়ের একত্রিশটি কবিতায় শেষবারের মত চোখ বুলিয়ে যখন লিখতে বসেছি কেউ যদি প্রশ্ন করেন শ্রদ্ধেয় কবি উৎপলকুমার বসু কোন দশকের কিংবা কোথাকার কবি? সত্যি করে বলছি আমি এখনও জানি না কিছুই। শিরোনাম দেখেই আগ্রহ জন্মেছিল ‘চৈত্রে রচিত কবিতা’টি পড়বার।
কবিতার শুরুতে ‘নিঃসঙ্গ দাঁড়ের শব্দে চলে যায় তিনটি তরণী’ লাইনটি পড়ে ইচ্ছে জাগলো আমিও না হয় ভেসে যাই আর একটি তরণী নিয়ে পরক্ষণে সম্বিত ফিরে পেলাম- কবি কাকে ভাসালেন ঐ তরণীতে এখনো তো জানা হলো না কিছুই! বরং আমি না হয় চৈত্রের কাটফাটা রোদে বালুচরে বসে থাকি কোন শিশু ঝাউগাছের ছায়ায় অনুভব করি ইচড়েপাকা শিশু মনে কবির অনুভূতি; বুঝতে চেষ্টা করি চৈত্রের রহস্য-
না হয় দীর্ঘদিন কেটেছিল তোমার অপ্রেমেতবুও ফোটে না ফুল। বুঝি সূর্যযথেষ্ট উজ্জ্বল নয়। বুঝি চির জাগরুকআকাশ শিখরে আমি ধাতুফলকের শব্দ শুনেসূর্যের ঘড়ির দিকে নিস্পলক চেয়ে আছি
হায় বিরহ! হায় প্রতীক্ষা। দেহ মনে ক্লান্তি এসে ভর করে ভালবাসা মানে প্রতীক্ষার প্রহর গোনা থেমে যেতে নেই। ক্লান্তি আসতে নেই অপেক্ষার। নিজের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়া অবধি প্রতীক্ষায় বলে থাকা শুধু! অবশেষে ফিরে এলে কোন অভিমান নয়, সূর্যের ঘড়ির পানে তাকিয়ে কেটে যাওয়া দুর্ভ্যক্ষ সময়ের বর্ণনাও নয়- নির্বাক দু’চোখে তাকিয়ে কবির প্রাণিত বয়ান-
না হয় দীর্ঘদিন কেটেছিল তোমার অপ্রেমে-
যতটুকু প্রত্যশার আলোর দ্যুতি ছড়ায় চোখে, যেটুকু ভালোবাসায় ভরসা জাগে প্রাণে যেখানেও বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচল! যাদুকরি শব্দ প্রয়োগ করে কবি সেখানেও চিন্তার কাঁটা বিছিয়ে রেখেছেন সযত্নে।
এখনি বিমুক্ত হবে মেঘে মেঘে বসন্ত আলোরনির্ভার কৃপাকণা। সমস্তই ঝরেছিলো- ঝরে যাবে-যদি না আমারযদি না আমার মৃত্যু ফুটে থাকো অসংখ্য কাঁটায়
জীবনের অমোঘ পরিণতি মৃত্যু। কবি মৃত্যুকে ভেবেছেন ভিন্ন আঙ্গিকে। মৃত্যু তাঁর কাছে প্রাকৃতিক নয়- মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে চলে যাওয়ার ব্যপারটা কোন দৈবশক্তির অনুরোধে সাড়া দেওয়া মাত্র। যাদের অনুরোধে মৃত্যুকে মেনে নেয়া তাদের কাছে প্রশ্ন তাঁর- যার অনুরোধ অথবা যাদের আহ্বানে আমি সব কাজ ফেলে দূর শূন্য পথে চলে যাবো তারা এত নিষ্ঠুর কেনো- কেমন বান্ধব তারা, সময়জ্ঞানহীন সময় পরিচালনাকারী! কবি লিখেন-
আসলে মৃত্যুও নয় প্রাকৃতিক, দৈব অনুরোধযাদের সঙ্কেতে আমি যথাযথ সব কাজ ফেলেযাবো দূর শূন্য পথে - তারা কেমন বান্ধব বলোকোন্ ঘড়ি? কোন্ সূর্যরথ?
আসা-যাওয়ার এই জলধারা চিরন্তন। প্রকৃত দৃষ্টিতে নগ্ন তবুও জীবনের দুপুরে কিংবা অবেলায় হঠাৎ করে নাই হয়ে যাওয়া পরিতাপের।
হয়ত প্রকৃত ঐ নগ্ন জলধারা-যখন দুপুর কাঁপে গ্রীষ্মের নতুন সাবানে।
অতঃপর দৈবকে মেনে নিয়েছেন তিনি, শুনেছেন তাদের অস্ফুট বাণী, প্রশ্ন থেকে যায় তবুও-
ওদের দৈবতা বলে আমি মানি। ওদের ঘড়িরসমস্ত খঞ্জনপাখা লক্ষবার শোনায় অস্ফুটে-আমার বন্ধু কি তুমি?আমি কি তোমার?
প্রকৃতিকে ভালবাসেন কবি। অথচ সবকিছুই দৈবর হাতে। এত ভালোবেসেও প্রকৃতির আপন হতে পারে না কেউ। প্রশ্নবাণে জর্জরিত হন, প্রশ্নের পর প্রশ্নে বিক্ষত হৃদয় শোকগাথা শোনে। জীবনের স্থির নাটকের চরিত্ররা, নেপথ্যের কুশীলবগণ যারা খুব কাছের একান্ত নিজের ছিলেন ওরা ঝরে যায় চোখের সম্মুখে। প্রকৃতির কাছে জানতে ইচ্ছে করে- “তবে আমি কি তেমন প্রেমিকা হতে পারিনি-”
কেন যে এখনো নই প্রাকৃতিক দুঃখজটাজাল?আমার নিয়তি তুমি ঈর্ষা করো-আমার স্মরণেযাও দূর তীর্থপথে, ভুল পথে-রক্তিম কাঁটায়নিজেকে বিক্ষত করো। রোমিও-রোমিও-কেন শূন্যে মেঘলীন কম্পিত চাঁদ উড়ে গেলে-অনির্বাণ, স্থির নাটকের যারা ছিল চারিত্রিকনেপথ্যে কুশল, প্রেম চেয়েছিল দুঃখতারা একে একে অম্লান ঝরে যায়?তবে কি আমিও নই তেমন প্রেমিকা?
কবি আলোর সন্ধান পেয়েছিলেন গবাক্ষবিহীন কোন এক অন্ধকারে- শুধু একটি দিনে। লাঠিম সূর্যের তাপে সারা পৃথিবীকে আলোকিত করার ফাঁকে কবির হৃদয় মন্দির আলোকিত করেছিলো বিস্মৃত পৃথিবী। সে সময়কে উল্লেখ করে তিনি বলেন-
তখন প্রবল মুহূর্তে আমি জেনেছি অনেকসমুদ্র কেমন হয়। কাকে বলে দুনিরীক্ষ্য তরু।আমি কেন রুগ্ন হই। তুমি দূর স্খলিত তারারকেন বা সমাধি গড়ো বনে বনে।
এতসব অজেয় দুর্বোধ্য সমুদ্রসম জ্ঞানের গভীরতা আর দুনিরীক্ষ্য তরুর তত্বকথা জেনেও কবি বিদ্বগ্ধ প্রাণে থেমে যাবার আকুতি শোনেন-
অথচ আঁধারে ফিরি আমি ক্লান্ত প্রদর্শক আলো,যারা আসে সহচর, রক্তলাল, গমের সবুজতারা কেউ ধুর্ত নয়- দয়াশীল, বিনীত ভাষায়বলে, তুমি ভুলে যাও সমস্ত জ্ঞানের ভার- সমস্ত অক্ষর
দৈবর অদৃষ্ট নিয়মে বন্দী সকলেই। অজানা অজেয় শকট হ্যাঁচকা টানে তুলে নিয়ে যায় শোকের সমুদ্রে ডুবিয়ে রেখে। বৃষ্টি যেমন প্রকৃতিতে শীতল করে, শোকাকুল হৃদয়ে অশ্রুপাত তেমনি ক্ষণেক সময়ের জন্য শীতলতা আনে প্রাণে।
কবিতার চতুর্থ স্তবকে কবি বৃষ্টির কাছে শীতলতা খোঁজেন-
এখনি বৃষ্টির পর আমি পাবো জোৎস্না-ভালোবাসা।কেননা মেনেছি আমি শোকাকুল তুমিও বন্দিনীঅজেয় শকটে তার। কোনো কোনো রথএকা যায় ভ্রান্ত পথে-অন্ধকারে-চালকবিহীন
সান্তনা পেতে চায় কবিমন। নীলগন্ধের রূমাল, জলের বিশাল পরিসর, অফুরন্ত বায়ু দিয়ে ধুয়ে দিতে চান বনস্থলী, বালুতট- দীর্ন হাহাকার। নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেন প্রত্যাশা যখন পাহাড় চূড়ায় উঠেছিলো, পাহাড়ের ওপরের শূন্যতা অবধি- তখন সতর্কবাণী শোননি তুমি! দেখোনি পদাতিক স্খলিত রথ। কবির ভাবনায় পূর্ণ আঘাত হানে
প্রতিটি বৃষ্টির পর ছিন্ন হও তুমি, ভালোবাসা।
কবিতার পঞ্চম স্তবকে কবি আপন মনের গভীরে প্রোথিত সরলতাকে ভ্রুকুটি হানেন- বসন্ত সুখের কোন মায়ায় পড়ে এহেন দুর্বলতা তার-
পৃথিবীর সব তরু প্রতিচ্ছায়া খুলে দেয় বসন্তের দিনে।যখনি তোমাকে ডাকে ‘এসো এসো বিদেহ কলুষ’,কেন যে লুণ্ঠিত, নীল পরিধান খুলে তুমিবালিকার স্পষ্ঠতায় কাঁদো-বসন্তই জানে।
দৈব জানেন, প্রকৃতির বিচিত্র চিরায়ত রূপ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থেকেও কবি স্বতন্ত্র্যে অবিচল। হৃষ্টচিত্তে বলেন-
তবুও আমার স্বপ্ন দুপুরের-ঘুমন্ত রাতের-প্রবল নদীর জলে ধরে রাখে নীল যবনিকা-যে তোমার পরিচ্ছদ, অন্তরাল, হয়ত বাযেটুকু রহস্য আমি ভালোবাসি বালিকার কিশোর শরীরে-
কবি তার একান্ত ভাবনার, ভালবাসার, প্রকৃতির, চলমান পারিপার্শ্বিকতার প্রতিকূলতা অনুভব করেন নিজ বিশ্লেষণে। আমাদের জানিয়ে দেন উপমায়-
এখন বিনিদ্র রাতে পুড়ে যায় মোমবাতি!এবং অলেখা গান নিস্ফলতা বয়েছিল কত দীর্ঘ দিনসে নয় প্রেমের দুঃখ? তবু সতকর্তাভেঙে ফেলে সুন্দরের প্রিয় পুস্পাধারবলেছিলো, ‘এই প্রেম অন্তিমের, সমস্ত ফুলের’
অবশেষে নিয়তি! চৈত্রে রচিত কবিতার শেষ স্তবকে এসে হাঁফ ছেড়ে বাঁচা যেন। জীবন থাকবে- প্রশ্ন থাকবে, জানা থাকবে- প্রশ্ন থাকবে, অজানা থাকবে- প্রশ্ন থাকবে, প্রশ্নের ভিতরেও প্রশ্ন থাকবে, প্রশ্নের উত্তরের পরেও প্রশ্নই থাকবে। কবি কবিতাটি শেষ করে এই স্তবকে-
যেন দূর অদেখা বিদ্যুতে তুমি পুড়ে যাওতুমি সুন্দর নিয়তিযেন জল, ঝোড়ো রাতে জ্বলে একা বজ্রাহত তরুতুমি সুন্দর নিয়তিমৃতেরা নিষ্পাপ থাকে। কারা নামে-অচ্ছোদসরসী-তুমি বিরূপ নিয়তিরাখো দূর মেঘপটে যত ক্রোধ, অকাল কামনাতুমি সুন্দর নিয়তিফিরে দাও দীর্ঘ ঝড় মদিরায় প্রাচীর কুঞ্জেরতুমি সুন্দর নিয়তি।
শ্রদ্ধেয় গুণী সমালোচকগণ আমার এ লেখা পড়লে হয়তো ভাববেন- কবিতাটির সঠিক ভাবার্থ আমি বুঝিনি, আরও থেকে গেছে বহুমুখী দৃষ্টিভঙ্গী। আমিও তা-ই বলি- অন্য দশজন আলোচক যদি কবি উৎপলকুমার বসুর কোন কবিতা নিয়ে মূল্যায়নে বসেন তবে তাঁদের সমুখে দশভূঁজা রূপে আবির্ভূত হবে কবিতাটি! এটিই উৎপলকুমার বসু এবং তাঁর কবিতা।
এতটুকু লেখার পর ভাবছি- কবি যা বুঝাতে চেয়েছেন আমি কি সত্যিই বুঝেছি সবটুকু? স্বপক্ষে সায় নেই মনের। অনেক থেকে গেছে বাকী কবিতার ছত্রে ছত্রে, প্রতিটি শব্দে। কবিতার মাঝেই থেকে গেছে নতুন কবিতা সৃষ্টির দিক নির্দেশনা, আমি স্বজ্ঞানে এড়িয়ে এসেছি, সরে এসেছি অনিচ্ছাতেও, শব্দের জলরাশিতে ডুবে যাবার ভয়ে। এমন বাছাই করা শব্দের অলংকনেও কবিতা হয় এ কথা ভাবতে গিয়ে স্তম্ভিত হয়েছি বারবার। কখনো কখনো একেকটি কবিতার লাইনকে একটি পূর্ণাঙ্গ কবিতা মনে হয়েছে আমার। অণুকবিতার পূর্ণাঙ্গ সংকলন যেন একেকটি কবিতা! কবিতায় ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দ যেন নির্মিত স্থাপনার একেকটি ভিত্তি। একটি শব্দ কোন কারণে ‘নাই’ হয়ে গেলে নড়বড়ে হয়ে যাবে সে স্থাপনা!
কবিতায় তাঁর ব্যবহৃত উপমা নতুন চিন্তার খোরাক জোগায়। একই উপমা অথচ ভিন্ন কবিতায় ভিন্ন অর্থের নির্দেশ করে। তাঁর কবিতা স্মৃতি বিভ্রমে ফেলে দেয় বারবার, আবার পড়ে নিতে হয় শুরু থেকে।
সাধারণত- রূপক, রূপকথা, গীতিরস, সৌন্দর্য সৃষ্টি, অতিন্দ্রিয় রহস্য ও উদ্ভট ব্যপার মিলেমিশে গিয়ে বিচিত্র কবি মনে যে স্বপ্ন প্রসবনের আবির্ভাব হয়- সেটাকেই কবিতা বলে জেনে এসেছি এতোদিন। উৎপলকুমার বসু ইচ্ছাকৃতভাবেই যেনো বেড়িয়ে এসেছেন সেই ধারা থেকে। বিদ্যোৎসাহী হয়েছেন কবিতার জনক হতে। লিখেছেন নিয়মের উর্ধ্বে উঠে। তার একেকটি কবিতা হয়ে উঠেছে কবিতার সুতিকাগার।
আলোচনার শুরুতে ‘চৈত্রে রচিত কবিতা’য় অন্তর্গত ভালবাসার গভীরতা মাপতে চেয়েছিলাম- শেষ পর্যায়ে এসে ধরে রাখতে পারিনি আপন স্বকীয়তা কারণ উৎপলকুমার বসুর কবিতা বুঝতে হলে শব্দচাষী হতে হয় প্রথমেই। কবির ইচ্ছাকৃত এড়িয়ে যাওয়া শূন্যস্থান পূর্ণ করতে হলে আত্মস্থকারীকে ডুব দিতে হবে তত্ত্বকথার অনেক গভীরে। নির্দেশনার আবছা আলোর রেখা অন্তদৃষ্টিতে এলে তিনি যখন ভেসে উঠবেন- তখন তিনি হয়ে উঠবেন ভিন্নধারার এক নতুন কবি।
আমার এমন ধারণাকে বিশ্বাসের পর্যায়ে আনতে গুগল-এ সার্চ দিলাম। খুব বেশী কিছু নেই সেখানে-
উৎপলকুমার বসু, জন্ম: ৩ আগস্ট ১৯৩৯, কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত, মৃত্যু: ৩ অক্টোবর ২০১৫, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
২০০৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসেছিলেন। আজকের দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি সেখানেই বলে গেছেন, আমার ভাবনার নিগূঢ় সত্যটা-
আমি আমার কবিতায় গ্যাপগুলোকে ইচ্ছে করে রেখে দিই। যে যেমন ইচ্ছে ভর্তি করে নিক। আমি লিখে গেলাম একজন পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়লো দুপুরের ভাতটাত খেয়ে- এই জিনিস হবে না। তাকে একটু উঠে বসে ভাবতে হবে।
আর এ কারণেই একসময় তিনি হয়ে উঠেন, কবিদেরও কবি। অসংখ্য কবি সৃষ্টির অভিযোগে কলকাতায় তাঁকে অভিযুক্ত করেছিলেন কাব্য শুভার্থীগণ। (সূত্র : আজকের দৈনিক সংবাদ)
পরিশেষে এতটুকু দ্বিধা না রেখেই বলা যায় উৎপলকুমার বসু শুধু কবিদের কবি নন, তার সৃষ্ট প্রতিটি কবিতাই কবিতার একেকটি মাতৃজঠর। চৈত্রে রচিত কবিতা; কবিতারও কবিতা।
মন্তব্য