১.
সম্প্রতি বাংলা কবিতা নিয়ে বাংলা ও বাংলাদেশের পাঠকদের মধ্যে একটা ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সত্তর দশকের কবিতার পর, আশির দশক পেরিয়ে এসে পাঠকের তৃপ্তির স্বাদ বারবারই বদলেছে। যদিও এই বদল কিন্তু রাতারাতি নয়। আমাদের ন'য়ের দশেকের বিশিষ্ট কবিদের অন্যতম উৎপলকুমার বসু। কবিতায় শব্দ দিয়ে যিনি তৈরি করতে পারেন একটা কাব্যিক উপন্যাস। তাঁর সব কবিতা আমার সেভাবে কোনদিন পড়া হয়নি। তবে ওনার একটি কবিতার সিরিজ ‘বক্সীগঞ্জে পদ্মাপারে’ কেন জানিনা বার বার পড়তে ভালো লাগে। আমাদের বাঙালি কবিদের মধ্যেই রয়েছে প্রকৃতির সজীবতা, রয়েছে পোড়া মাটির একটা ভ্যাবসানি গন্ধ। আমরা যারা পাঠক সেইসব কবিদের লেখা পরি, চর্চা করি, ঠিক তখনই তাঁদের সঙ্গে সেখানে পৌঁছে যাবার একটা প্রচেষ্টা চালাই। তাছাড়াও কবিতার আঙ্গিক-শব্দ প্রয়োগ-ভাব এবং অলংকার সবটাই কবিতার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলে। এবার ভণিতা না করে একটু যাই পদ্মাপারের তীরে।
ছোট্ট সিরিজটিতে শব্দের বুনট চোখে পড়ার মতো। ‘ভূমিকা’ এখানে শুরু হচ্ছে এভাবে-
কত গল্পে নেমে গেছি-কত না গাথায়-ভাঙা ধুস্ত সিঁড়ি বেয়ে,দু'চার ধাপ টপকে গেছি,পড়তে পড়তে বেঁচে যাই, ঐ ভাবে,বোকার মতন বাঁচিমহাভারতের মাঠে,হোমরের উপকূলে,এজিদ-কান্তারে,দেখিযুদ্ধ শুরু হল,শেষ হল,নায়ক নিহত,রাজ্য শ্মশান-...
কবিতার বইয়ের ভূমিকা শুরু হয়েছে এভাবে। সাধারণত আমরা যে ধরনের পাঠের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে আসছি, ঠিক সেই ঘরানা থেকে অনেকটাই অন্য চিন্তা ভাবনার প্রকাশ এই কাজ। এই যে বলা। একটা গ্রামের সরল চিত্র। ওই সেই দূরের সবুজে ঘেরা জঙ্গল, সেই জঙ্গলের মধ্যে থেকেই ধুলোর রাস্তা তৈরি করে নিয়েছে গ্রামের মানুষ। প্রতিদিনের চলাফেরা, যোগাযোগ। জয় গোস্বামী একটা বইয়ে লিখছেন,
সেই সাতান্ন সালে বাংলা কবিতা এত স্বাভাবিক, এমন নতুন ভাষায় কথা বলেছিল সুভাষেরই হাতে এসে। কেবল বিশ্বাসের জোর, এর কবিত্বকে তৈরি করেছে যেন, এমন ভাবতেই আমরা লুব্ধ হই। বিশেষত যখন পড়ি এই কবিতারই পরবর্তী লাইনে- ‘মৃত্যুর গলায় পা দিয়ে হলেও আমি বাঁচব।(জয়ের সুভাষ/দেজ পাবলিশিং)
জয় গোস্বামী এই কবিতার মধ্যেই বলছেন অগ্রজ কবির সেই স্টাইল, সেই ভাব,সেই কবিত্বের কথা। যে কবিতা নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের একটি বই, ‘যত দূরেই যাই’ থেকে কবিতার লাইন কিছু তুলে দিলাম-
আপনাকে এই বলে দিচ্ছি, দেখে নেবেনকারোর বাপের সাধ্য নেইলাথি মেরেআমাকে এই পৃথিবী থেকে হটায়আমি এই কামড়ে পড়ে থাকলাম(যত দূরেই যাই)
এই কবিত্বের প্রসঙ্গেই কবি জয় অগ্রজ কবি সুভাষের পৃথিবীর সঙ্গে মাটি হয়ে থাকার কথায় স্মরণ করেছেন।
২.
আমাদের এই মহাপৃথিবীর চাদরে ঢেকে থাকা ঘাস-ফুল-মাঠ সব কিছুই যেন, কবিত্বের স্পর্শে প্রাণ পেয়েছে। নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশেরই প্রধান নদী পদ্মা। তার তীরেই জন্ম যেন মানুষের। এই মাটিতেই সোনা ফলে। এই মাটিই যেন শৈশবের মায়ের কোল। এখানে অনেক কালের কাল প্রবাহ সংঘঠিত হয়েছে মহাকালের নিয়মে। কবি উৎপলকুমার বসু, এই পদ্মার পারেই তাঁর মহাজীবনের স্বাচ্ছন্দ্য যেন রেখে যেতে চান। তিনি নিজেই যেন সেই প্রাচীনের মহাযুদ্ধের নায়ক হয়ে গেছেন, তাই নিজেই বলছেন, ‘কত গল্পে নেমেছি-কত না গাথায়।’ আসলে কবি কবিতার মধ্য দিয়েই তাঁর আগামীর চলার পথের সন্ধান দিচ্ছেন। আর এই প্রসঙ্গেই টানছেন মহাভারতের কথা, প্রাচীন ইউরোপের যুদ্ধের কথা। একটা ছোট্ট কবিতার সিরিজ বইয়ে কবি নিজেই এভাবে ভূমিকা লিখেছেন কবিতায়। এই বইটির এক নম্বর কবিতা শুরু হয়েছে এভাবে-
(এক)রেখেছ রঙিন পাতা,শব্দটুকু রঙিনে রেখেছ-সাপের চলার শব্দ।মাথার উপর সূর্য,নীলকান্ত,সকলেই হারানো শিশুকেতার নিজের বাড়ির কথা প্রশ্ন করে,নাম বলো,বাপ-মা কোথায়,কোথায় নিজের দেশ,জানে না সে কার সঙ্গে এখানে এসেছে-শুধু মনে পড়ে সাপের চলার শব্দজন্মাবধি।শুধু এটুকুই মনে আছে।বর্ণময়,তা-ও সে ভোলেনি।বাকি সব অবান্তর, অন্ধকার, পরম্পরাচ্যুত।
কী ভয়ানক এই কবিতার শব্দের ব্যবহার। ভূমিকার ভণিতা ছেড়ে কবি নিজেই এবার বংশপরিচয়, পিতৃপরিচয়ের প্রশ্ন তুলেছেন। গ্রামের কোন এক ঘরে অবাধে সন্তান জন্মায়। সেখানে কোন নিয়মনীতির বালাই নেই। রক্তে-ন্যাকড়ায় মিলেমিশে জন্ম নেয় বাচ্চা। যে ঘরে সে বাচ্চা জন্মায়,সে জোরে জোরে কেঁদে ওঠে। মায়ের যোনি চিরে বেরিয়েছে সেই সন্তান। পেট থেকে নাড়ির টান ছিন্ন করেছে সদ্য। এখন আর টিকতে পাচ্ছে না, যেন রক্তের স্যাঁতস্যাঁতে আদ্রতা তাকে আরো ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে। মাটির ঘর। ঘর পেরিয়ে উঠোন। উঠোন পেরিয়ে রাস্তা। আর পেছনে ঘন বন। সেই বনে বাদারে হামেশায় সাপের উৎপাত। কোনো কোনো মায়েরা পোয়াতি পেটেই দিনের পর দিন রাত কাটিয়েছে সাপের গন্ধ নিয়ে। তা ছেলে কী করে ছাড় পাবে? গ্রামের এমন অনেক ঘরেই ছেলে জন্ম দিয়েই মারা গেছে সেই মায়েরা। বাপে তাড়ানো ছেলে গুলোর তো সত্যিই কিছু নেই। নেই পরিচয়। নেই ভালোবাসা। নেই কাগজপত্র। নেই খাবার। তারা যায় কোথায়? তারা, এভাবেই বড় হয়। বড় হতে হতে তারাও শিখে নেই, কীভাবে গায়ে কাদাজল মেখে রাতের বাগান জাগ দিতে হয়। কীভাবে আম পেরে টক করে খেতে হয়। কীভাবে গামছা দিয়ে কুঁচো চিংড়ি ধতে হয়। সাবুর দানা দিয়ে কীভাবে পাংয়াস মাছ ধরে নিতে হয়। এই বিরাট জীবনের কথা বোঝাতেই কবি ব্যবহার করেছেন, ‘বর্ণময়’ শব্দটি। এই গ্রামের পথঘাট তার নখদর্পণে। রাতে অন্ধকারে চাঁদের আলোয় সে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে পেরিয়ে গিয়ে ওঠে ওপাশের গ্রামে। মাথার ওপর সূর্য ওঠে। আবার নিয়ম মেনেই অস্ত যায়। এই জীবনের কোন কথা কোন ভ্রূক্ষেপ কেউই রাখে না। তাই কবি বলেন, ‘বাকি সব অবান্তর, অন্ধকার, পরম্পরাচ্যুত'। কবিতা লিখতে লিখতে কবিরা যেন এভাবেই কোথায় হারিয়ে যান। ‘অবান্তর’ শব্দ দিয়েই কবি বোঝাতে চান, এদের জীবনের কথা টেনে আনা যেন, অপ্রাসঙ্গিক। অন্ধকারে জন্ম নেওয়া জীবন, সে-ও তো অন্ধকারের পথেই হেঁটে চলে। আলো তার কাছে হয়ে ওঠে শব্দকল্পদ্রুম।
৩.
সিরিজের ছ’ নম্বর কবিতায় লিখছেন,
থামাও, থামাও ওকে, ও যে দৌড়েই চলেছে।চাঁদ পারো। চাঁদ খাই। ওগো রাত্রিওলা, এভাবে যাবে কি দিন?দিন মানে আয়ু ও বছরকাল।...
আসলে একজন শক্তিমান কবির হাতেই কবিতা যেন কোথাও হয়ে উঠে জীবন। সেই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে লড়াই। লড়াই বেঁচে থাকার। লড়াই টিকে থাকার। মহাকাল নিজের নিয়মেই নিজের পথ প্রশস্ত করে নেয়। সঙ্গ দেয় শুধু মানুষ। বুভুক্ষু পেতে পরে টান, খিদের টান। খোঁচা দেয়। জ্বালা করে। যন্ত্রণা হয়। তারপর আসতে আসতে কোথায় যেন সব পদ্মার জলের স্রোতে ভেসে যায় মহাসাগরে। জীবনের মহাঅভিসন্ধি রচিত হয় কবির কল্পনায়। বিখ্যাত অনুবাদক মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর একটি অনুবাদের বই অর্থাৎ ইয়েশি হারাসিমোভিচ ‘এর 'কাটাঝোপ’ (ইয়েশি হারাসিমোভিচ / কাঁটাঝোঁপ / অনুবাদ: মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় / প্রতিভাস) এর ‘ছাতার ছুটি’ কবিতার একটা জায়গায় অনুবাদে লিখছেন-
...আস্তে আস্তে হাড়ের গর্তভ'রে ওঠে ছাতায়যেমন সন্ধ্যাবেলায়গর্ত এর মধ্যেই ভ'রে গিয়েছেএইসব মস্তমানুষবাদুড়েতফাৎটা শুধু এই যে এটারমুন্ডু কেবল কা-কা করেওটা করে ম্যাও ম্যাওকারণ সব হাতলইরূপান্তরিত হ'য়ে গেছে মাথায়...
প্রায় সব দশকের কবির চিন্তা-ভাবনা এমনকি অনুভূতি প্রায়ই একই। আমাদের আগেই পোল্যান্ডের কবি ইয়েশি হারাসিমোভিচও নিজেই খুঁজেছেন মানুষের ইতিহাস। অনুসন্ধান করেছেন মানুষের জীবন। এভাবে হয়তো জীবন কোথাও প্রাণীকূলের সঙ্গে মিশেছে অন্ধকারে। সেই অন্ধকার মৃত্যুর। সেই অন্ধকারের অন্ধকার হাড়ের ভেতরের অন্ধকারের মতো।প্রাণ আছে। গতি আছে। স্পন্দন আছে। অথচ যেন আলো নেই। সেই অন্ধকারে জন্ম নিয়েছে পরজীবী। উৎপলকুমার বসুও খুঁজেছেন সেই অন্ধকারের মধ্যে থাকা আলো। সেই আলো নামক চঞ্চলতা। সেই চঞ্চলতা নামক জীবন। সেই জীবন নামক শিশু।
প্রায় পুরো সিরিজেই কবিতার মধ্যে দিয়ে হেঁটে হেঁটে শেষ প্রান্তের সফর সেরেছেন কবি।
৪.
এবার আসি সিরিজের একটি উপসংহার কবিতায়। নাম ‘মলাটের লেখা’-
পরমা, আহত-গতি,ছিন্ন মিথ্যা ও প্রত্যয়েউদার গম্ভীর খাদ্যে,উচ্ছিষ্টে ও জয়পরাজয়ে-কিছু ছিল চলা পথচলা,কিছু ছিল বনস্থলী রীতি;ধানুকীর ধৈর্যহীন নিকষ আকৃতিসহসা চিত্র পায় যেন এক গাছের উড়ানেপাখীদের পিছু পিছু- গাছ ওড়ে পাখির বাঁধনেজালসুদ্ধ,লতাসুদ্ধ, এমন কি প্রকতিও ওড়েসামুদ্রিক,ভূতে পাওয়া,মরুচর উড়ন্ত অক্ষরেবাংলা কবিতা ওরা নীল নভে ভাসমান থাকে-অবাক শবর তুমি,ভাষা পরিত্যাগ করেছে তোমাকে।
কী সুন্দর অনুভুতি নিয়ে কবিতার উপসংহার লেখা হয়েছে। আসলে উপসংহার লেখা ঠিক নয়, যেন উপসংহার নির্মাণ করা হয়েছে। কবিতার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে উন্মাদনা, আকাঙ্ক্ষা, স্তব্ধতা, অন্ধকার, প্রাণ, পৃথিবী। এভাবেই কবি উৎপলকুমার বসু কাব্য রচনা করেছেন যেন। বিরাট এই প্রকৃতি। সেখানে অন্ধকারের মধ্যেই তিনি বার বার হেঁটেছেন। খুঁজছেন জীবনের প্রকৃত রসদ। লতা-গুল্ম এভাবেই গায়ে মেখেছেন তিনি। নদীর জলের মধ্যেই পেয়েছেন গতি। সেই গতি কখনো হয়েছে আহত, পেটের তাগিদে। লতায়, ঝোপে পেয়েছেন জীবনের আস্তানা। এখানে তিনি লেখেন, ‘পাখীদের পিছু পিছু’ অর্থাৎ কবিতার শব্দের ব্যবহারেই তিনি নিজের স্বকীয়তা বোঝান। পাখির উড়ে যাওয়া, দুর্নিবার গতি, তার সঙ্গে তাঁর চঞ্চল মন। মাঠ-ঘাট-পথ পেরিয়ে অনায়াসে তিনি পৌঁছে যেতে পারেন সমুদ্রে। এই সীমাহীন সমুদ্র যেন তাঁর আরো এক বিরাট পৃথিবীর আঙিনা। মনে পড়ে, জীবনানন্দ দাশের সেই কবিতার কথা-
নির্জন পালঙ্কে তুমি ঘুমায়েছ,-বউকথাকওটির ছানানীল জামরুল নীড়ে-জ্যোৎস্নায়-ঘুমায়ে রয়েছ যেন,হায়,আর রাত্রি মাতা-পাখিটির মতো ছড়ায়ে রয়েছে তার ডানা...(১৩২৬-এর কতক গুলো দিনের স্মরণে/রূপসী বাংলা/জীবনানন্দ দাশ/সিগনেট প্রেস)
এভাবেই কবি ডুবে যান মাটিতে। মাটির কণায়।বিরাট পৃথিবীর ছায়া ঘিরে ধরে ছাতা। ডানা মেলে ধরে সেই পাখি। বাংলার মাঠ-ঘাট-নদী-নালা সবই যেন ফিকে হয়ে আসে, সময়ের সঙ্গে। কোথাও নিয়তি অপেক্ষা করে থাকে অন্ধকারে। জেগে থাকতে থাকতে নিয়তিও ঘুমিয়ে পড়ে আলতো ভাসমান হাওয়ায়। বক্সীগঞ্জে পদ্মাপারের আলো নিভে আসে সূর্য পশ্চিমে ঢলতেই। শিশির ভেজা ঘাসে পড়ে থাকে পৃথিবীর ঘ্রাণ। কবি সেই ঘ্রাণ কুড়োতে কুড়োতে এগিয়ে চলেন সামনে। যেখানে শবরের দল জমায়েত হয়।
ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনতোমার এই লেখাটায় অতিক্রমের প্রয়াসে কলমে এনেছ ঘাম, পায়ের পাতায় জলের স্পর্শে অনুভব করেছ বাংলা কবিতার অন্দরে পড়ে থাকা নানান নাড়ি পাথরের স্পন্ধন, যাপন জুড়ে সার্থকতার খাল বিল নদ পেরিয়ে পুরি সিরিজ আলোচনার সার্থকতা, মানুষের বসত ছেড়ে, নির্জন নিরালায় দূর্গম বনপথ পেরিয়ে উপলব্ধির কিনারে এসে দাঁড়াতে হয়েছে তোমায় এই লেখাটা লিখতে। খুব ভালো লাগল এই একই পত্রিকায় তোমার উৎপল কুমার বসুকে নিয়ে লেখা প্রবন্ধটি।
উত্তরমুছুনঅনেক অনেক ধন্যবাদ
মুছুনঅনেক অনেক ধন্যবাদ
মুছুনমননশীল একটি প্রবন্ধ। বেশ ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ দাদা
উত্তরমুছুনঅসাধারণ! অভিভূত হলাম!
উত্তরমুছুন