অধিবিদ্যা
- আমাকে ঈদ দেখাতে নিয়ে চল।
- আমাকে নামাজ দেখাতে নিয়ে চল।
ছোটবোনের আবদার পূরণ করতে না পেরে সে ছুটতে লাগলো। অন্ধকারে পথ চিনতে হয়। ঘনঅন্ধকারে একজন সাইকেল আরোহী পাশ ঘেঁষে বলে গ্যালো, ‘বেল নাই’।
জোনাকিরা হেসে বললো, ‘আলোও তো নেই’।
তার সাথে দীর্ঘদিন পর বন্ধুর দেখা।
- ‘তোর আদর্শ শিক্ষক হওয়ার কথা শুনে ভালো লেগেছিলো’।
আলোর সাথে জোনাকির সন্ধি ভেবে তার মনে পড়ে যায়, "আমাকে শিক্ষক দেখাতে নিয়ে চল "।
অচল ঘড়ি
ঐ বাড়িটির অচল ঘড়ির দিকে তাকালে মনে পড়ে "প্রত্যেকে সেই কাজে সময় পায়,যে কাজটা সে
গুরুত্বপূর্ণ মনে করে "।কথা দিয়েছিলে, বারোটায় আসবে কিংবা চলে যাবে কোথাও। তখন মধ্যরাত। মুখোমুখি চাঁদের দুরত্ব, জোৎস্নায় পলাতক মুখের মতো। ঘুমন্ত পাড়া। দুরবনে শেয়ালের হাঁক, মনের ভেতর পোষাকুকুরটাও চিৎকার করে বাঁচতে চায় প্রতিপক্ষে। চারপাশ অন্ধকার। এই অন্ধকারে আমার ভেতর যে , দ্বন্দ্বমূলক বিরোধ লুকিয়ে আছে। তোমাদের সমাজতান্ত্রিক মনোভাব সেটা বোঝে কি?
অচল ঘড়ির দিকে তাকালে বাড়ির কথা মনে পড়ে। প্রতিরাতে যার দরজা ভুলে যাই, দিনশেষে মনে হয় বাড়ি আর আরেকটা বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।
আঙ্গুলে আঙ্গুর রেখে ডেকেছি কতবার প্রিয়তম মাছিকে
ইদানিং রাত্রিতে বালিশটা হেঁটে যায় তোমার বুকের শহরে। যে মাছ ডুব দেয়ার স্বপ্ন দ্যাখে, তার ঘুম ভেঙে গ্যাছে! জেগে দ্যাখে, এখনো পাখি উড়ে, চোখ পোড়ে, ঘর সংসারে ব্যস্ত তারাদের হাট! আমি একলা পথ, হেঁটে চলেছি তোমাদের পায়ে! যে দুরবীন আমাকে দ্যাখে নি, তার ভেতর আকাশের সামিয়ানায় ফুলতোলা কাগজে ভেসে যেতে পারে নি ভোর।
মন্তব্য