নিজেকে নিজে
আমাকেই আমি আজ ভালোবেসে ফেলেছি হঠাৎ
নিজেকেই নিজে চুমু খেয়ে বলেছি— কী সুন্দর!
আমার বিষণ্ণ চোখের দিকে তাকিয়ে নিজেই
কেঁদেছি অঝোরে। নিজের চুল এলোমেলো করে
নিজেই বেঁধেছি ঝুঁটো। আমার সমস্ত ভালোবাসা
আজ আমাকেই করেছে কাঙাল-দিওয়ানা।
অথচ একটু আগেও নিজের সঙ্গে নিজে শত্রুতা
করে নিজেই ছুরি হাতে ছুটে গেছি নিজের দিকে
নিজেই উপড়ে ফেলতে চেয়েছি নিজের চোখ
জিহ্বা কেটে বলতে চেয়েছি, আর কথা নয়।
ভ্যান গঘের মতো কান কেটে চেয়েছি রক্তাক্ত
বিছানায় তড়পড়াতে তড়পড়াতে মরে যাই।
এতদিন আমি ভালোবেসে দেখেছি বন্ধু-নারীদের
হৃদয়ের খুব কাছাকাছি থাকা মানুষ ও পরিবার
তারা খুব কাছের নয়, যতটুকু আমি নিজের।
একাকীত্ব
মৃত্যুর মতো হল্লা করে আজ বাড়ি ফিরি
গান শুনতে শুনতে রান্না ও গোসল সারা।
খাই। সিগারেট জ্বালিয়ে বসি বারান্দায়।
ছাদ থেকে মেয়েদের উঁকি দেওয়া দেখি
সকালে অফিস; দুধ খেয়ে কবিতা পড়ি
গান শুনতে শুনতে ঘুমাই, অভ্যেস বহুদিন
কত কি মনে পড়ে ঘোরে ফ্ল্যাশব্যাকের মতো
ঝাপসা দিন, রৌদ্র ঝিলমিল, সুতোতে দুলছে।
সকালে অফিস। অ্যালার্ম বাজে সাতটায়
পানি খেয়ে পেস্ট লাগায় ব্রাশে। গান শুনতে
শুনতে গোসল করি, নিজেও গান গাই বেসুরে
একটা সেদ্ধ ডিম ছিলে চাল ছিটায় ছাদে
পাখিরা এসে খুঁটে খুঁটে খায়, কত যে পাখি!
তারপর রোদ এসে বসে কার্নিশে, তেরচা
আলো লুটোপুটি খায় ঘাসে, বাতাসে ওড়ে চুল
আমি তো ভাবি প্রতিদিন, একদিন ঘাস ছিঁড়ে
দেখবো ঘাসের মাহাত্ম্য, কোথায় শিখেছে তারা
নির্বাক হওয়ার ধ্যান। আমি ভাবি প্রতিদিন...
ঘাসজীবী
আমি তো পেয়েছি আজ
এক ঘাস কাটার কাজ
সবুজ-নরম ঘাস কাটতে
কেমন নিশপিশ করে হাতে!
মুঠোয় ধরে ধারালো এক কাঁচি
আমি ঘাস কাটতে কাটতে বাঁচি।
এত কাজ ফেলে ঘাস কাটার ছলে
আমিও হয়েছি প্রেমিক কাঁচির তলে
ঘাস কাটি, বাঁধি আঁটি, রোদ ওঠে
হাওয়া এসে চুমু খায় ঘাসের ঠোঁটে।
সে এক হাওয়া দস্যু, বেকারে ঘুরে
পাখির সাথে মিলে গায় পাতার সুরে
ঘাস আমার তার পানে চেয়ে হাসে
ঘাস কি তাহলে তারেই ভালোবাসে?
চলে যায় ঋতু, চলে যায় ঘাস কাটার দিন
আমার ঘাস কেটে দিচ্ছে আজ দানব মেশিন।
আমাকেই আমি আজ ভালোবেসে ফেলেছি হঠাৎ
নিজেকেই নিজে চুমু খেয়ে বলেছি— কী সুন্দর!
আমার বিষণ্ণ চোখের দিকে তাকিয়ে নিজেই
কেঁদেছি অঝোরে। নিজের চুল এলোমেলো করে
নিজেই বেঁধেছি ঝুঁটো। আমার সমস্ত ভালোবাসা
আজ আমাকেই করেছে কাঙাল-দিওয়ানা।
অথচ একটু আগেও নিজের সঙ্গে নিজে শত্রুতা
করে নিজেই ছুরি হাতে ছুটে গেছি নিজের দিকে
নিজেই উপড়ে ফেলতে চেয়েছি নিজের চোখ
জিহ্বা কেটে বলতে চেয়েছি, আর কথা নয়।
ভ্যান গঘের মতো কান কেটে চেয়েছি রক্তাক্ত
বিছানায় তড়পড়াতে তড়পড়াতে মরে যাই।
এতদিন আমি ভালোবেসে দেখেছি বন্ধু-নারীদের
হৃদয়ের খুব কাছাকাছি থাকা মানুষ ও পরিবার
তারা খুব কাছের নয়, যতটুকু আমি নিজের।
একাকীত্ব
মৃত্যুর মতো হল্লা করে আজ বাড়ি ফিরি
গান শুনতে শুনতে রান্না ও গোসল সারা।
খাই। সিগারেট জ্বালিয়ে বসি বারান্দায়।
ছাদ থেকে মেয়েদের উঁকি দেওয়া দেখি
সকালে অফিস; দুধ খেয়ে কবিতা পড়ি
গান শুনতে শুনতে ঘুমাই, অভ্যেস বহুদিন
কত কি মনে পড়ে ঘোরে ফ্ল্যাশব্যাকের মতো
ঝাপসা দিন, রৌদ্র ঝিলমিল, সুতোতে দুলছে।
সকালে অফিস। অ্যালার্ম বাজে সাতটায়
পানি খেয়ে পেস্ট লাগায় ব্রাশে। গান শুনতে
শুনতে গোসল করি, নিজেও গান গাই বেসুরে
একটা সেদ্ধ ডিম ছিলে চাল ছিটায় ছাদে
পাখিরা এসে খুঁটে খুঁটে খায়, কত যে পাখি!
তারপর রোদ এসে বসে কার্নিশে, তেরচা
আলো লুটোপুটি খায় ঘাসে, বাতাসে ওড়ে চুল
আমি তো ভাবি প্রতিদিন, একদিন ঘাস ছিঁড়ে
দেখবো ঘাসের মাহাত্ম্য, কোথায় শিখেছে তারা
নির্বাক হওয়ার ধ্যান। আমি ভাবি প্রতিদিন...
ঘাসজীবী
আমি তো পেয়েছি আজ
এক ঘাস কাটার কাজ
সবুজ-নরম ঘাস কাটতে
কেমন নিশপিশ করে হাতে!
মুঠোয় ধরে ধারালো এক কাঁচি
আমি ঘাস কাটতে কাটতে বাঁচি।
এত কাজ ফেলে ঘাস কাটার ছলে
আমিও হয়েছি প্রেমিক কাঁচির তলে
ঘাস কাটি, বাঁধি আঁটি, রোদ ওঠে
হাওয়া এসে চুমু খায় ঘাসের ঠোঁটে।
সে এক হাওয়া দস্যু, বেকারে ঘুরে
পাখির সাথে মিলে গায় পাতার সুরে
ঘাস আমার তার পানে চেয়ে হাসে
ঘাস কি তাহলে তারেই ভালোবাসে?
চলে যায় ঋতু, চলে যায় ঘাস কাটার দিন
আমার ঘাস কেটে দিচ্ছে আজ দানব মেশিন।
মন্তব্য