তোমার ভিতরে ঝর্ণা জলপ্রপাত
সবাই বনে যাচ্ছে পিকনিকে --- উলঙ্গ মানুষ
কেউ পাখি দেখে মুগ্ধ হবে -- কেউ মাংস!
পাখির পালক দেখে দেখে বলবে ভূগোল
যে প্রজাপতি ছোট ছোট পাতায় থাকে
তাকে কেউ যাদু বাক্স থেকে বের করবে!
এটাই পিকনিক বনের ভেতরে
দূর থেকে আসা পর্যটক পাহাড়ে যায় --
ঝর্ণা ঝর্ণা বলে ডুব দেয় জলপ্রপাতে।
আমি বন ও পাহাড়ে উঠি না!তোমার
ভিতরের ঝর্ণার জলপ্রপাত দেখবো বলে।
তোমার ঝর্ণা, তোমার জলপ্রপাতে
তোমাকে ই দেখবো শুধু,নিবিড় আলিঙ্গনে।
তোমার ঝর্ণায় গোসল দিবো, ঘষে ঘষে।
ডুব সাঁতারে ভেসে উঠবো সাত সকালে
তোমার ঝর্ণা জলপ্রপাতে
গীত গাইবো বারোমাসের।
তোমার বিকেল আমার রাত্রি বইবে
শুধু ই তোমার জলপ্রপাতে।
অষ্টপ্রহর তোমার ঘুঙুর বাজবে শুধু কানে কানে।
তোমার ঝর্ণা আমার কাছে একটি নূপুর। খুব
সাবধানে দেখবো আমি তোমার ভিতরে ঝর্ণাটি-কে।
শ্রীমঙ্গল টু চট্টগ্রাম
আমার শুধু চট্টগ্রাম যেতে ইচ্ছা করছে
আন্ত:নগর ট্রেনে যেতে দূরের পত্র পল্লবে
তোমার নামের কীর্তনে ক্বেরাতে ঝকঝক
চট্টগ্রাম আগে ভাগে একটি জংশনে এক
কাপ চা আর একটি বিস্কুট খেতে খেতে
সিলেটি মৌলবাদ ধুইয়ে দেবে কোন এক
ভবঘুরে। কোনো এক অজানা মানুষের
গল্পে উঠবে প্রেমিকার সমস্ত রাক ঢাক!
অনেক বছর আগে আসা তরুণীটি
পাশে বসে জানতে চাইবে শ্রীমঙ্গল সংবাদ!
কেউ একজন হাতে তুলে দিবে এককাপ কফি
হৃদয়ের পালক খুলে ওম দিবে সমস্ত আকার!
তার কাছে বসে আমি তোমার নাম বলে দিবো
ভুলে যাবো সমস্ত বিষাদের যাতনা,অনিদ্রার গান
কেনো আমি ঘর পালিয়ে চট্টগ্রাম আসি এর প্রমাণ!
আমার শুধুই চট্টগ্রাম যেতে ইচ্ছা করে। চট্টগ্রাম যেতে
যেতে নিয়ে আসব মানুষের বেদনা, সুখও অপার!
রেল লাইনের পাশের বস্তি থেকে নিয়ে যাবো কাজের
হিসাব। তারপরে বসে পড়বো তোমার নিকটে
মুছে দিবে অনিশ্চিয়তার সমস্ত প্রকার।
দূর থেকে দূর ভেঙে সমস্ত আয়োজনে
তুমিই পাশে রবে বিনিদ্র রজনী,মুখরতা,শ্বাস প্রশ্বাস!
অবহেলা ভুলে দাঁড়াবো
আবার যখন ঘুরে দাঁড়াবো--
অবহেলা ভুলে চারদিকে তাকাবো শুধু!
নীচে উপরে যত্ন করে তুলা প্রাচীরে
তোমাদের নাম লিখে রেখে যাবো-- শিল্পীর তুলিতে!
পোষাকে রঙের দাগ নিয়ে কারও বাসরে ঢুকে পড়বো
নিজেই জানবো না কী যাতনা তৈরী করেছে কবিতা!
দুইটি মানু্ষ শুধু গালি গালাজ করবে মনে মনে---
কায়দার বাহিরে
আমার জীবন নিয়ে যে আলাপ
যে মেয়েটির গোপন ক্রদনে অবহেলায় ঝরতো
তুমুল তুষার।
তার কথা জানবো -- শুধু যত্ন করা বিমারি নাভিতে!
আবার যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারি! অবহেলা ভুলে যাবো
এয়ারপোর্টে ভিক্ষা দিতে গিয়ে সন্ধ্যান পাও আমার!
ভিক্ষা দিও প্রাণটি ভরে নতুন অবহেলার করো না আবাদ!
আবার যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারি-- চৌরাস্তায় পত্রিকার হকার হবো।
দশ টাকায় কেউ কিনবে প্রেমের সংবাদ!
তুমিও নিতে পারো সেই সংবাদ। ঘর ভরে তুলে ফেলতো পারো
জীবনের গান দিয়ে। প্রকৃতির মায়া দিয়ে নিজের সংসার!
মাঝেমধ্যে নিতে পারো সোনা রুপার দরপতনের
হিসাব। তোমাদের সেই কবির কবিতার রাজনীতি আর
আমাদের প্রিয় শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তি! কান্নার সফেদ শাড়ি!
আবার যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারি-- তোমার বাড়ির ফেলে দেয়া
মাড় খেয়ে জীবন বাঁচাবো তবুও। তবুও তোমার শহর
ছেড়ে যাওয়া হবে কোথাও। তোমার কন্যা, তোমার ছেলে
আমাকে বিরক্ত করবে। তোমার বাড়িতে ডেকে নিবে খেতে
সব অবহেলা ভুলে আমিও খাবো যত বিরক্ত হও তুমি!
আবার যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারি-- কারখানায়
একটি কাজ খু্ঁজে নিবো। ঘামের গন্ধ নিয়ে শ্রমিক মেয়েটি
বন্ধুত্বে খুলে দিবে মনের বাগান তার কাছে বসে লড়াই জাগাবো আবার
সবাই বনে যাচ্ছে পিকনিকে --- উলঙ্গ মানুষ
কেউ পাখি দেখে মুগ্ধ হবে -- কেউ মাংস!
পাখির পালক দেখে দেখে বলবে ভূগোল
যে প্রজাপতি ছোট ছোট পাতায় থাকে
তাকে কেউ যাদু বাক্স থেকে বের করবে!
এটাই পিকনিক বনের ভেতরে
দূর থেকে আসা পর্যটক পাহাড়ে যায় --
ঝর্ণা ঝর্ণা বলে ডুব দেয় জলপ্রপাতে।
আমি বন ও পাহাড়ে উঠি না!তোমার
ভিতরের ঝর্ণার জলপ্রপাত দেখবো বলে।
তোমার ঝর্ণা, তোমার জলপ্রপাতে
তোমাকে ই দেখবো শুধু,নিবিড় আলিঙ্গনে।
তোমার ঝর্ণায় গোসল দিবো, ঘষে ঘষে।
ডুব সাঁতারে ভেসে উঠবো সাত সকালে
তোমার ঝর্ণা জলপ্রপাতে
গীত গাইবো বারোমাসের।
তোমার বিকেল আমার রাত্রি বইবে
শুধু ই তোমার জলপ্রপাতে।
অষ্টপ্রহর তোমার ঘুঙুর বাজবে শুধু কানে কানে।
তোমার ঝর্ণা আমার কাছে একটি নূপুর। খুব
সাবধানে দেখবো আমি তোমার ভিতরে ঝর্ণাটি-কে।
শ্রীমঙ্গল টু চট্টগ্রাম
আমার শুধু চট্টগ্রাম যেতে ইচ্ছা করছে
আন্ত:নগর ট্রেনে যেতে দূরের পত্র পল্লবে
তোমার নামের কীর্তনে ক্বেরাতে ঝকঝক
চট্টগ্রাম আগে ভাগে একটি জংশনে এক
কাপ চা আর একটি বিস্কুট খেতে খেতে
সিলেটি মৌলবাদ ধুইয়ে দেবে কোন এক
ভবঘুরে। কোনো এক অজানা মানুষের
গল্পে উঠবে প্রেমিকার সমস্ত রাক ঢাক!
অনেক বছর আগে আসা তরুণীটি
পাশে বসে জানতে চাইবে শ্রীমঙ্গল সংবাদ!
কেউ একজন হাতে তুলে দিবে এককাপ কফি
হৃদয়ের পালক খুলে ওম দিবে সমস্ত আকার!
তার কাছে বসে আমি তোমার নাম বলে দিবো
ভুলে যাবো সমস্ত বিষাদের যাতনা,অনিদ্রার গান
কেনো আমি ঘর পালিয়ে চট্টগ্রাম আসি এর প্রমাণ!
আমার শুধুই চট্টগ্রাম যেতে ইচ্ছা করে। চট্টগ্রাম যেতে
যেতে নিয়ে আসব মানুষের বেদনা, সুখও অপার!
রেল লাইনের পাশের বস্তি থেকে নিয়ে যাবো কাজের
হিসাব। তারপরে বসে পড়বো তোমার নিকটে
মুছে দিবে অনিশ্চিয়তার সমস্ত প্রকার।
দূর থেকে দূর ভেঙে সমস্ত আয়োজনে
তুমিই পাশে রবে বিনিদ্র রজনী,মুখরতা,শ্বাস প্রশ্বাস!
অবহেলা ভুলে দাঁড়াবো
আবার যখন ঘুরে দাঁড়াবো--
অবহেলা ভুলে চারদিকে তাকাবো শুধু!
নীচে উপরে যত্ন করে তুলা প্রাচীরে
তোমাদের নাম লিখে রেখে যাবো-- শিল্পীর তুলিতে!
পোষাকে রঙের দাগ নিয়ে কারও বাসরে ঢুকে পড়বো
নিজেই জানবো না কী যাতনা তৈরী করেছে কবিতা!
দুইটি মানু্ষ শুধু গালি গালাজ করবে মনে মনে---
কায়দার বাহিরে
আমার জীবন নিয়ে যে আলাপ
যে মেয়েটির গোপন ক্রদনে অবহেলায় ঝরতো
তুমুল তুষার।
তার কথা জানবো -- শুধু যত্ন করা বিমারি নাভিতে!
আবার যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারি! অবহেলা ভুলে যাবো
এয়ারপোর্টে ভিক্ষা দিতে গিয়ে সন্ধ্যান পাও আমার!
ভিক্ষা দিও প্রাণটি ভরে নতুন অবহেলার করো না আবাদ!
আবার যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারি-- চৌরাস্তায় পত্রিকার হকার হবো।
দশ টাকায় কেউ কিনবে প্রেমের সংবাদ!
তুমিও নিতে পারো সেই সংবাদ। ঘর ভরে তুলে ফেলতো পারো
জীবনের গান দিয়ে। প্রকৃতির মায়া দিয়ে নিজের সংসার!
মাঝেমধ্যে নিতে পারো সোনা রুপার দরপতনের
হিসাব। তোমাদের সেই কবির কবিতার রাজনীতি আর
আমাদের প্রিয় শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তি! কান্নার সফেদ শাড়ি!
আবার যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারি-- তোমার বাড়ির ফেলে দেয়া
মাড় খেয়ে জীবন বাঁচাবো তবুও। তবুও তোমার শহর
ছেড়ে যাওয়া হবে কোথাও। তোমার কন্যা, তোমার ছেলে
আমাকে বিরক্ত করবে। তোমার বাড়িতে ডেকে নিবে খেতে
সব অবহেলা ভুলে আমিও খাবো যত বিরক্ত হও তুমি!
আবার যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারি-- কারখানায়
একটি কাজ খু্ঁজে নিবো। ঘামের গন্ধ নিয়ে শ্রমিক মেয়েটি
বন্ধুত্বে খুলে দিবে মনের বাগান তার কাছে বসে লড়াই জাগাবো আবার
মন্তব্য