উৎপলকুমার বসুকে নিয়ে লিখতে হবে। কথা দিয়েছি। কথা দেয়ার সময় বুঝতে পারিনি―বড় একটা ভুল করে ফেলেছি। সম্পাদকের ফাঁদে পড়াটা ঠিক হয়নি। এখন সম্পাদককে কী বলি? 'দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর?'
আচ্ছা, এটা বললে কি তিনি সমস্যাটা ধরতে পারবেন? নাকি উল্টো বলে বসবেন, জানেন, একসময় ছাত্র জীবন ছিল। পরীক্ষার খাতায় আমি আর রবি ঠাকুর শিক্ষকের ইচ্ছে হলেই নগর বিক্রি করে দিতাম। আপনিও তাই করেন। এক কাজ করেন। উৎপলকুমার বসুকে বিক্রয় ডট কমে তুলে দেন। দেখি, তারে কেউ কিনতে চায় কিনা!
আমার মনে হয়, লেখালেখির নামে এতক্ষণ ধরে আমি যা করছি, তা হলো টুং টাং। সাধারণত কোনো লেখা শুরু না হলে এই ধরনের জ্যামিং করতে হয়। আমি এই জিনিসটা মিউজিশিয়ানদের কাছ থেকে শিখেছি।
ঠিক আছে, এখন একটা সিরিয়াস প্রশ্ন করা যাক। উৎপলকুমার বসুকে নিয়ে আমি কী লিখব? আমি তার লেখা পড়েছি। কবিতা, গদ্য, প্রবন্ধ। কিন্তু তাকে তো পড়িনি। আর পড়লেও সব মনে রাখতে হবে কেন? আমি কি বিসিএস দেব? নাকি উৎপল কোনোদিন বিসিএসের প্রশ্নে শোভা পাবেন?
হুহ! তারপরেও তো মাঝে মাঝে মনে হতে পারে, উৎপলকুমার বসু কবি অন্যরকম। দেখতে সুন্দর, পরতে আরাম। দীর্ঘদিন লন্ডনে ছিলেন। সেই শহরের ওয়াশ রুম ব্যবহার করেছেন। তারও আগে তো কলকাতায় ...।
আমি বলছি না, কলকাতায় ওয়াশ রুম ছিল না। ছিল। কিন্তু সময় তখন ষাটের দশক। অদৃশ্য স্টার জলসায় চলছে হাংরি আন্দোলন। তারপর পাঁচ বছর লাগল। হ্যাঁ, পাঁচ বছরই। উৎপল লন্ডনের ওয়াশ রুম ব্যবহার করার সুযোগ পেলেন।
ভাল কথা―সম্পাদক তো অবশ্যই। পাঠকরাও নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পারছেন, আমি উৎপলকুমার বসুকে নিয়ে ফাতরামি করছি। ব্যাপারটা আসলে ইচ্ছাকৃত না। আমি চাইনি। তারপরেও এটা হয়ে গেছে।
আসলে সমস্ত ঝামেলার মূলে আছেন কবি শঙ্খ ঘোষ। উৎপলকুমার বসু হলেন তার শালা। এখন শঙ্খ ঘোষের শালা মানে বাঙলা কবিতার শালা। আর, শালাবাবুর কবিতা-গদ্য যতই ভাল লাগুক; কিছু বললেই তা নেপোটিজম হয়ে যায়।
থাক, আজ না হয় কিছু না বলি।
প্রিয় পাঠক, আপনারা সাক্ষী, আমি উৎপলকুমার বসুকে নিয়ে কিছু বলিনি।
মন্তব্য