১
যেন নিভৃতে মৃত্যুর কাছাকাছি থাকি
আমার নিথর দেহ থেকে মৃত্যু সুঘ্রাণ ছড়ায়
তখন শুধুই বিছানার এক কোনে জড়োসড়ো
মৃতের দেহের বেশে ছটাং পরে থাকি
চিন্তার সুড়ঙ্গ চারপাশে কোন কান্নার কঙ্কালে রোল নেই, রেখা নেই
কোন শব্দ নেই
অসংখ্য আয়োজন, নিঃশব্দ ইঙ্গিত
২
!
আমাকে নিবিড় অনুভব ক’রে যাও
সহজেই দেখবে আমার সমূহ সরল যেন
সেইদিন বেদনা আহত
রক্তগুলি অস্তরাগে কিছুটা নিঃশ্চুপ
তারপর যেকোন রূপেও ভেসে যাবে
প্রণয়ের বুদবুদ চিরকাল রক্ত চুষে খাবে
তুমি কী বোঝনা ওগো তা ? কেন এ আর্তনাদ
কেনবা সুহৃদ লিপি লিখে যাবো একা?
!!
খুব জরুরি তথ্যটি, অনেক কথনে কখনো প্রকাশ হয় না, প্রবল আহত, নিঃশব্দ শুধু
আঘাতে ক্ষুধার্ত
তবু তুমি জেনে রেখো, এ ব্যথা অনন্ত
বেদনার উল্কাপথে রক্তের ক্ষরণ
!!!
কিছু অনুরতি চিরকাল ঝরে যাবে
কিছু অনুভূতি কাঁধে নিয়ে ঘুরবো নীরবে
তার সাথে অধিক মিলিত হবে ব্যথাতুর স্মৃতি
তখন সমস্ত জেনে যাবে
বুকের প্রহরী
তারপর কিছু আর কখনোই বলবো না, শুধু
অগনিত দিনরাত চুপচাপ থেকে
ভূমণ্ডলে মিশে যাবো একা ।
৩
প্রতিদিন আমিও অজস্র বিষাদে হলুদ সূর্য
মাথাভর্তি চুল, চোখ-মুখে দীর্ঘশ্বাস
হাতের সুদীর্ঘ নখগুলো স্বচ্ছ ভেবে
আমারও চারপাশে পাতায় জড়ানো
ঠিকানাবিহীন জোনাকির আলো জ্বলছে পুড়ছে
নিজের আত্মার লালাভ অনেক বার
যদি আত্মার ভিতর থেকে বের করে টের পাই
অপরূপ চিহ্ন অবশেষে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে
দাউদাউ আগুনের বিভীষিকা রহস্যে নিঃশেষ
একে একে চোখের শোলকে দাগ দিয়ে
যেন আজ নিজের ভিতর
লুকাচ্ছি কেন যে
নৈশব্দ জীবাশ্মে
মন্তব্য