যাত্রা
এসো সন্ধ্যা এসো—
এই নির্মিলীত স্তব্ধ অন্ধকারে
আমাদের অন্তহীন যাত্রার
পরিসমাপ্তি অবধি এসো
স্তব্ধ অন্ধকারে মাথা নিচু করে এসো—
সীমাহীন এই ধু-ধু দুঃখের
অবিনাশী বিন্যস্ত তারার উজ্জ্বল
আলোকচিত্র ধরে ধরে এসো
আরও গভীরের গুহাপথে
আমাদের এই নশ্বর অভিযাত্রা—
যেখানে চিরটা-কাল মানুষ
মুখাপেক্ষী গুহামুখের
এসো সুন্দর এসো—
যিশুর ক্রুশ-চিহ্ন ধরে এসো
এসো এই অবিনশ্বর যাত্রায়
খানিক জিরোয়, বোধিবৃক্ষ-তলে—
ধ্যানস্থ করি নির্বাণত্বত্ত্বপাঠ
পূতঃ হয়ে পাঠ করি পাঁচ ওয়াক্ত
করি 'তোমার' নাম সংকীর্তন
হেরা পর্বতে মাথা নিচু করে এসো
মাথা উঁচু করে এসো কৈলাশ পর্বতে
সিনা টানটান রেখে এসো হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে—
মাথা নত করলেই দেখো—
অহংকার চূরচূর ভেঙে পড়ছে
দেখো—
এভাবেই নত মস্তকের পাশে একে একে
ভেঙে পড়ছে ষড়রিপু!
তারপর তোমার চূড়ান্ত যাত্রা—
এ নশ্বর পৃথিবীতে…
অনুতাপ
তারপর ঘূর্ণি হাওয়ার পাশে বিবর্ণ
পড়ে থাকে সমস্ত পাখির প্রলাপ
বৃক্ষের শাখায় শাখায় উন্মাদনা—
স্তিমিত হয়ে আসে চারপাশ
শা-শা বাতাসের গুঞ্জনে
যে পাখি রোজ সাঁতরিয়ে বেড়ায়
যে রোজ খাদ্যকণা জুটায় বৃক্ষ
এই চূর্ণবিচূর্ণের কালে সব ভেঙে পড়ে
পশ্চিমে লাল হয়ে আসে আকাশ—
চারপাশে সারি সারি বৃক্ষরাজি
ভেঙে পড়ে
মানুষও উড়ে যায়—বাতাসের তোড়ে
আমরা তো সামান্য পাখি—
আমাদের ডানা হলেও আছে
আহা, মানুষের তাও নেই!
অহংকার
এই রাত আরও স্তব্ধতার
দিকে যাবে—
যদিও চিলতে চিলতে মেঘ
জড়ো হয়েছিল বহু আগেই—
ঠাণ্ডা হিমেল হাওয়ার
থেকেও খানিক দূরে—
ছলছলাৎ গড়িয়ে পড়ছে জল
ঝরনার অবিকল স্রোত
যেভাবে গড়ায় সমুদ্রে—
বহুদূরে—ঢেউয়ে তার দোলা এসে লাগে
মানুষের অবিকল কোনো
মানুষ নেই আজ—
আহা, ধীরে বহ বায়ু...
বহুদূরে পাহাড়ের ঢালু মতন
এক উঁচা চূড়া চোখে পড়ে কেবল
তারপর তারস্বরে চিৎকার চেঁচামেচি—
হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে
মাথার উপর আকাশ—
তারপর নিমিষেই তলিয়ে যায় চূড়া,
অহংকার!
এসো সন্ধ্যা এসো—
এই নির্মিলীত স্তব্ধ অন্ধকারে
আমাদের অন্তহীন যাত্রার
পরিসমাপ্তি অবধি এসো
স্তব্ধ অন্ধকারে মাথা নিচু করে এসো—
সীমাহীন এই ধু-ধু দুঃখের
অবিনাশী বিন্যস্ত তারার উজ্জ্বল
আলোকচিত্র ধরে ধরে এসো
আরও গভীরের গুহাপথে
আমাদের এই নশ্বর অভিযাত্রা—
যেখানে চিরটা-কাল মানুষ
মুখাপেক্ষী গুহামুখের
এসো সুন্দর এসো—
যিশুর ক্রুশ-চিহ্ন ধরে এসো
এসো এই অবিনশ্বর যাত্রায়
খানিক জিরোয়, বোধিবৃক্ষ-তলে—
ধ্যানস্থ করি নির্বাণত্বত্ত্বপাঠ
পূতঃ হয়ে পাঠ করি পাঁচ ওয়াক্ত
করি 'তোমার' নাম সংকীর্তন
হেরা পর্বতে মাথা নিচু করে এসো
মাথা উঁচু করে এসো কৈলাশ পর্বতে
সিনা টানটান রেখে এসো হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে—
মাথা নত করলেই দেখো—
অহংকার চূরচূর ভেঙে পড়ছে
দেখো—
এভাবেই নত মস্তকের পাশে একে একে
ভেঙে পড়ছে ষড়রিপু!
তারপর তোমার চূড়ান্ত যাত্রা—
এ নশ্বর পৃথিবীতে…
অনুতাপ
তারপর ঘূর্ণি হাওয়ার পাশে বিবর্ণ
পড়ে থাকে সমস্ত পাখির প্রলাপ
বৃক্ষের শাখায় শাখায় উন্মাদনা—
স্তিমিত হয়ে আসে চারপাশ
শা-শা বাতাসের গুঞ্জনে
যে পাখি রোজ সাঁতরিয়ে বেড়ায়
যে রোজ খাদ্যকণা জুটায় বৃক্ষ
এই চূর্ণবিচূর্ণের কালে সব ভেঙে পড়ে
পশ্চিমে লাল হয়ে আসে আকাশ—
চারপাশে সারি সারি বৃক্ষরাজি
ভেঙে পড়ে
মানুষও উড়ে যায়—বাতাসের তোড়ে
আমরা তো সামান্য পাখি—
আমাদের ডানা হলেও আছে
আহা, মানুষের তাও নেই!
অহংকার
এই রাত আরও স্তব্ধতার
দিকে যাবে—
যদিও চিলতে চিলতে মেঘ
জড়ো হয়েছিল বহু আগেই—
ঠাণ্ডা হিমেল হাওয়ার
থেকেও খানিক দূরে—
ছলছলাৎ গড়িয়ে পড়ছে জল
ঝরনার অবিকল স্রোত
যেভাবে গড়ায় সমুদ্রে—
বহুদূরে—ঢেউয়ে তার দোলা এসে লাগে
মানুষের অবিকল কোনো
মানুষ নেই আজ—
আহা, ধীরে বহ বায়ু...
বহুদূরে পাহাড়ের ঢালু মতন
এক উঁচা চূড়া চোখে পড়ে কেবল
তারপর তারস্বরে চিৎকার চেঁচামেচি—
হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে
মাথার উপর আকাশ—
তারপর নিমিষেই তলিয়ে যায় চূড়া,
অহংকার!
মন্তব্য