কিছু গান থেকে যাক নিরর্থ। অর্থহীনতার দিকে হাঁটুক কিছু শিল্প। যে পথিক আনমনে গেয়ে গেলো সুর-তাল-লয়হীন বেতাল সঙ্গীত; আমি ভালোবাসি তার ভেতরের উদাত্ত আবেগ মথিত গান। আমি শিল্পের কাছ থেকে কবিতার কাছ থেকে ‘ঘোর’ ছাড়া আর চাই না কিছুই। ইজম, ইথিক্স, থিওরী, তথ্য বা দর্শনের দর্শনের জন্য না হয় আমি যাবো অন্য কোথাও! আপাতত কবিতার গান আমাকে চুরমার করুক।
জীবনানন্দ রিলকে বিনয় আবুল হাসান আমাকে যেভাবে গেছে নিঃসঙ্গ ছিঁড়ে; উৎপলও ফেলে গেছে দাগ আর অবসেশন। ঘোর। এই ঘোরের ভেতর থেকে আমার বেরুতে কষ্ট হচ্ছে খুব। কিয়ৎক্ষণ পর পর বলকে উঠছে শব্দের টংকার-
যায় দিন, গ্রীষ্মের দিন যায়, যায় সূর্য, যায় দূর্ঘটনা
আমি তাঁর কবিতার কোনো অর্থই বুঝবো না আজ, কেবল অনুভব করতে চাই-
ঐখানে অদিতির কণ্ঠস্বর শুনি আমি, সে বলে যুবক নষ্ট কোরো না বীজ
পাঠিকা হে- কবিতা তো নয় হিসাববিজ্ঞান। তোমার হিসাবে মিলে যাবে চূড়ান্তহিসাব। তার চেয়ে চলো আজ- বনের ভেতর দমকল বাহিনীর সাথে। বিরতিবিবিক্ত শুনে আসি গান উৎপলের কথায় উৎপলের সুরে। নির্বাপণ করা যাক হৃদয়াগ্নি-
বনের ভিতরে আজ সকালের উদ্দেশ্যবিহীন দমকল একা একা ঘুরছে আমাকে টেনে নিয়ে চলো ঐ অগ্নিনির্বাপক ক্ষমতা আমারো আছে স্ত্রী আছেন পুরুষের আয়ত্তে যেমন ফুল আছে দানবীর আয়ত্তে যেমন আমার কয়েকদিন ব্যথা হল বাঁ চোখে এবং ভয় হল অন্ধতা আমার বেশিদূর যাবে কি যৌবনে-না হয় গাড়ির টায়ারচিহ্ন ধরে চলেছি এবার গভীর বনের দিকে দমকল কিছু আগে গেল(আমারই প্রাণের দিকে চেয়ে দেখি / পুরী সিরিজ)
মন্তব্য