ট্রিগার
এই
বিষণ্ণ সন্ধ্যায়
ট্রিগার চাপা স্তব্ধতায়
পথ ঘুরতে থাকে পথের ভেতর
দৃশ্যত মন্দির অন্তরালে রহস্য বিগ্রহে
সতীনের ছেলে ঘোরে কার হাতে— এমন
খেলার জিয়োনো অবসাদে— ফসকে যাই ট্রাক
এই
বিষণ্ণ সন্ধ্যায়
ট্রিগার চাপা স্তব্ধতায়
পথ ঘুরতে থাকে পথের ভেতর
দৃশ্যত মন্দির অন্তরালে রহস্য বিগ্রহে
সতীনের ছেলে ঘোরে কার হাতে— এমন
খেলার জিয়োনো অবসাদে— ফসকে যাই ট্রাক
থেকে। আমারে আর যায় না পাওয়া পরিচিত রুটে
সিগারেটের ছাই রঙ সন্ধ্যা শহরের গলির ভেতর
বিলীন হয়ে যায় বর্ষার এক বিবর্ণ বিকেল
লীন হয়ে যায় সহস্র দাবুড়ে ঘোড়া
নিরানন্দ ছাদের বাতাসে
লটকে যাই আমি
উড়ে যাও
তুমি
!
বিলীন হয়ে যায় বর্ষার এক বিবর্ণ বিকেল
লীন হয়ে যায় সহস্র দাবুড়ে ঘোড়া
নিরানন্দ ছাদের বাতাসে
লটকে যাই আমি
উড়ে যাও
তুমি
!
সরীসৃপ ও মেট্রোপলিটনে ঘ্রাণ
বিকেলের উরুমাঝে মুখ গুঁজে চোখ তুলি সন্ধ্যার
তলপেটে। ঘুমিয়েছিলাম? কোনো স্বপ্ন দেখেছিলাম?
সন্ধ্যার ধুলোরা হলুদ হলে সরীসৃপ হয়ে যাই
কোন এক এভিনিউ ধরে হেঁটে যাই, হেঁটে যাই—
লিটলম্যাগ বিন্দু
কতো কর্পোরেট শরীর সেজে থাকে আলো আঁধারে
তারা হাসে, চোখ দিয়ে ডাকে,ঝগড়া করে নিজেরা
এমন নরম আন্ধারে ডুবে যেতে চেয়েছি কতবার
—ঘন ধাতবের মতো।
লিটলম্যাগ বিন্দু
তারা হাসে, চোখ দিয়ে ডাকে,ঝগড়া করে নিজেরা
এমন নরম আন্ধারে ডুবে যেতে চেয়েছি কতবার
—ঘন ধাতবের মতো।
লিটলম্যাগ বিন্দু
হেঁটে যাই, হেঁটে যাই....
এরাওরা এসে আকড়ে ধরে উফফ কাঁকড়া—
খামচে ছিঁড়ে দেয়। বিষ রেখে যায় শরীরের ভেতর—
নীল হই। আবার হাঁটি… বুকের গোপনতর রেখা
ধরে—
চারিদিকে বিবিধ বাতাস— জানাশোনা একটা মাত্র ঘ্রাণ
চোখ বেঁধে ছেড়ে দাও এই ম্যাট্রিপোলিটনে—গর্ত খুঁজে নেবো ঠিক!
এরাওরা এসে আকড়ে ধরে উফফ কাঁকড়া—
খামচে ছিঁড়ে দেয়। বিষ রেখে যায় শরীরের ভেতর—
নীল হই। আবার হাঁটি… বুকের গোপনতর রেখা
ধরে—
চারিদিকে বিবিধ বাতাস— জানাশোনা একটা মাত্র ঘ্রাণ
চোখ বেঁধে ছেড়ে দাও এই ম্যাট্রিপোলিটনে—গর্ত খুঁজে নেবো ঠিক!
করাল অন্ধকার
মহাবিস্ফোরণ
অতঃপর বিচূর্ণ হওয়া অস্থি খুঁজছি
ঝড়োবাতাসে ফেলানো থু’য়ের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে
(আছি)
লিটলম্যাগ বিন্দু
দুপুর শ্মশান-স্তব্ধতার করাল শূন্যতায়—
মড়ার করোটি গহ্বর ফুঁ নির্দেশে ফতফত
বাতাস ও খুলির মধ্যবর্তী গ্যাপে
লিটলম্যাগ বিন্দু
(বুক)
লিটলম্যাগ বিন্দু
লিটলম্যাগ বিন্দু
ভরতে থাকে পরিত্যক্ত কবরে!
লিটলম্যাগ বিন্দু
লিটলম্যাগ বিন্দু
তোমাদের ভেতর যারা কবর খোঁড়ার শাবল রাখো
একটা দুড়ুমে ভেঙে দাও সব—
লিটলম্যাগ বিন্দু
একটা দুড়ুমে ভেঙে দাও সব—
লিটলম্যাগ বিন্দু
শরৎ হেমন্তের ধার না ধেরে
বারবার এনে দাও বৈশাখ ঝড়
ঘোচানো চামড়ার দলানো খামিতে
রুটি বলে খাও বেলুন ধারীর দল—
আর পাতা থাক আঙুলের ফাঁকে
চাঁদ ডুবিয়ে ইঁদুর ধরা কল।
বারবার এনে দাও বৈশাখ ঝড়
ঘোচানো চামড়ার দলানো খামিতে
রুটি বলে খাও বেলুন ধারীর দল—
আর পাতা থাক আঙুলের ফাঁকে
চাঁদ ডুবিয়ে ইঁদুর ধরা কল।
বিকল ইঞ্জিন
এক এক করে সমস্ত আলোকেরা ঢুকে গেলে
বাদুড়ের মুখে। প্রাচীন পৃথিবী ছেয়ে যায় অন্ধকার
রোদ। পুরনো শ্মশান থেকে হুড়মুড়িয়ে ওঠা কয়েক
কঙ্কাল— চারিদিকে ঘুরে ঘুরে হাততালি দেয় আর নাচে!
লিটলম্যাগ বিন্দু
অভিকর্ষ মুক্ত হয়ে ভাসতে থাকি। আমারে ঘিরে আট-দশটা অক্সিজেন বোতল, তবুও শ্বাসকষ্ট—
লিটলম্যাগ বিন্দু
লিটলম্যাগ বিন্দু
কঙ্কালেরা মেয়াদোত্তীর্ণ হাড় দিয়ে খামচে ধরে, চোখ খুঁচে খায় মরা শকুনে। ঘুম নেই— ঘুম আসে না
বিকল ইঞ্জিনের মত পড়ে থাকি ভগ্নস্তূপে।
বিকল ইঞ্জিনের মত পড়ে থাকি ভগ্নস্তূপে।
ফিরে আসো
ভারী হয় ভাবনার ভাঙাচোরা রাত। তুমি আর
তোমার ভেদ না জানা মন— গুনগুন গায় ভাব-বস্তু
দ্বন্দ্ব। সোনা, তুমিও নির্ণীত বনিকের বাটখারায়
শুধুশুধু— শরীর জুড়ে প্লাস্টিক আঙুর!
লিটলম্যাগ বিন্দু
ভারী হয় ভাবনার ভাঙাচোরা রাত। তুমি আর
তোমার ভেদ না জানা মন— গুনগুন গায় ভাব-বস্তু
দ্বন্দ্ব। সোনা, তুমিও নির্ণীত বনিকের বাটখারায়
শুধুশুধু— শরীর জুড়ে প্লাস্টিক আঙুর!
লিটলম্যাগ বিন্দু
এক্রোপলিস ক্ষয়ে গেছে—
সাদা পাথরে পরজীবী প্যারোডি
ভার্জিন প্যাসেলে আলো নাই—
মদ-নূপুর স্নাপ-ঘ্রাণ ভুলে— নিভে গেছে
দেওয়াল গায়ের জলসার লাল নীলেরা
ঝরে গেছে হারমোনিয়ামের সাদাকালো দাঁত সারেগামাপা!
লিটলম্যাগ বিন্দু
সাদা পাথরে পরজীবী প্যারোডি
ভার্জিন প্যাসেলে আলো নাই—
মদ-নূপুর স্নাপ-ঘ্রাণ ভুলে— নিভে গেছে
দেওয়াল গায়ের জলসার লাল নীলেরা
ঝরে গেছে হারমোনিয়ামের সাদাকালো দাঁত সারেগামাপা!
লিটলম্যাগ বিন্দু
তবুও ভাবলেশহীন তোমার চোখ— পরম পাথর
নির্লিপ্ত পাঁজর থেকে উঠে এসো
ঠোঁটে রাখো হারিকিরি চুম্বন— বেঁচে যাও
সিক্রেট বর্ষায় ডুবে যাক কোনো প্রাচ্য প্রেমিক।
উঠে আসো এক্রোপলিসের ধ্বংসস্তূপ থেকে
ফিরে আসো শাশ্বতের স্থাবরতা থেকে।
নির্লিপ্ত পাঁজর থেকে উঠে এসো
ঠোঁটে রাখো হারিকিরি চুম্বন— বেঁচে যাও
সিক্রেট বর্ষায় ডুবে যাক কোনো প্রাচ্য প্রেমিক।
উঠে আসো এক্রোপলিসের ধ্বংসস্তূপ থেকে
ফিরে আসো শাশ্বতের স্থাবরতা থেকে।
ভাল লাগছে
উত্তরমুছুনভাল লাগছে
মুছুন