লিখেছেন: জুবিন ঘোষ
৩ অক্টোবর, শনিবার বেলা ২টা ২০ মিনিটে দক্ষিণ মহানগরের একটি নার্সিংহোমে যখন ৭৮ বছর বয়সের শেষ দুপুরে অন্তিম নিঃশ্বাস ত্যাগ করছিলেন কবি, তখন তামাম বাংলা কবিতার মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ছে ‘চৈত্রে রচিত কবিতা’-র অমোঘ পঙ্ক্তিগুলি,আসলে মৃত্যুও নয় প্রাকৃতিক, দৈব অনুরোধ।যাদের সংকেতে আমি যথাযথ সব কাছ ফেলেযাবো দূর শূন্য পথে---তারা কেমন বান্ধব বলোকোন্ ঘড়ি? কোন্ সূর্যরথ?
কবি উৎপলকুমার বসুর ‘স্বপ্নে-পাওয়া আঙুল’ থেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সেই মারণ রোগ নিউমোনিয়াই আক্রান্ত করল আপামর কবিতাপ্রেমীদের, আর তো লেখা হবে না, শুধু স্মৃতি রেখে যাবে
মন মানে না বৃষ্টি হলো এতসমস্ত রাত ডুবো-নদীর পারেআমি তোমার স্বপ্নে-পাওয়া আঙুলস্পর্শ করি জলের অধিকারে।
কবি উৎপলকুমার বসু তাঁর কবিতার অভিসার শুরু করেন পঞ্চাশের দশকে। পাঁচের দশকে কৃত্তিবাস পত্রিকাকে বেষ্টন করে যে একসার তরুণ কবিদের উত্থান ঘটেছিল তাদের মধ্যে উৎপলকুমার বসু তাঁর নিজস্ব পাঠকৌমার্য্যেই চিহ্নিত হয়েছিলেন ভিন্নমার্গীয় কবি হিসেবে। ঠিক যখন দুই বঙ্গ জুড়ে বিস্তার করছে উদ্বাস্তু যন্ত্রণা, চরম বেকারত্ব, অবক্ষয়প্রাপ্ত সমাজ, প্রগতিশীলতা ও প্রতিক্রিয়ার দ্বন্দ্বময় বাংলার সামনে বিচরনশীল মানুষ আদি রোমান্টিজম ভাষাকে ছেড়ে নিজের কথা বলতে চাইছে বাংলার সেই জীবনসংগ্রামের সন্মুখে পশ্চিমবঙ্গের কবিতায় তথা উৎপলের নিজের বন্ধুদের কবিতা জুড়ে প্রাধান্য পেয়েছে স্বীকারোক্তিমূলক কবিতা, জীবনানন্দকে ভাঙার প্রয়াস, রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার, আর ঠিক তখনই উৎপলকুমার বসুর কবিতা ভিন্নতর খাতে বইতে শুরু করে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘চৈত্রে রচিত কবিতা’ থেকেই নিজস্ব কাব্যশৈলী আয়ত্তের জন্য, মায়াকাননের পুষ্পের ন্যায় প্রকাশভঙ্গি এবং অবশ্যই অস্তিত্ব ও সংকটের মধ্যে দিয়ে চলা দ্বৈত-সমন্বয়ের মিশ্রণে নির্মিত প্রতিক্রিয়াশীল আঙ্গিকের জন্য তিনি ক্রমশ বিশিষ্ট হয়ে উঠতে থাকেন। এইভাবেই উৎপলদার ডান হাতের কব্জিতে ভর দিয়ে বাংলা কবিতা রোমান্টিকতার যাবতীয় পথ ছেড়ে এক অদ্ভূত বস্তুবাদী পর্যবেক্ষণের দিকে নতুনভাবে পা বাড়িয়ে দেয়। ১৯৬৪ সালে তাঁর বিখ্যাত কবিতার বই ‘পুরী সিরিজ’ প্রকাশিত হবার পরেই তামাম তরুণ কবিদের গহীন তোলপাড় হয়ে ওঠে বিশেষতঃ এই সিরিজের গভীর ভাষা পৃথিবীর তন্ময়তার জন্য। ’৭০-এ বেরোয় ‘নরখাদক’৷ ১৯৭৮ সালে ‘আবার পুরী সিরিজ’৷
১৯৮২ তে প্রকাশিত লোচনদাস কারিগড় কাব্যগ্রন্থ নতুন করে পাঠককে সম্মোহিত করে যায় যখন ‘সুই লুডো-খেলা’ কবিতায় তিনি লেখেন,
মূক তুমি তাকিয়ে রয়েছ ঠান্ডা ভাতের থালার দিকে।কী দেখছ, তুমি জানো আর জানে আধ-হাতা ডালনুনের সঙ্গে ভিজে মাখামাখি, চালে হলুদ কাঁকড়।ধানের পোড়াটে খোঁজা, তুমি জানো যথার্থই জানো।এদের ভিতর কোন সাংবিধানিক দূতীপনা খেলে যাচ্ছে --মেলা ছক, গূঢ় আঙুল বাঁকানো এক তুখোড় ছক্কাদান।লাল গুটি এগিয়ে চলেছে তার মরুভূমি দিয়েলাল ঝোল গড়িয়ে পড়ছে ঐ মাছটুকু ঘিরে।
এই কবিতা যখন লেখা হচ্ছে তখন আমার জন্মই হয়নি, আর এই কবিতা যখন পড়ি মনে হয় যেন এখনও আমি মাতৃগর্ভে।
২০০৬ সালে এপ্রিলের শেষ শনিবারের সন্ধেয় গ্র্যান্ড হোটেলের বলরুমে কবি তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘সুখ-দুঃখের সাথীর’ জন্য ‘আনন্দ পুরস্কার’ গ্রহণ করেন তাঁরই অন্যতম প্রিয়বন্ধু শিল্পী যোগেন চৌধুরীর হাত থেকে। সেই সময়কার দেশের ঊর্মি নাথের প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, মানপত্রের পূর্ব নির্ধারিত ভাষ্যপাঠে তাঁরই সমসাময়িক কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গ্রিসের এক কবি বলেছিলেন, যে-কবি জানেন তাঁর পাঠকসংখ্যা সীমিত, তিনি তাঁর রচনায় উপভোগ করতে পারেন এক দুর্বার স্বাধীনতাকে। আপনি আপনার কবিতায় সারাজীবন সেই স্বাধীনতারই উপাসনা করেন।”
এরপর ‘পিয়া মন ভাবে’ কাব্যগ্রন্থের জন্য ২০১৪ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেলেও আমার মনে হয় উৎপলকুমার বসুর মতো কবির হয়তো এই পুরস্কার আরও আগেই পাওয়া উচিৎ ছিল। হিরণ মিত্রর প্রচ্ছদে মোট ৬৪ টি কবিতা সম্বলিত ‘পিয়া মন ভাবে’ কাব্যগ্রন্থটি ২০১১-র জানুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশনা সংস্থা ‘সপ্তর্ষি’ থেকে প্রকাশিত হয়। এক্ষেত্রেও প্রথম প্রকাশেই আলোড়ন। কাব্যগ্রন্থটির দশ সংখ্যক কবিতাতে কবি লিখছেন,
পেরেক ও সুতোয় বাঁধা এই চারদেয়ালের ঘরআমাদের অস্ত্রের দোকান–এখানে মাটির নিচে গোলাবারুদের স্তুপ।কলহের কোপন দেবতা হেথায় আসীন।এসো একদিন, চা-বিস্কুট খেয়ে যেও,বৌ-বাচ্চা সঙ্গে এনো, যদি ইচ্ছে হয়,তোমাদেরই জন্য, বন্ধু, এত আয়োজন,এত উপাচার, এত অস্তিত্ব সংকট।
এই অস্তিত্ব সংকটের যাত্রা যেন প্রচ্ছদের ছবি থেকেই শুরু হয়ে যায়। পেছনে হালকা আলপনা কল্পনার মিশেলে ম্লান হতে থাকে, তার উপর দিয়ে ঊরু অস্থির আকৃতির রক্তবর্ণের ছোপ ‘পিয়া মন ভাবে’-এর ‘মন’ শব্দকে ঢেকে গড়িয়ে পড়তে থাকে। কল্পনার আলপনায় বাঁধা ছবি যেন নিয়ত ধূসর হচ্ছে, আর রক্তাক্ত মন তার জায়গা নিয়ে বিবিধ মনক্ষত নিয়ে। সেই জন্যই হয়তো এই কবিতাগুলোর মধ্যেও প্রচ্ছদের মতো আসলে ভিতরে একধরনের Phantasmagoria প্রবাহিত হচ্ছে যা বাস্তবের ভেতর দিয়ে স্বপ্নের শৃঙ্খল বয়ে নিয়ে যাচ্ছে কবিকে, অথচ প্রবল অস্তিত্ব সংকটে এবারবার তৈরি হচ্ছে আর একধরনের Delusion যাকে আমরা এই বিরুদ্ধস্রোতের মতো প্রত্যক্ষভাবে অস্তিত্বে-অনস্থিত্বের দোলায়মান ঢেঁকির দুই প্রান্তেই যেন খুঁজে পাই। আবদ্ধতা থেকে মুক্তি চেয়ে অন্যপ্রকার বন্ধ্যাত্বের মধ্যে প্রবেশ করার ইচ্ছে বারংবার ফুটে ওঠে। এইভাবেই পাঠকের মধ্যে দ্বন্দ্বের পৃথিবী রচনা করে পৌষ্টিকতন্ত্রকে পুষ্ট করতে করতে এগিয়ে চলে উৎপলদার ‘পিয়া মন ভাবে’।
--
“গ্রিসের এক কবি বলেছিলেন,
যে-কবি জানেন তাঁর পাঠকসংখ্যা সীমিত,
তিনি তাঁর রচনায় উপভোগ করতে পারেন
এক দুর্বার স্বাধীনতাকে। আপনি আপনার কবিতায়
সারাজীবন সেই স্বাধীনতারই উপাসনা করেন।”
--
১৯৩৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুরে জন্ম। বহরমপুর এবং দিনহাটায় বিদ্যালয়-জীবন অতিবাহিত করার পর উচ্চশিক্ষায় ভূতত্ত্বের মতো বিষয়কে বেছে নেন। মহানগরে থাকাকালীন মার্কিন কবি অ্যালান গিনসবার্গের সঙ্গে আলাপপর্বে তাঁর ভাবনা চিন্তাকে এক আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড় করাল। পরবর্তীকালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কার্যসূত্রের মধ্য দিয়ে তার কবিতায় চিন্তাবীজে এক নতুন ভূতাত্বিক কৃৎকৌশল, জরিপপ্রণালী স্থাপিত হয় যা সেই সময়ের স্বীকারোক্তিমূলক কবিতার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নমার্গীয়। নৃতত্ত্ব থেকে শুরু করে তাঁর কবিতায় এসেছে epistolary ছাপ, রিপোর্টাজের ভঙ্গি, গোপন নাট্যপথ। দেশে বিদেশে ঘোরাঘুরি এবং ভূতত্ত্ব নিয়ে পড়াশুনার সুবাদে তার কবিতায় জিওলজিস্ট বা ভূতাত্ত্বিক উপাদান সংগ্রহ করার মতো মাঠে নেমে পর্যবেক্ষণ করার মতো একটা ব্যাপার চলে আসে যা কবিতার অতি নিরূপিত বন্ধনাবস্থাকে অতিক্রান্ত করে যায়। নিরীক্ষণ করে, জরিপ করে, উপাদানগুলোকে এমনভাবে তিনি মিশিয়ে দিতেন যাতে তার মধ্যে তথ্য ও উপাত্ত দুই-ই থাকত সাবলীল, সহজাত ভঙ্গিমায়। যা ভৌগলিক প্যাকটিক্যাল খাতায় হয় তাই যেন উড়ে এসে বসেছিল উৎপলদার লেখার টেবিলে, দেখার পর্দায়। আজ আমরা যে সমস্ত বহুলব্যবহৃত শব্দ ব্যবহারকে ক্লিষে মনে করি, সেই বহুলব্যবহৃত শব্দগুলোকেই তিনি কবিতার শরীরে এমন মুনশিয়ানায় প্রোথিত করেছেন যে ফলপ্রসু তৈরি হয়েছে কাব্য-বাক্যের নবতম সংজ্ঞা। কবিতাকে তিনি গূঢ়ার্থমূলক এমন এক সংক্ষিপ্ত চেহারা দিতে থাকেন, যা প্রকৃতির নিবিড় পর্যবেক্ষণে সমৃদ্ধ, সমসাময়িক হয়ে ওঠে, যা তাঁর অনুজ এমনকি তরুণতর কবিদের পরিপ্রেক্ষিতেও ভিন্নমাত্রিক। উৎপল’দার ক্ষীণকায় ‘পুরী সিরিজ’ এভাবেই তাকে বাংলা কবিতায় বিশিষ্টতার আসন এনে দেয়। আমাদের মতো তরুণ প্রজন্মের কাছে উৎপলকুমার বসু হয়ে ওঠেন বাংলা কবিতার এক আশ্চর্য মাইলফলক।
উৎপলদার কাব্যগ্রন্থগুলির মলাটভাবনাতেও এক গভীরতার ছাপ পাওয়া যায়। এক আড্ডায় প্রজিত জানাকে জানিয়েছিলেন মলাটভাবনা তাঁর মতে কবিতার বাস্তবতাকে ভেঙে ফেলার জন্যই সেইভাবেই সৃষ্টি করতে হয়। আরও এক আশ্চর্য ভাবনা তিনি গড়ে তুলছিলেন ক্রমশ, মনে মনে আর এক শান্তিনিকেতনের বীজ রোপণ করেছিলেন, তিনি চেয়েছিলে তাঁর সতীর্থদের নিয়ে ‘উদাসীবাবার আখড়া’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে, যা অন্যন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে, যেখানে সুনির্দিষ্ট ক্লাসঘর থাকবে না, খোলা আকাশের নিচে ক্লাস হবে, শিক্ষকরাও বেতন পাবেন প্রণামীর বাক্সে যা পড়ে তার ভাগযোগ করে। উপাচার্যের নাম হবে দীনবন্ধু দাস বাউল। সত্যি এই ভাবনা যদি রূপায়িত করতে পারতেন তবে তা হত আমাদের আরেকটা ঐতিহ্য।
বাংলা কবিতার ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ ‘হাংরি জেনারেশন’-এর সঙ্গে কবিতা জীবনের শুরুতেই উৎপল’দার একধরনের সখ্যতা গড়ে ওঠে। সমীর রায়চৌধুরীর কলেজ-জীবনের বন্ধু উৎপল ১৯৬১ সালে হাংরি আন্দোলনের শুরু থেকেই প্রায় জড়িয়ে পড়েন। এই আন্দোলনও তাঁর কবিতাকে অন্যধারায় বাঁকবদলে অন্যতম সাহায্য করে। এই সময় কবিতায় অশালীনতার অভিযোগও উঠেছে উৎপল’দার বিরুদ্ধে। প্রথমদিকে ভালোই চলছিল, আন্দোলন তখন মধ্যগগনে। কিন্তু হাংরি আন্দোলনের জেরে ১৯৬৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধেও গ্রেপতারি পরোয়ানা জারি হলে যোগমায়া দেবী কলেজের অধ্যাপনা থেকে বরখাস্ত হন। ততদিনে পুরী সিরিজ প্রকাশিত হয়ে গেছে; ১৯৬৫ সালে অভিমানাহত উৎপলদা লন্ডনে গিয়ে বসবাস আরম্ভ করেন। সেখানে তিনি শিক্ষকতা করতেন। লন্ডনে বসবাসকালে তিনি বিবাহ করেন এবং কবিতা লেখা থেকে সাময়িক বিরতি নেন।
উৎপল’দার সমসাময়িক যখন স্বীকারোক্তিমূলক কবিতায় পশ্চাশের দশক ছেয়ে আছে তখন টানা গদ্যে কবিতা লেখার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন তিনি। টানা গদ্যেও যে কবিতায় আত্মস্বার মুদ্রিত হতে পারে একথা সফলভাবে প্রমাণ করে দেখান উৎপলদা। তবে উৎপলকুমার বসুর নাম আসবে টানা গদ্যের কাঠিন্যেও ছন্দের চাল সন্দেশের পুরের মতো ভরে দেবার জন্য। ভালো করে লক্ষ্য করলে আমারা দেখতে পাই একটি পঙ্ক্তি ওভারল্যাপিং করছে পরবর্তী পঙ্ক্তিতে, পরের পঙ্ক্তিটিরও স্টাকচারাইজেশনকে ভাঙচুর করে তবে সেটি ক্ষান্ত হচ্ছে। কোথাও একটি কবিতা একটিমাত্র যতিচিহ্নে পূর্নাঙ্গতা পাচ্ছে। পাঠকরা বারবার এই ম্যাডনেস এর মধ্যে দিয়ে নিজেকে চালিত করছে, আর স্রোতমুখে অজান্তেই বিছিয়ে নিচ্ছে অমোঘ ঘোর।
এভাবেই বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থে আমরা দেখতে পাই টানা গদ্যে আরও কিছু কৃৎ-কৌশল তিনি ব্যবহার করছেন। কোথাও কোথাও টুকরো আখ্যান ব্যবহার করছেন, তার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন ভূতাত্ত্বিকতার সঙ্গে সঙ্গে পুরাণ, লোকাচারের উপাদানগুলো ; আগের টানা গদ্যে যা-ছিলো আরও ফ্র্যাগমেন্টেড। সেটাকেই যেন তিনি মুক্তি দিলেন। এক পরিকল্পিত শিল্পরীতি ভাস্কর্যের মতো যা কালজয়ী রূপে আবহাওয়ার রিরুপতার বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ায়। বিষয়কে প্রতীকায়িত করে একাধিক কন্ঠস্বরের প্রয়োগে এক প্রলুব্ধকর বিমূর্ততার নির্মাণের প্রবণতা উৎপলদার সাম্প্রতিক কবিতাগুচ্ছেতেও পেয়েছিলাম। উৎপলকুমার বসুই আমার কাছে বাংলা কবিতার প্রবেশতোড়ণ, তাঁর ভিতর দিয়ে বারবার নতজানু হয়েই ঢুকতে হয়।
মন্তব্য