পৃষ্ঠা ০৩
অবিশ্বাস্য বেদনায় ফেরারি পাখির নিঃস্ব ডানা উড়িয়েছি বিষণ্ণ সন্ধ্যায়। অথচ সন্ধ্যাও মুখ লুকায়- রাত্রির গভীর গোপনে, জোনাকিদের গানে। নৈঃশব্দ্যের অন্ধকারে ঢাকা আহত অতীত ডাকে। সমুখে নদীর পিপাসা। চঞ্চল পৃথিবীর সংসারে নিজম্ব রেখা পেরিয়ে গন্তব্যহীন যাত্রা।
হাতের বিশ্বাস্য রেখাগুলো মুঠোবন্দী হয়ে জীবনের পথচলা দীর্ঘরাতে নিজেকে নীরবে বদলায়। পথের বদল হয়। বোধের শঙ্কিত দীর্ঘশ্বাসে জেগে উঠে প্রকৃতির প্রেম। কখনো সমুদ্র সংলাপে হারিয়ে যাই। দিগন্তরেখায় সূর্যাস্তের রঙ আঁকে প্রাতঃভ্রমণের কথা।
সভ্যতার পৃষ্ঠায় সমস্ত ক্লান্তি স্বপ্ন কুড়ায় রেখার মুগ্ধতায়।
কীর্তনখোলার ঢেউ ০৩
অনতিদূর এগোলে কীর্তনখোলার ঢেউ। বুকের ভেতর নদীর শব্দে প্রতিদিন মেঘের ওড়াউড়ি বাড়ে। শীতার্ত পৃষ্ঠার রোদন গভীর হলে আমরাও মেঘের আত্মীয় হই- সমস্ত বিষণ্ণতার বিভাবরী ভিজে বর্ষার প্রথম কদম ফুলের ছোঁয়ায়। পৃথিবীর নিজস্ব কক্ষপথে আজো নিজেকে হারাও- রাঙিয়ে দিতে যতো শত বেদনার রঙ। আর আমি, তোমাকেই পাঠ করিঃ ব্যক্তিগত দুঃখের বিস্ময়ে আয়ুক্ষয়ে কিংবা ফুলের করুণ মূর্ছনায়-
পাঠে আলস্য নেই ভেবে প্রস্ফুটিত হও অপরূপ রূপে, পুনর্বার। মনে ও স্বপনে পথের ধুসর রেখায় আটকে আছি- একাকি। আমার তন্দ্রার আড়ালে লুকিয়ে থাকে ঘুমের সংসার।
চন্দ্রোৎসব
বোধের সমস্ত জানালায় তাকিয়ে ভাবছো :
চন্দ্রোদয়ের রুপালি কথা
এখনো প্রকাশ্য পূর্ণিমায়-
রাত্রি কাঁপে। চাঁদের শরীর ডাকে
অগ্নিলিপ্ত তৃষ্ণার উত্তাপে বাড়ে
নৈঃসঙ্গের শীত
আমরা প্রতিটি রাত্রির কম্পন বুঝি
নির্ভরতার আগ্রহে পরস্পর সমর্পিত
চাঁদের পৃষ্ঠায়-
জোছনার উৎসবে মুগ্ধ থাকি...
মন্তব্য