ছায়ার বেড়াল
সিঁড়িপথে আরো ধাপ দুই-তিন বাকী
রুদ্ধশ্বাস নেমেছি হাঁপর বুকে
ঘোষণার ফাঁকি অবনত সংখ্যায়
দরজা খুলল নিপুণ স্বয়ংক্রিয়।
আলোর পাহারা। কেউ নেই, কেউ নেই!
রূপালী আয়না ঠাট্টায় মশগুল
ছাউনী-পিলার-বারান্দা প্রতি কোণে
আমি, বিভ্রম পাশাপাশি দাঁড়িয়ে।
কেউ তো ছিল না। নেমেই আসেনি কেউ
বিড়ালের ছায়া, নিতান্ত টুকরায়
একাকী পাতালে কার সাথে এতো নীচে
স্বর্গছিন্ন সুরভি মেতেছে খেলায়।
রাস্তা পার্কে রিকশার হাতলে
মানুষগন্ধী সময়ের ঘামে ভিজে
থলের বাজার সবজির জড়াজড়ি
মাছের চোখটি অভ্যাসে এলো বুজে
মৃত হাওয়া শোনে লিফটের গল্প
জড়সড় হই; ঘনঘোর উচাটন
আত্মসিদ্ধ প্রশ্নের ডালপালা-
ছদ্মবেশী যদিওবা হুতাশন !
ব্রীড়া নিক্কন হাসির মাদকতা
স্মৃতিস্পর্শে রেশমের মায়ানাচ
দরজা খুলছে নিয়ত স্বয়ংক্রিয়
ছায়ার বিড়াল কাঁটায় নত আজ।
স্বপ্নভ্রম
সদর রাস্তায় হাসি দৌঁড়
ফেলে,পালাচ্ছে হুল্লোড়।
চৌধুরীপাড়ায় ঘন রাত
অদৃশ্য ডানায় যাই পিছুপিছু
সিঁড়িঘর কার্ণিশ জানালার গ্রীবা
ছাদটবে বাস্পকুচি
দেখি ওড়াওড়ি, চন্দ্রাভিযান।
খেলাঘরে ঘুমক্লান্ত বালিশের ওম
তবু জোছনার ফাঁদ ডাকে ঝাউবন-
নেচে যা পানিখেলা! নেচে যা চিৎমরম!
নিশুতি হাওয়া এই আহ্বান
চলো ঝরাপাতার স্নান
এসো আধজ্বলা বিড়ির গুমোট
ভাসো স্বপ্নভ্রম।
মতিচ্ছন্ন দুলুক পর্দা নিয়নের ছটা
মৃদুশব্দ টিভিস্ক্রিন সহস্র রিমোটের ঘর
জ্বলে পোড়ে নিস্ফলা রূপকল্প
সন্তাপ, শিল্প বলে দিক-
কতকাল যুদ্ধের ভেতর
আমরাই পড়ে আছি।
আবার এসো
গৌরবময় দ্বিতীয় সপ্তাহে
ঢুকে পড়েছি অনেকটা গোপনে
লাইন ভীড় পেছনে রেখে
চড়া সুগন্ধীতে ভেসে একা।
চেকার পাশ কাটিয়ে গেছে
বাদামের খোসায় রোদ, সেও!
চারটা চড়ুই ফিরেই তাকায়নি-
বলিনি আমিও,
তোমরা যাবেনা, শুধুই খেলবে?
আজও টিকেট ছাড়া উষ্ণ ছায়া
অবাধে ঢুকে যেতে পারি অন্দরে
জরাজীর্ণ সিটে চাইলে ডুবে মরি
অশরীরী নাজুক আলস্যে;
সামনের মাথাকে বকে দিতে পারি
দু'তিনবার, চূড়ান্ত মসৃণতার জন্য।
রেক্সিন ছেঁড়া- মায়া নিয়ে জুড়ি
আদরের সুতোয় আঙুল পুরে
ভেবে নিতে পারি, হাসিকান্না'র দিন
সমস্ত গান আগাগোড়া তালে
বাগানের ফুলে ঠোকাঠুকি, বেশরম।
ফিকিরে মাঝবিরতির আগে
আবছা আশপাশে, দ্রুত সব প্রেম
দেখে, শেখা গালির তুমুল আবহে
বেরিয়ে যেতে পারি
একরাশ তামাকমেঘের লবিতে।
ঠোঁটজোড়া, পোস্টারে স্টিলে
ভ্রুকুটি বাড়ায় মোহ -
আবার এসো, তবু।।
সিঁড়িপথে আরো ধাপ দুই-তিন বাকী
রুদ্ধশ্বাস নেমেছি হাঁপর বুকে
ঘোষণার ফাঁকি অবনত সংখ্যায়
দরজা খুলল নিপুণ স্বয়ংক্রিয়।
আলোর পাহারা। কেউ নেই, কেউ নেই!
রূপালী আয়না ঠাট্টায় মশগুল
ছাউনী-পিলার-বারান্দা প্রতি কোণে
আমি, বিভ্রম পাশাপাশি দাঁড়িয়ে।
কেউ তো ছিল না। নেমেই আসেনি কেউ
বিড়ালের ছায়া, নিতান্ত টুকরায়
একাকী পাতালে কার সাথে এতো নীচে
স্বর্গছিন্ন সুরভি মেতেছে খেলায়।
রাস্তা পার্কে রিকশার হাতলে
মানুষগন্ধী সময়ের ঘামে ভিজে
থলের বাজার সবজির জড়াজড়ি
মাছের চোখটি অভ্যাসে এলো বুজে
মৃত হাওয়া শোনে লিফটের গল্প
জড়সড় হই; ঘনঘোর উচাটন
আত্মসিদ্ধ প্রশ্নের ডালপালা-
ছদ্মবেশী যদিওবা হুতাশন !
ব্রীড়া নিক্কন হাসির মাদকতা
স্মৃতিস্পর্শে রেশমের মায়ানাচ
দরজা খুলছে নিয়ত স্বয়ংক্রিয়
ছায়ার বিড়াল কাঁটায় নত আজ।
স্বপ্নভ্রম
সদর রাস্তায় হাসি দৌঁড়
ফেলে,পালাচ্ছে হুল্লোড়।
চৌধুরীপাড়ায় ঘন রাত
অদৃশ্য ডানায় যাই পিছুপিছু
সিঁড়িঘর কার্ণিশ জানালার গ্রীবা
ছাদটবে বাস্পকুচি
দেখি ওড়াওড়ি, চন্দ্রাভিযান।
খেলাঘরে ঘুমক্লান্ত বালিশের ওম
তবু জোছনার ফাঁদ ডাকে ঝাউবন-
নেচে যা পানিখেলা! নেচে যা চিৎমরম!
নিশুতি হাওয়া এই আহ্বান
চলো ঝরাপাতার স্নান
এসো আধজ্বলা বিড়ির গুমোট
ভাসো স্বপ্নভ্রম।
মতিচ্ছন্ন দুলুক পর্দা নিয়নের ছটা
মৃদুশব্দ টিভিস্ক্রিন সহস্র রিমোটের ঘর
জ্বলে পোড়ে নিস্ফলা রূপকল্প
সন্তাপ, শিল্প বলে দিক-
কতকাল যুদ্ধের ভেতর
আমরাই পড়ে আছি।
আবার এসো
গৌরবময় দ্বিতীয় সপ্তাহে
ঢুকে পড়েছি অনেকটা গোপনে
লাইন ভীড় পেছনে রেখে
চড়া সুগন্ধীতে ভেসে একা।
চেকার পাশ কাটিয়ে গেছে
বাদামের খোসায় রোদ, সেও!
চারটা চড়ুই ফিরেই তাকায়নি-
বলিনি আমিও,
তোমরা যাবেনা, শুধুই খেলবে?
আজও টিকেট ছাড়া উষ্ণ ছায়া
অবাধে ঢুকে যেতে পারি অন্দরে
জরাজীর্ণ সিটে চাইলে ডুবে মরি
অশরীরী নাজুক আলস্যে;
সামনের মাথাকে বকে দিতে পারি
দু'তিনবার, চূড়ান্ত মসৃণতার জন্য।
রেক্সিন ছেঁড়া- মায়া নিয়ে জুড়ি
আদরের সুতোয় আঙুল পুরে
ভেবে নিতে পারি, হাসিকান্না'র দিন
সমস্ত গান আগাগোড়া তালে
বাগানের ফুলে ঠোকাঠুকি, বেশরম।
ফিকিরে মাঝবিরতির আগে
আবছা আশপাশে, দ্রুত সব প্রেম
দেখে, শেখা গালির তুমুল আবহে
বেরিয়ে যেতে পারি
একরাশ তামাকমেঘের লবিতে।
ঠোঁটজোড়া, পোস্টারে স্টিলে
ভ্রুকুটি বাড়ায় মোহ -
আবার এসো, তবু।।
মন্তব্য