সপ্তমী দাশ
শান্ত মেয়ে। সুন্দর হাসি। কপালের টিপ। কেউ জানেনা খুব গোপনে ভালোবেসেছি তাকে। তরল কবিতার মতো সে!
কখনও পূর্ণ করিনি পাত্র- করিনি পান!
লিখিনি একটি কবিতা সপ্তমী দাশ।
যে আমাদের ইশকুলে পড়ত..
ঈশ্বর দেখা
আয়নায় দাঁড়িয়ে দেখি ঈশ্বর!
দাড়ি-গোফ আঁটা খিক খিক শয়তানি মুখ
যথাক্রমে মাথা, কান, চোখ, নাক, ঠোঁট
গ্রীবা, কাধ, হাত, বুক, পুরুষস্তন, ভুঁড়ি
নাভীর নিচে উরুদ্বয়ের মাঝে ঝুলে আছে
দুটি অন্ডকোষ ও একটি ন্যাতানো শিশ্ন!
দেবী
কারুকাজে ভরা দেয়াল ও দরজা
আলপনা আঁকা সিঁড়ি, বৃত্তিয় গম্বুজ, মসৃণ মেঝে
কী দারুণ কামুক ভঙ্গি মন্দিরের!
ভেতরে দেবী আছে দেবী...
মন্দির দেহ ছুঁয়ে সদর দরজা গলে
দেবীকে দিতেই হবে পুজো..
নইলে- দেবী গো- ও দেবী আমার
এ জীবন বৃথা যাবে..
যুবতী গাছ ও ফলন মৌসুম
যুবতী গাছের গা বেয়ে
পিলপিল পিঁপড়া হাঁটছে-কাঁটছে দাঁত!
শিহরিত গাছ নড়াচ্ছে-
শরীর ডালপালা-পাতা..
অতঃপর- ফলন মৌসুমে ফলে টইটম্বুর সে।
খিস্তিকাটা রমণী
খিস্তিকাটা রমণীর মুখ যেনো খরস্রোতা নদী
ইচ্ছে হয় ডুবে যাই তাঁর বুকে- জলকাদা খেলি..
স্বদেশ বন্ধু সরকার
পুনর্জন্মে আপনার কবিতার খাতা হব..
বিধবা আশ্রম
বিধবা আশ্রমের সব শাদা পুড়িয়ে দাও
আবীর ঢালো- আবীর ঢালো
রঙিন হোক..
অজস্র মৈথুন কারী কিশোর-যুবকের
অবহেলিত শুক্রাণু ছেড়ে দাও উঠোনে..
বিধবাদের পেটে কোলে ঠোঁটে ফুটে উঠুক হাসি..
মন্তব্য