রোড টু সাকসেস: পদ্মা টু বদি
ভ্যাট দিয়ে যান, প্যাট ভরে খান, বাজার দরেই আগুন, ফ্যান না ঘোরে, এসি-ই চলুক, আমলাদের আজ ফাগুন।
রাস্তা ফি-সন, ভাঙছে ভীষণ, কার বা তাতে কী দায়? রিসকা-বাহন, চড়ছে যেজন, দুখছে কোমর বেজায়।
তাদের তাতে কী-বা আসে? তাদের তাতে কী যায়? সঙ্গে থাকেন বদ্যিমশায়, ভরসা আছে ভিসায়।
দেশের টাকায় হচ্ছে সেতু, বাড়ছে গরীব, বাড়ছে কেতু, মিডিয়া কি বেজায় ভীতু? ওসব কথা বাতিল-
বাজেট ক’বার, বাড়ছে ক’গুন, অঙ্কটা বেশ জটিল।
লিটলম্যাগ বিন্দু bindu.bangmoy.com
দেশের প্রচুর, বাড়ছে টাকা, বাইরে টি’টপ, ভেতর ফাঁপা, ডেসটিনি আর হলমার্ক তাই, বাড়তি টাকা, করছে সাফাই।
আমি-তুমি যতই লাফাই-তাদের কী যায় ছেঁড়া, শান্তিপ্রিয়, মুখবাঁচিয়ো-বুদ্ধিজীবক যাঁরা।
লিটলম্যাগ বিন্দু bindu.bangmoy.com
বলবি কি তুই, কী অধিকার? যোদ্ধা সে, বাদ-সব রাজাকার, ব্যাংক, বীমা হোক শেয়ারবাজার, সবকিছুতেই তার এখতিয়ার, ভ্যাটের বেলায় দ্বায়িত্ব আমার, ভর্তুকিই সাজা-রাজনীতি আজ রাজার নীতি-ভ্যানিশ-নীতির রাজা।
এসছে নতুন এ্যালকেনামা, সোনা বেজায় হচ্ছে তামা, রাবিশ বলেন মাল’টু মামা, আমলারা তো ভাস্কো গামা, ঘুরছে বেজায় বিদেশ- বদি’ই কেবল প্রগতিশীল, গুঞ্জন সব ফ্রেশ।
লিটলম্যাগ বিন্দু bindu.bangmoy.com
অভিজিৎ হোক, সাগর রুনি-খুলে’য়াম ঘুরছে খুনি, টক’শোতে সব জ্ঞানী-গুনী, উন্নয়নের গল্প শুনি।
পদত্যাগ করবে বদি-প্রমাণ কোনো দ্যাকাও যদি, শুনে আমি ভাবি যে হায়-যাহাই বলুন রসিক বেজায়।
বদির কথা এখন থাকুক- লাগছে আরো ভেলকি লাগুক, বুঝতে গেলে আজব লাগে, বাতাস আসে, কয়লা ভাগে।
চোখ সরে না স্বর্ণকারের, সময় সুযোগ পেলেই পাছে-সব হয়ে যায় তামা, বলবে কিছু? বলতে পারো
বিরলকেশী মামা।
লিটলম্যাগ বিন্দু bindu.bangmoy.com
নির্বাচনের নতুন ধরণ, কারচুপিতে বিশ্ববরণ, কানা ছেলে পদ্মলোচন, তিমির যতই গাত্রাবরণ-তারো অধিক বিচার,
আসছে বছর আবার হবে, ন্যাতাতান্ত্রিক ফিচার।
মিটিং-মিছিল-বেশ-সমাবেশ- থাকতে নাহি বিরোধ-আবেশ, যদি থাকে থাকবে না কেশ (গুপ্ত বা হোক প্রকাশ), একুশ দশক প্রকল্পের এই-গণতান্ত্রিক বিকাশ। অনেক হলো বিকাশ-টিকাশ, এবার করুন হিসাব-নিকাশ, ব্যাংকে কত জমা? অনেক হলো দেশের সেবা-আখের গুছাও মামা।
লিটলম্যাগ বিন্দু bindu.bangmoy.com
উন্নয়নের এতোই যে রেশ, কর্কটে আজ ভুগছে প্রেস, ফেলানি আজ দুলছে ভীষণ, সামনে আছে অনেক মিশন,
তিস্তা হোক আর ট্রানজিট হোক, থাকতে হবে চুপ, বাধ্যতা কী বলবে কথা, থাকলে পরেই মুখ?
এবার আসুন আসল কথায়, বুদ্ধি যতই থাকুক মাথায়, বিকোতে চান সঠিক দামে? চলে যাবেন ঐ মোকামে।
বিকছে আজি, বিকছে সবি, সাংবাদিক হোক লেখক-কবি, ওসব ভুলুন, টেনেই তুলুন,নয় অনুরোধ। আদেশ।
উন্নয়নের দোলাচলে-দুলছে ভালৈ, স্বদেশ।
গনোরিয়াতান্ত্রিক ভোটব্যবস্থা
ভোট কেটেছি, বেশ করেছি, ভোটকাটা কি পাপের? নোট ফেলেছি, ফাল মেরেছি, দেশটা মোদের বাপের। কাটবো ভোট আর ঘষবো চুলে, তোর কী আসে, কী যায়? জলের দেশে নৌকা চলে, মন্ত্রী ভেঁপু বাজায়। হাসব আমি, হাসবে তুমি, হাসবে দেশের রাজা। মিষ্টি হাসি, দন্তকেশী, দাঁত কেলাবেন খাসা। হিউম্যানিটি- কিওরাসিটি তলিয়ে যাবে জলে- রাস্তাগুলো থাকবে না আর, নৌকা কি তায় চলে?
লিটলম্যাগ বিন্দু bindu.bangmoy.com
আজকে আছি, থাকবো কালও, তোদের তাতে কী বাল? চাপা দেবো, দাঁত কেলাবো, পাড়িস নাতো প্যাঁচাল? মাত্র ক’টা ভোট কেটেছি, দাবীটা নয় বেশি। ভোটটা আজি নিখুঁত বেজায়, বলবেন এলোকেশী।
দুই মরেছে, বেশ করেছে, এমাউন্টটা কি বেশি? পাশের দেশে চেয়েই দেখুন, মরছে রাশি-রাশি। বাঁশের ক্ষেতে, পাশ করেছো, যাই পেয়েছো ভালো। চোখ খুলে তাই, মুখ বোজো আর, ভোটটা আমায় ডালো।
হাসির রাণী, বেজায় ফানি, হিউমারানী মাদার। এসিডিটি-ফ্যাসিডিটি? ফুরসত নেই *দার। ফাদার মাদার কিংবা ব্রাদার, ভর্তি আমার দলে। নিন্দুকেরা আমার নামে, মিথ্যে কেবল বলে। বাপের নামে, পাপের কামে,
গায় লাগে না কাদা। মোবাইল দিলেম, তবুও থামে? বিচার করো খোদা!
অস্থির পেণ্ডুলাম কতক
যেমনি করে প্রতিটা মুহূর্তে ধেয়ে আসে মৃত্যু- খাবলে ধরে স্বরযন্ত্র- অসুস্থ গোঙানি; তেমনি প্রতিটা সূর্যাস্তে, কোষগুলো বরদাস্ত করে অসহিষ্ণু উত্তাপ! যেমনি করে কয়েকটা হদলে কমলার ত্বক চিঁড়ে, মুখগহ্বরে ছেবড়ে থেঁতলে বের করে রস- তেমনি সঙম শেষে অবশিষ্ট থাকে ফ্যাকাসে একখানি ছোবলা। তবু ফের চলে আসে সূর্যের আভাস-ক্যাভারনোসা বরাবর লাইন ধরে ছুটে যায় রক্ত- পুরনো অসুখ; হৃদয়ের সবুজ বারান্দায় দোল খায় অস্থির কতক পেণ্ডুলাম ।
- “নারী –অক্রিয়, মর্ষকামী, নার্সিসিস্ট স্নায়ুমণ্ডলী এক; ফ্রয়েড নাকি বলেছেন।”
লিটলম্যাগ বিন্দু bindu.bangmoy.com
মর্ষকামী নারী নিতান্ত ধাঁতে সয় না; প্রেমিকার মুখ থেকে গলগল করে বের হবে নিকোটিন, ওঁঠ চুঁইয়ে বুদবুদে এলকোহল-আজকাল এমন প্রেমিকা চাই। স্বরযন্ত্র ছেঁড়া চিৎকারে নারীবাদের বুলি ঝাড়ি- আমি দর্শন ও সাইকোলজি কপচাই; তবু চার্জিত হলে সবিশেষে দৌড়াই এক আত্মকেন্দ্রিক নারীর কাছে; রাধিকা–প্রেমিকা-গণিকায় তফাৎ করি না; বিশেষ সময়ে খুঁজি না সাম্প্রদায়িক -অসাম্প্রদায়িক মিলনের সুখ ।
লিটলম্যাগ বিন্দু bindu.bangmoy.com
আহ! নারী; সঙ্গম সেরে সংযমে, পুনর্বার ফিরে আসি সাহিত্যের অকৃতদার দরজার কাছে ।
অনিন্দিতা, আর ভালো লাগছে না - এইসব সাহিত্য-ফাহিত্যে সব ছেড়ে দিয়ে চলে যাবো - এই পৃথিবীর সবশেষ হৃদয় - তোমার ভেতরের শাদা বাড়িতে কয়েকটা লাল-হলুদে ঝরে পড়ে ফোটন - চমৎকার নৃত্যকীয় ঢঙে - প্রত্যেক লহমায় সুষূম্নায় ভর করে, এ এক অস্থির পেণ্ডুলাম।
লিটলম্যাগ বিন্দু bindu.bangmoy.com
আহ্! নারী; কি এক স্বল্পজীবী যৌবন, অদ্ভূতুড়ে কৌশলে ছ্যাপছ্যাপিয়ে ভেসে যায় সাদাসাদা ঘোড়াদের দলে। তোমার ছিপছিপে কটি, উত্তুঙ্গ নিতম্ব, কণ্ঠনালী, একান্ত মুখ প্রত্যক্ষই ভেসে যায় বিস্তৃতির দিকে- আমি মনে করি আমার যাচিত প্রেমিকা, নারীমুখ-বুক এবং স্বর্ণকেশী যুবতীরা সব চেয়ে আছে আমার একমাত্র নির্লজ্জ কামনার দিকে।
লিটলম্যাগ বিন্দু bindu.bangmoy.com
- অনিন্দিতা! তোমার অত্যাশ্চর্য ক্ল্যাভিকল, বিস্তারিত পর্শুকায় অন্ধকার- হৃদয়ের পাশ খুঁজে অজস্র ব্যর্থ-বোবা রোববার এসে পড়ে। রাস্তায় বাতিরা নিভে গ্যালে বস্তিদেশে (মতান্তরে মস্তিষ্কে) এ্যাক অযাচিত সঙ্গম ভর করে- বিজলীরা ছুটে যায়, ইশারায়। মূক করা মুখ, যোনী, স্তন আবৃত করে হৃদয় এক-স্যাঁতস্যাঁতে সাদা বালিশের পাশে, অঘোরে ঘুমিয়ে থাকি- রাতগুলো যেন করোটিতে অসহ্য কম্পন নিয়ে আসে-
লিটলম্যাগ বিন্দু bindu.bangmoy.com
বাহ! এক অগভীর লহমায় ছুটে যায় অপূর্ব বিজলী,
আহ! আছড়ে পড়ে প্রতিটা কোষে- অস্থির এণ্ড্রোজেন সব, অণ্ডথলি ভরে আসে, চ্যাটচ্যাটে সুক্রোজে।
আমি হৃদয়ের কাছে বলি একহাতে এতোখানি কবিতা আর কতখানি যৌবন আঁকড়ে পুড়ে দেয়া যায় সর্বগ্রাসী মুখগহ্বরে। এ জীবন, এ হৃদয়, কত সঙম সে কল্পনা করে গ্যাছে জীবনে, সমুদ্রে -হৃদয়ের পাশে। তবু পৃথিবীর প্রতিকুল বাতাবরণে পাখিরা ডানা ম্যালে -রাত আসে, হামাগুঁড়ি দিয়ে শীত নামে, ফ্যাঁড়ফেঁড়ে তরতাজা পৃথিবীর ‘পরে-কাপড়ের ভেতরে উত্তাপ জমে, সি-এস-এফ’এ মুখগুলো ভেসে ওঠে, প্রেমিকার তরে- ফুলগুলো মরে যায়, রক্তাক্ত হয় ক্যাভারনোসা- আটকে পড়ি- লাল নীল মাছেদের মতো, খাবি খাই পৃথিবীর অ্যাকোরিয়্যামে। যখন পৃথিবীর বুকে চাঁদ নেমে আসে-ঝরে যায়, থকথকে হাত বেয়ে সাঁসাঁ করে নেমে আসে জ্যোৎস্না– প্রেমিকার সবটুকে বাষ্প হয়ে যায় হেমিস্ফিয়ারে, চাঁদরের নিচে নির্লিপ্ত, অবশ–দম বন্ধ হয়ে আসে; থিতিয়ে পড়ি, কলয়েড যেমন-
জীবন এসেছে যখন, আমাদের তরে –
আরো কতো মৃত্যু; শেমমেষ পাখিরাও মরে –
উড়ে যায়; লিটলম্যাগ বিন্দু bindu.bangmoy.com
নীল মাছ এসে বসে, দানাবেঁধে সঙ্গমেরাও আসে- পাখনায় ভালোবেসে মরে-পৃথিবীতে;
বারবার ফিরে আসি, এইখানে-
মধু আর মিলনের তরে, তবু -
পুনর্বার ক্যানো নষ্ট হই; প্রভু ।
সব চলে গ্যাছে ,
দিনগুলো, বেলান্ত করে সবে-রাত নেমে এল ,
জিজ্ঞাসি তারে -
অনিন্দিতা, প্রথম সঙমের আগে কে- মরে যায় বলো !
বেশ হইছে
উত্তরমুছুন