তিনি আমাকে ডাকতেন মহিলা পূর্ণেন্দু পত্রী বলে। তারপর তার সাথে বাইশ বছর পর দেখা। এই বাইশ বছরে বাইশটি বসন্ত কেটে গ্যাছে। আমি আগের থেকে সুন্দরী হয়েছি? মনে হয় হয়েছি। তবে আয়না সে কথা বলে না। তার সাথে যদি আমার বিয়ে হতো একটা ভরা সংসার নিয়ে এখন আমরা বাচ্চাদের বিয়ের বয়স ঠিক করতাম। সেসব কিছু হয়নি। সে এখনো চিঠির খাম নিয়ে ঘোরে।
প্রযত্নে-
প্রিয়দর্শিনী,
এসব চিঠি এখন আর আমি খুলেও দেখি না। বাইশ বছর পর প্রাক্তন প্রেমিকের চিঠি পড়ার মত প্রেম আর অবশিষ্ট নেই।
এখন তার সাথে নিয়মিতই দেখা হয়।
- আমায় লিখো না কেন?
- লিখি তো, আনতে ভুলে যাই।
- চলো তোমার বাসায় যাই...
আমার বারান্দায় গন্ধহীন অলকানন্দা ফুটে থাকে। তারপর একসময় ঘরের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। দরজার অন্যপাশে বাইশটি বসন্ত ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টায় আমরা দু’জনে ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
সে চলে যায়...
আমি চিঠি মেলে ধরি।
প্রযত্নে-
প্রিয়দর্শিনী,
আয়না আমাকে কটাক্ষ করে। আমি চিঠি পড়ি না। বসন্তের দুপুর মরে সন্ধ্যা নামাই বিছানায়, বালিশে, চাদরে...
আমি সাহস করে চিঠি খুলি। সেদিন অনেক জোৎস্না নামে মেঝেতে। আমার ব্লাউজের বোতাম চিকচিক করে ওঠে।
প্রযত্নে-
প্রিয়দর্শিনী,
একদিন যেদিন নারী ছিলে...
বসন্ত পুড়ে যায়।
আমার বাক্সভরা সোনার গয়না কেঁদে উঠে কী ভীষণ আক্রোশে!
রচনার নামটি আকর্ষনীয়, পাঠ সাবলীল ও সুপাঠ্য৷ ধন্যবাদ জানাই লেখিকা ও প্রকাশক দুজনকেই৷
উত্তরমুছুন