ঘোড়ারোগ
ঘোড়াগুলি কই গেলো উড়ে?
মহিনের কি ছিলো আরো কোন ডাকনাম?
জাদরালি গোঁফ ছিলো? মাথায় টাকের পরশ?
কিংবা উঁচু উঁচু দাত ঘোড়ার মতো?
নাকি সে খাটো ছিলো আকাশ ফুড়ে যাবার
ভয়ে
কোনদিন হয়নি বড়-
মহিনের সাথে দেখা হবার সাধ হয়-
জীবন তারে কই যে পেয়েছিলো খুঁজে!
মহিনের অনেক ঘোড়া- দুএকটি আছে নাকি
পঙ্খিরাজ?
এই ধরেন মৌমিতার দারোগা বাপের চোখে
ফাঁকি দিয়া পালানোর মতো।
ঘোড়ারা ঘাস খায়- আপেল কমলা তরমুজ খায়
নাকি?
কিংবা ফলের রাজা আম?
আহা রাজাদের কত ঘোড়া! মহিন কি রাজা
ছিলো?
তখন প্রস্তরযুগ রাজা কই? চারদিকে পাথর
আর গুহা-
আহা বন! পাহাড়! ঝর্ণা! প্রেম! আর বিপদ!
বিপদ মানে হচ্ছে ক্রসফায়ার-
বিপদ মানে হচ্ছে আপনি দৌড়াইতাছেন-
আর পেছনে রাষ্ট্রিয় অশ্ব সোয়ার-
হঠাৎ গুলি- পটাশ পটাশ পটাশ- ঠাস ঠাস
ঠাস।
সব ঘাস মরে হবে শাদা-
উন্নয়নের সবুজ চশমায় দেখবেন আহা শ্যামল!
সুন্দর!
ঘোড়ারা যেহেতু গিয়েছে উড়ে- আপনিই খান
তবে ঘাস-
অর্থাৎ আপনি জনগন- ঘোড়া- অন্যকারও
হাতে লাগাম।
আর মহিন?
ওই নামে কেউ ছিলো না কোনদিন।
সুখের গজল
আছি এই বেশ!
প র ম সুন্দরম দামোক্রেসির ভেতর,
হাতাইতে আছি কত কত সোনা-
দানা দানা ভরা ভরা মুখ-
ভোর হইতেই লাব্বাইক- কুক্কুরুক্কু
কুক।
দিকে দিকে উন্নয়ন- মেলা মেলা-
আনন্দে ঘনঘোর খিচে লই সেলফি-
নিজেই মারিতেছে সিল নিজেরই গোয়ার ভেতরে-
ভোটের বাক্সের মইধ্যে বিপ্লব ঢুকি
যাচ্ছে ওই দিক দিয়ে।
তুমি শালা বানচোদ-
এভরিডে দিতে আছো ডিকটেশন-
অমুক মন্দের ভালো- অমুক অমুক পক্ষের
লোক-
আর লোকে-
শেলফের তাকে আয়নায় দেখে ভাবে আছে শখের
ভুরি-
এই মোর নাদুস নুদুস পোদ!
আছি বেশ! পরম সুন্দরম- উন্নয়ন-
আর ঊন- নয়ন ভরা সুখ!
আসিতেছে-
আসিতেছে শুভদিন-
ঋণ করে খাবো ঘি-
দিবো ভোট-
স্বপ্নের ভেতরে প্রিয় নেতা মেরে পোদ
দিয়ে যাবে কাচা নোট।
থাকিবো আনন্দে- দুয়েকটা মা আর স্ত্রী
কান্দে-
কান্দুক- ভ্যাঁ ভ্যাঁ-
আমাদের আছে দশ টাকা চাইলের ভুরি- আর
ভুরি ভুরি চেতনা পরম-
জীবন যাইবে চলিয়া কষিতে কষিতে হিসেব-
কে বেশী ফ্যাসিবাদী! আর কে একটু কম!
দূরে- জঙ্গলে কে তবু শোনায় মাওয়ের
ঘরের নামতা!
বড় কঠিন এইসব!
বরং আরও কিছুকাল-
আলাদা করিয়া যাক কার আছে কত বড় বাল!
মন্তব্য