কবিতা
দিয়ো অভিশাপই দিয়ো তবে ভালোবেসে
বিষ দিয়ো ধীরে ধীরে চুমুর আড়ালে
খুন কোরো আমায়
মেরে ফেলো
পাখির জীবন ছবিতেইতো ভালো
ফ্রেমে তুলে টানানো যায় দেয়ালে
লোকে বলে রুচি আছে
কিন্তু তেলতেলে সেইসব মুখ জানে না
প্রকৃতিপ্রেমি আমি সন্তান হতে পারিনি কারো
প্রেমিক হয়েছি বারবার
গজিয়েছি ডানা পুড়ে ফেলার ইচ্ছায়
আমি জানি
বড় হলে ছানা উড়ে যায়
বাসা বাঁধে উঁচুতে
নিচে নেমে ধান খায় মাঝেমাঝে
কেউ কেউ খায় পোকামাকড়
কিছু প্রজাতি সাপ খায়
তবে খাদ্যচক্রের এই নিয়ম আমি ভেঙ্গেছি
বদল এনেছি অভ্যেসে
এই পাখির জীবনে এসে
জেনেছি আমার খুলে রাখা পালক
বইয়ের ভেতর রাখলে হয়ে উঠবে না ময়ূর
নাচবে না
মেলবে না পেখম
তবু বর্ষা পেরিয়ে যাবে
মিলিয়ে দেখেছি আমি বরাবরই শিকাড়
বন্দী অথবা মৃত
আমার চিৎকার গানের মতো শোনা যায়
তবে আমি কান্নাও গাইতে পারি
জানি বশীকরণ সুর
নিরামিষ ফুলে
মাংসের স্বাদ নেই
আছে মধু আর কিছু কিশোরী পরাগ
তাই সঙ্গমকে সড়িয়ে
হতে চেয়েছি মায়া হরিণ
পারিনি
বারবার হার মেনে
ফিরে গ্যাছি পাখির জীবনে
মেনে নিয়েছি হেলেনের মিথ
কাল্পনিক সব ধ্বংসাত্মক সুন্দর
মেনে নিয়েছি-
অরণ্য, আকাশ, বিস্তীর্ণ সনুজ
এসব মুক্তির চিহ্ন নয়
আনন্দের ঠিকানা নয়
অসহ্য সুখবাঁধা বুকে
অসংখ্য বর্শার ক্ষত নিয়ে
আর চাই না কোনো খাঁচা
বন্ধ হোক সাফারিপার্ক আর চিড়িয়াখানা এবার
প্রিয়তমা আমার
টিকেটমাষ্টারকে ছুটি দিয়ে
তালাগুলো ভেঙ্গে দাও
দরজায় লিখে দাও "নো ফ্লাই জোন"
তারপর নিঃশব্দে মেরে ফেলো আমাকে
খুন কোরো আমায় দূরত্বের থাবায়।
চাঁদ ভালো
চাঁদ ভালো
সুদূরের চীন তাও ভালো
টেলিপ্যাথি
যৌনতা ভালো মৈথুনে
প্রাপ্তিও ভালো
সুখ ভালো প্রদানে
মিলনের অসুখ নিয়ে
পৃথিবী কাঁপুক বারবার
প্রেমিকার প্রচণ্ড শীৎকার
শব্দে পেঁচিয়ে ধাঁধাঁ
প্রেমে পড়ুক শত্রু যতো কান
দেনাদারের খাতা
ভরে যাক মহাজনি ঋণে।
ভালো লেগেছে দুটো কবিতাই।
উত্তরমুছুন