শিরোনামহীন
জানালার ওপারে পাখি গাছ। বিবর্ণ রঙের পাখিরা ঝুলে থাকে। টুপটাপ ঝরে পড়ে। উড়ে যায়। উড়ে আসে।
গোধুলি ছুঁয়ে দিলেই -
আরো আরো পাখি আসে। ডালগুলো নুয়ে পড়ে। টুপটাপ ঝরে পড়ে। উড়ে যায়। উড়ে আসে।
আদিম বাতাসে লোবানের গন্ধ ভাসে।
এক জানালার আকাশ - একটা পাখি গাছ।
রাত নেমে আসে সাদা কালো। দিন নেমে আসে সাদা কালো।
প্রেম -
তুমি নেই। অথচ -
তোমার ঘাড়ে মাথা রেখে চুপচাপ বসে থাকি।
এক জানালার আকাশ দেখি। একটা পাখি গাছ দেখি।
আর আমাদের নৈঃশব্দের ভেতর-
ক্ষণে ক্ষণে উড়ে যায় এ্যাম্বুলেন্সের শব্দ।
খেরোখাতা।
২৪-০৪-২০২০, ডেরা
বরং
বহুদূরে গড়ের মাঠে ফেলে রেখো।
আবার জন্মাবো - ফসলের রেণু হয়ে।
ধামা ভরা ধানে-কৃষাণীর নিখাদ হাসিতে।
অথবা -
লাশটি ফেলে দিও ভাঁগাড়ে। ভেদাভেদ ভুলে
খেয়ে যাবে শিয়ালে-কুকুরে। কাকে আর শকুনে।
বহুদিন পর হাড়গুলো হলুদ হতে হতে
সবুজ ঘাসের নীচে চাপা পড়ে যাবে।
আর আমার করোটি নিয়ে খেলবে সদ্য ফোঁটা শিশুরা।
খেরোখাতা।
২২-০৪-২০২০, ডেরা
দৃশ্যায়ন
আগুনের দুপুর। খাঁখাঁ রোদ্দুর।
উৎসুক জনতার ভীড় গোল হয়ে ঝুঁকে আছে।
বৃদ্ধলোকটি-
পরম করুণাময়ের বন্দনা শেষে হাততালি প্রার্থনা করে। জনতা হাত তালি দেয়।
সল্প বসনার যৌবতী মেয়েটি-
ঘুঙুরের পায়ে বাড়ি দিয়ে বেজে ওঠে।
অঙ্গে তরঙ্গের ভাঁজে ভাঁজে তার অনবরত গরম ঘাম ঝরে।
বৃদ্ধলোকটি-
হাত তালি প্রার্থনা করে। জনতা হাততালি দেয়...
খেরোখাতা।
১৮-০৪-২০২০, ডেরা।
মন্তব্য