সহজ প্রণয়
কতো কাজ পড়ে আছে, জমে গেছে;
ফুরাতে চায় না;
জমে থাকাতেই ও’র আনন্দ অসীম!
কোনো কাজ দিনের বেলা হ’তে চায়,
কোনো কাজ রাত্রিবেলা...;
রং তাদের অনেক
যে-রঙেই থাকুক, তারা সরব কন্ঠে
ভেসে ওঠে চোখের সীমানা দিয়ে!
কাজগুলো নিজের মতো ক’রে ফেলা চাই
এখনও তা-ই ভাবি; কিন্তু
পৃথিবীর করুণা এতো বিশাল-
কিছু কাজ ক’রে ফেললেই, কিছু বাকি পড়ে
কাজগুলো যতোই করতে থাকি-
ততোই বাকি প’ড়ে দ্বিগুন-দ্বিগুন!
সব কাজ, নিজের মতো হয় না;
মানুষ পারে না সব- নিজের মতো ক’রে
কাজের পৃথিবী শুধু ঘিরে থাকে আমাদের আয়ুকাল।
আসলে,
যে বা যা-কিছু স্বাধীনতা দেয়-
সে’ কেড়েও নেয় অগোচরে অনেক;
তবু, এই শ্যামল-শস্যবতী-পৃথিবীতে
ভালোবাসা’ই একমাত্র এক উপাসনা-
যাকে আমৃত্যু কাজের ঊর্ধ্বে নিতে পারে মানুষ।
আমাদের কথোপকথন
- কেমন এক অচেনা সতীর্থের মতো
বসে আছো তুমি!
এতোকাল হেঁটেছি দু’জন অথচ,
পায়ের তলে কোনো দাগ নেই!
- কেন নেই?!
- অথর্ব সন্ন্যাস নিয়ে তোমার উত্তরকাল যায়...
আমরা দু’জনেই তার দেখেছি সব রেখাপাত
কী দিয়েছো তুমি?
তোমার সকাল কি আমাদের অপেক্ষা জানে?
অথচ, রোজই তোমার সকালের গল্পশুনি-
হাঁটুতে ব্যথা নিয়ে!
আর তুমি?
তুমি কেমন অচেনাই র’য়ে গেলে...
বিকেলের গলিত আলো আসে এখন;
এসে আমাদের প্রেমাস্পদে মিশে যায়!
সমাজতত্ত্বের টীকা
যখন তোমার সবকিছু
বাজেয়াপ্ত হ’য়ে যায় এবং
হ’তেই থাকে যেন-তেন মৃত্যুর মতো সাবলীল,
নির্বিকার এক চতুষ্পদের ন্যায়
তুমি তখনও বাংলা ভাষাতেই “ব্যাঁ-ব্যাঁ” করবে!
কারণ কী, জানো তো ?
তুমি আসলে, মানুষের ছলে
একখানা আস্ত ছাগল মাত্র!
তুমি এখনও,
এখনও ঐ ‘ব্যাঁ-ব্যাঁ’টুকুই বাঁচিয়ে রেখেছো-
বাঙালীর ছদ্মবেশে !!
তোমার সবকিছু বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়
আর ভান করো : “জানি-না, জানি-না” ব’লে
চোখ টিপে চলে যাও আনপথে,
চোখ রাখো বর্ণচোরা পারদের নামে!
অথচ, তুমিই কি-না গর্ব-স্বরে বলো :
ভাষার কথা,
স্বাধীনতার কথা,
দেশোদ্ধারের তত্ত্বকথা
আমিও জানি,
চোখে আতশ কাচ লাগিয়ে
একদিন তুমিই-তো খুঁজতে থাকবে :
কবিতার ভিতরে কোথায় আছে-
সমাজ আর মানুষের ‘গু’
কতো কাজ পড়ে আছে, জমে গেছে;
ফুরাতে চায় না;
জমে থাকাতেই ও’র আনন্দ অসীম!
কোনো কাজ দিনের বেলা হ’তে চায়,
কোনো কাজ রাত্রিবেলা...;
রং তাদের অনেক
যে-রঙেই থাকুক, তারা সরব কন্ঠে
ভেসে ওঠে চোখের সীমানা দিয়ে!
কাজগুলো নিজের মতো ক’রে ফেলা চাই
এখনও তা-ই ভাবি; কিন্তু
পৃথিবীর করুণা এতো বিশাল-
কিছু কাজ ক’রে ফেললেই, কিছু বাকি পড়ে
কাজগুলো যতোই করতে থাকি-
ততোই বাকি প’ড়ে দ্বিগুন-দ্বিগুন!
সব কাজ, নিজের মতো হয় না;
মানুষ পারে না সব- নিজের মতো ক’রে
কাজের পৃথিবী শুধু ঘিরে থাকে আমাদের আয়ুকাল।
আসলে,
যে বা যা-কিছু স্বাধীনতা দেয়-
সে’ কেড়েও নেয় অগোচরে অনেক;
তবু, এই শ্যামল-শস্যবতী-পৃথিবীতে
ভালোবাসা’ই একমাত্র এক উপাসনা-
যাকে আমৃত্যু কাজের ঊর্ধ্বে নিতে পারে মানুষ।
আমাদের কথোপকথন
- কেমন এক অচেনা সতীর্থের মতো
বসে আছো তুমি!
এতোকাল হেঁটেছি দু’জন অথচ,
পায়ের তলে কোনো দাগ নেই!
- কেন নেই?!
- অথর্ব সন্ন্যাস নিয়ে তোমার উত্তরকাল যায়...
আমরা দু’জনেই তার দেখেছি সব রেখাপাত
কী দিয়েছো তুমি?
তোমার সকাল কি আমাদের অপেক্ষা জানে?
অথচ, রোজই তোমার সকালের গল্পশুনি-
হাঁটুতে ব্যথা নিয়ে!
আর তুমি?
তুমি কেমন অচেনাই র’য়ে গেলে...
বিকেলের গলিত আলো আসে এখন;
এসে আমাদের প্রেমাস্পদে মিশে যায়!
সমাজতত্ত্বের টীকা
যখন তোমার সবকিছু
বাজেয়াপ্ত হ’য়ে যায় এবং
হ’তেই থাকে যেন-তেন মৃত্যুর মতো সাবলীল,
নির্বিকার এক চতুষ্পদের ন্যায়
তুমি তখনও বাংলা ভাষাতেই “ব্যাঁ-ব্যাঁ” করবে!
কারণ কী, জানো তো ?
তুমি আসলে, মানুষের ছলে
একখানা আস্ত ছাগল মাত্র!
তুমি এখনও,
এখনও ঐ ‘ব্যাঁ-ব্যাঁ’টুকুই বাঁচিয়ে রেখেছো-
বাঙালীর ছদ্মবেশে !!
তোমার সবকিছু বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়
আর ভান করো : “জানি-না, জানি-না” ব’লে
চোখ টিপে চলে যাও আনপথে,
চোখ রাখো বর্ণচোরা পারদের নামে!
অথচ, তুমিই কি-না গর্ব-স্বরে বলো :
ভাষার কথা,
স্বাধীনতার কথা,
দেশোদ্ধারের তত্ত্বকথা
আমিও জানি,
চোখে আতশ কাচ লাগিয়ে
একদিন তুমিই-তো খুঁজতে থাকবে :
কবিতার ভিতরে কোথায় আছে-
সমাজ আর মানুষের ‘গু’
মন্তব্য